দুনিয়া ও আখেরাত লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
দুনিয়া ও আখেরাত লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৯

জ্বিহাদ সম্পর্কিত পবিত্র কোরানের আয়াত ও হাদিস ।

জ্বিহাদ সম্পর্কিত পবিত্র কোরানের আয়াত ও হাদিস ।
সূরা আনফাল 
-আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব। কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাট জোড়ায় জোড়ায়। যেহেতু তারা অবাধ্য হয়েছে আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের, সেজন্য এই নির্দেশ। বস্তুতঃ যে লোক আল্লাহ ও রসূলের অবাধ্য হয়, নিঃসন্দেহে আল্লাহর শাস্তি অত্যন্ত কঠোর। (সূরা আনফালঃ ১২-১৩)
-হে ঈমানদারগণ, তোমরা যখন কাফেরদের সাথে মুখোমুখী হবে, তখন পশ্চাদপসরণ করবে না।(সূরা আনফালঃ১৫)
-আর যে লোক সেদিন তাদের থেকে পশ্চাদপসরণ করবে, অবশ্য যে লড়াইয়ের কৌশল পরিবর্তনকল্পে কিংবা যে নিজ সৈন্যদের নিকট আশ্রয় নিতে আসে সে ব্যতীত অন্যরা আল্লাহর গযব সাথে নিয়ে প্রত্যাবর্তন করবে। আর তার ঠিকানা হল জাহান্নাম। বস্তুতঃ সেটা হল নিকৃষ্ট অবস্থান। (সূরা আনফালঃ১৬)
-সুতরাং তোমরা তাদেরকে হত্যা করনি, বরং আল্লাহই তাদেরকে হত্যা করেছেন।(সূরা আনফালঃ১৭)
-হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ মান্য কর এবং শোনার পর তা থেকে বিমুখ হয়ো না।আর তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না, যারা বলে যে, আমরা শুনেছি, অথচ তারা শোনেনা। (সূরা আনফালঃ২০-২১)
-হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ মান্য কর, যখন তোমাদের সে কাজের প্রতি আহবান করা হয়, যাতে রয়েছে তোমাদের জীবন। বস্তুতঃ তোমরা সবাই তাঁরই নিকট সমবেত হবে।(সূরা আনফালঃ২৪)
-আর জেনে রাখ, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি অকল্যাণের সম্মুখীনকারী। বস্তুতঃ আল্লাহর নিকট রয়েছে মহা সওয়াব। (সূরা আনফালঃ২৮)
-নিঃসন্দেহে যেসব লোক কাফের, তারা ব্যয় করে নিজেদের ধন-সম্পদ, যাতে করে বাধাদান করতে পারে আল্লাহর পথে। বস্তুতঃ এখন তারা আরো ব্যয় করবে। তারপর তাই তাদের জন্য আক্ষেপের কারণ হয়ে এবং শেষ পর্যন্ত তারা হেরে যাবে। আর যারা কাফের তাদেরকে দোযখের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। (সূরা আনফালঃ৩৬)
-হে ঈমানদারগণ, তোমরা যখন কোন বাহিনীর সাথে সংঘাতে লিপ্ত হও, তখন সুদৃঢ় থাক এবং আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ কর যাতে তোমরা উদ্দেশ্যে কৃতকার্য হতে পার। (সূরা আনফালঃ৪৫)
-আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যের মধ্যে থেকে যেন প্রভাব পড়ে আল্লাহর শুত্রুদের উপর এবং তোমাদের শত্রুদের উপর আর তাদেরকে ছাড়া অন্যান্যদের উপর ও যাদেরকে তোমরা জান না; আল্লাহ তাদেরকে চেনেন। বস্তুতঃ যা কিছু তোমরা ব্যয় করবে আল্লাহর রাহে, তা তোমরা পরিপূর্ণভাবে ফিরে পাবে এবং তোমাদের কোন হক অপূর্ণ থাকবে না। (সূরা আনফালঃ৬০)
-হে নবী, আপনি মুসলমানগণকে উৎসাহিত করুন জেহাদের জন্য। তোমাদের মধ্যে যদি বিশ জন দৃঢ়পদ ব্যক্তি থাকে, তবে জয়ী হবে দু’শর মোকাবেলায়। আর যদি তোমাদের মধ্যে থাকে একশ লোক, তবে জয়ী হবে হাজার কাফেরের উপর থেকে তার কারণ ওরা জ্ঞানহীন। (সূরা আনফালঃ৬৫)
===================================
সূরা তওবা
আর যদি ভঙ্গ করে তারা তাদের শপথ প্রতিশ্রুতির পর এবং বিদ্রুপ করে তোমাদের দ্বীন সম্পর্কে, তবে কুফর প্রধানদের সাথে যুদ্ধ কর। (সূরা তাওবাঃ১২)
তোমরা কি সেই দলের সাথে যুদ্ধ করবে না; যারা ভঙ্গ করেছে নিজেদের শপথ এবং সঙ্কল্প নিয়েছে রসূলকে বহিস্কারের? আর এরাই প্রথম তোমাদের সাথে বিবাদের সূত্রপাত করেছে।তোমরা কি তাদের ভয় কর?অথচ তোমাদের ভয়ের অধিকতর যোগ্য হলেন আল্লাহ, যদি তোমরা মুমিন হও। (সূরা তওবা:১৩)
যুদ্ধ কর ওদের সাথে,আল্লাহ তোমাদের হস্তে তাদের শাস্তি দেবেন। তাদের লাঞ্ছিত করবেন,তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জয়ী করবেন,এবং মুসলমানদের অন্তরসমূহ শান্ত করবেন। (সূরা তওবা:১৪)
নিঃসন্দেহে তারাই আল্লাহর মসজিদ আবাদ করবে যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি ও শেষ দিনের প্রতি এবং কায়েম করেছে নামায ও আদায় করে যাকাত; আল্লাহ ব্যতীত আর কাউকে ভয় করে না। অতএব, আশা করা যায়, তারা হেদায়েত প্রাপ্তদের অন্তর্ভূক্ত হবে। (সূরা তওবা:১৮)
হে ঈমানদারগণ!তোমরা স্বীয় পিতা ও ভাইদের অভিভাবকরূপে গ্রহণ করো না, যদি তারা ঈমান অপেক্ষা কুফরকে ভালবাসে। আর তোমাদের যারা তাদের অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে তারা সীমালংঘনকারী। (সূরা তাওবাঃ২৩)
তারপর আল্লাহ নাযিল করেন নিজের পক্ষ থেকে সান্ত্বনা, তাঁর রসূল ও মুমিনদের প্রতি এবং অবতীর্ণ করেন এমন সেনাবাহিনী যাদের তোমরা দেখতে পাওনি।আর শাস্তি প্রদান করেন কাফেরদের এবং এটি হল কাফেরদের কর্মফল।(সূরা তাওবাঃ২৬)
তোমরা যুদ্ধ কর ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম।(সূরা তাওবাঃ২৯)
আর মুশরিকদের সাথে তোমরা যুদ্ধ কর সমবেতভাবে, যেমন তারাও তোমাদের সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছে সমবেতভাবে।আর মনে রেখো, আল্লাহ মুত্তাকীনদের সাথে রয়েছেন।(সূরা তাওবাঃ৩৬)
হে ঈমানদারগণ, তোমাদের কি হল, যখন আল্লাহর পথে বের হবার জন্যে তোমাদের বলা হয়, তখন মাটি জড়িয়ে ধর,তোমরা কি আখেরাতের পরিবর্তে দুনিয়ার জীবনে পরিতুষ্ট হয়ে গেলে?অথচ আখেরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবনের উপকরণ অতি অল্প।(সূরা তাওবাঃ৩৮)
যদি বের না হও, তবে আল্লাহ তোমাদের মর্মন্তুদ আযাব দেবেন এবং অপর জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। তোমরা তাঁর কোন ক্ষতি করতে পারবে না,আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে শক্তিমান। (সূরা তাওবাঃ৩৯)
তোমরা বের হয়ে পড় স্বল্প বা প্রচুর সরঞ্জামের(এখানে সরঞ্জাম বলতে অস্ত্রের কথা বলা হয়েছে) সাথে এবং জেহাদ কর আল্লাহর পথে নিজেদের মাল ও জান দিয়ে, এটি তোমাদের জন্যে অতি উত্তম, যদি তোমরা বুঝতে পার।” (সূরা তওবাঃ৪১)
তারা কি একথা জেনে নেয়নি যে, আল্লাহর সাথে এবং তাঁর রসূলের সাথে যে মোকাবেলা করে তার জন্যে নির্ধারিত রয়েছে দোযখ; তাতে সব সময় থাকবে।এটিই হল মহা-অপমান।(সূরা তাওবাঃ৬৩)
হে নবী, কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করুন এবং মুনাফেকদের সাথে তাদের সাথে কঠোরতা অবলম্বন করুন।তাদের ঠিকানা হল দোযখ এবং তাহল নিকৃষ্ট ঠিকানা।(সূরা তাওবাঃ৭৩)
আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুসলমানদের থেকে তাদের জান ও মাল এই মূল্যে যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত।তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর রাহেঃ অতঃপর মারে ও মরে।আর আল্লাহর চেয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কে অধিক?সুতরাং তোমরা আনন্দিত হও সে লেন-দেনের উপর, যা তোমরা করছ তাঁর সাথে।আর এ হল মহান সাফল্য। (সূরা তাওবাঃ১১১)
হে মুমিনগন, ঐ কাফেরদের সাথে যুদ্ধকর যারা তোমাদের নিকটবর্তী, যেন তারা তোমাদের মাঝে কঠোরতা খুঁজে পায়, আর জেনে রাখ আল্লাহ মুত্তাকীদের সাথে রয়েছেন। (সূরা তাওবাঃ ১২৩)
===================================
সুরা নিসা
হে ঈমানদারগণ! নিজেদের অস্ত্র তুলে নাও এবং পৃথক পৃথক সৈন্যদলে কিংবা সমবেতভাবে বেরিয়ে পড়। (সুরা নিসা-৭১)
আর তোমাদের মধ্যে এমনও কেউ কেউ রয়েছে,যারা অবশ্য বিলম্ব করবে এবং তোমাদের উপর কোন বিপদ উপস্থিত হলে বলবে, আল্লাহ আমার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন যে, আমি তাদের সাথে যাইনি।(সুরা নিসা-৭২)
পক্ষান্তরে তোমাদের প্রতি আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন অনুগ্রহ আসলে তারা এমন ভাবে বলতে শুরু করবে যেন তোমাদের মধ্যে এবং তাদের মধ্যে কোন মিত্রতাই ছিল না।(বলবে) হায়, আমি যদি তাদের সাথে থাকতাম, তাহলে আমি ও যে সফলতা লাভ করতাম। (সুরা নিসা-৭৩)
কাজেই আল্লাহর কাছে যারা পার্থিব জীবনকে আখেরাতের পরিবর্তে বিক্রি করে দেয় তাদের জেহাদ করাই কর্তব্য।বস্তুতঃ যারা আল্লাহর রাহে লড়াই করে এবং অতঃপর মৃত্যুবরণ করে কিংবা বিজয় অর্জন করে, আমি তাদেরকে মহাপুণ্য দান করব। (সুরা নিসা-৭৪)
আর তোমাদের কি হল যে, তেমারা আল্লাহর রাহে লড়াই করছ না দুর্বল সেই পুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে,যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদিগকে এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দান কর; এখানকার অধিবাসীরা যে, অত্যাচারী!আর তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পক্ষালম্বনকারী নির্ধারণ করে দাও এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দাও।(সুরা নিসা-৭৫)
যারা ঈমানদার তারা যে, জেহাদ করে আল্লাহর রাহেই।পক্ষান্তরে যারা কাফের তারা লড়াই করে শয়তানের পক্ষে সুতরাং তোমরা জেহাদ করতে থাক শয়তানের পক্ষালম্বনকারীদের বিরুদ্ধে, (দেখবে) শয়তানের চক্রান্ত একান্তই দুর্বল।(সুরা নিসা-৭৬)
তুমি কি সেসব লোককে দেখনি, যাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল যে, তোমরা নিজেদের হাতকে সংযত রাখ, নামায কায়েম কর এবং যাকাত দিতে থাক? অতঃপর যখন তাদের প্রতি জেহাদের নির্দেশ দেয়া হল, তৎক্ষণাৎ তাদের মধ্যে একদল লোক মানুষকে ভয় করতে আরম্ভ করল, যেমন করে ভয় করা হয় আল্লাহকে। এমন কি তার চেয়েও অধিক ভয়।আর বলতে লাগল, হায় পালনকর্তা, কেন আমাদের উপর যুদ্ধ ফরজ করলে!আমাদেরকে কেন আরও কিছুকাল অবকাশ দান করলে না।(হে রসূল) তাদেরকে বলে দিন, পার্থিব ফায়দা সীমিত। আর আখেরাত পরহেযগারদের জন্য উত্তম। আর তোমাদের অধিকার একটি সূতা পরিমান ও খর্ব করা হবে না। (সুরা নিসা-৭৭)
===================================
সূরা মায়েদাহ
যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিপক্ষে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে,তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে।এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি। (সূরা মায়েদাহ-৩৩)
হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর,তাঁর নৈকট্য অন্বেষন কর এবং তাঁর পথে জেহাদ কর যাতে তোমরা সফলকাম হও।(সূরা মায়েদাহ-৩৫)
যারা কাফের, যদি তাদের কাছে পৃথিবীর সমুদয় সম্পদ এবং তৎসহ আরও তদনুরূপ সম্পদ থাকে আর এগুলো বিনিময়ে দিয়ে কিয়ামতের শাস্তি থেকে পরিত্রান পেতে চায়, তবুও তাদের কাছ থেকে তা কবুল করা হবে না।তাদের জন্যে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি রয়েছে। (সূরা মায়েদাহ-৩৬)
হে রসূল, তাদের জন্যে দুঃখ করবেন না, যারা দৌড়ে গিয়ে কুফরে পতিত হয়; যারা মুখে বলেঃ আমরা মুসলমান, অথচ তাদের অন্তর মুসলমান নয় এরা এমনিই যে, আল্লাহ এদের অন্তরকে পবিত্র করতে চান না। তাদের জন্যে রয়েছে দুনিয়াতে লাঞ্ছনা এবং পরকালে বিরাট শাস্তি।(সূরা মায়েদাহ-৪১)
তারা কি জাহেলী আইন ও শাসন চায়?বিশ্বাসী কওমের জন্য আল্লাহর আইন ও শাসনের চেয়েকার আইন ও শাসন উত্তম হতে পারে, (আল- মায়েদাহ: ৫০)
অচিরে আল্লাহ এমন সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন, যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং তারা তাঁকে ভালবাসবে। তারা মুসলমানদের প্রতি বিনয়-নম্র হবে এবং কাফেরদের প্রতি কঠোর হবে। তারা আল্লাহর পথে জেহাদ করবে এবং কোন তিরস্কারকারীর তিরস্কারে ভীত হবে না। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ-তিনি যাকে ইচ্ছা দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্য দানকারী, মহাজ্ঞানী। (সূরা মায়েদাহ-৫৪)
হে মুমিনগণ, যারা তোমাদের ধর্মকে উপহাস ও খেলা মনে করে, তাদেরকে এবং অন্যান্য কাফেরকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করো না। আল্লাহকে ভয় কর, যদি তোমরা ঈমানদার হও। (সূরা মায়েদাহ-৫৭)
যদি তারা আল্লাহর প্রতি ও রসূলের প্রতি অবতীর্ণ বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করত, তবে কাফেরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করত না।কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকেই দুরাচার। (সূরা মায়েদাহ-৮১)
————————————————————–
অন্যান্য
তাদের কেউ কেউ আপনার দিকে কান লাগিয়ে থাকে।আমি তাদের অন্তরের উপর আবরণ রেখে দিয়েছি যাতে একে না বুঝে এবং তাদের কানে বোঝা ভরে দিয়েছি। যদি তারা সব নিদর্শন অবলোকন করে তবুও সেগুলো বিশ্বাস করবে না। এমনকি, তারা যখন আপনার কাছে ঝগড়া করতে আসে, তখন কাফেররা বলেঃ এটি পুর্ববর্তীদের কিচ্ছাকাহিনী বৈ তো নয়। (সুরা আনাম-২৫)
তারা এ থেকে বাধা প্রদান করে এবং এ থেকে পলায়ন করে।তারা নিজেদেরকে ধ্বংস করেছে, কিন্তু বুঝছে না। (সুরা আনাম-২৬)
আর তুমি যদি দুনিয়ার বেশিরভাগ মানুষকে অনুসরণকর তবে তারা তোমাকে আল্লাহের পথ থেকে বিচ্যুত করবে।তারা তো শুধু অসার বিষয়ের অনুসরণ করে,আর তারা তো শুধু আন্দাজের উপরেই চলে ।” [ সুরা আনাম ১১৬ ]
হে নবী, আপনি মুসলমানগণকে উৎসাহিত করুন জেহাদের জন্য। তোমাদের মধ্যে যদি বিশ জন দৃঢ়পদ ব্যক্তি থাকে, তবে জয়ী হবে দুশর মোকবেলায়। আর যদি তোমাএদের মধ্যে থাকে একশ লোক, তবে জয়ী হবে হাজার কাফেরের উপর থেকে তার কারণ ওরা জ্ঞানহীন। ”(সূরা আনফাল-৬৫)
নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ অত্যাচারীকে পৃথিবীতে সুযোগ ও অবকাশ দিয়ে থাকেন। আবার যখন তাকে ধরেন তখন আর ছাড়েন না। আবু মূসা বলেনঃ অতঃপর তিনি এই আয়াত পাঠ করলেনঃ “এবং এরূপেই তোমার রবের পাকড়াও, যখন তিনি যালিমদের কোন বসতিকে পাকড়াও করেন। নিশ্চয়ই তাঁর পাকড়াও অতি কঠোর যন্ত্রণাদায়ক।” (সুরাঃ হুদ, আয়াত ১০২) (বুখারিঃ হাদিস নং, ৪৬৮৬
আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোন বিষয়ে ফায়সালা করলে কোন মু’মিন পুরুষ কিংবা মু’মিন নারীর নিজেদের কোন ব্যাপারে অন্য কোন সিদ্ধান্তের ইখতিয়ার থাকবে না। কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অমান্য করলে সে তো স্পষ্টই পথভ্রষ্ট হবে।”(সূরা আহযাব ৩৬)
তোমরা কি ধর্মগ্রন্থের অংশবিশেষে বিশ্বাস কর ও অন্য অংশে অবিশ্বাস পোষণ কর? অতএব তোমাদের মধ্যের যারা এরকম করে তাদের ইহজীবনে লাঞ্ছনা ছাড়া আর কী পুরস্কার আছে? আর কিয়ামতের দিনে তাদের ফেরত পাঠানো হবে কঠোরতম শাস্তিতে। আর তোমরা যা করছো আল্লাহ্ সে-বিষয়ে অজ্ঞাত নন।(সূরা বাকারাহ: ৮৫)
তোমাদের উপর যুদ্ধ ফরয করা হয়েছে, অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয়। পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না। (সূরা বাকারাঃ২১৬)
যারা নিশ্চিত ছিল যে তারা অবশ্যই আল্লাহ্‌র সাথে মিলিত হবে, তারা বললো, “কতবার ছোট দল আল্লাহ্‌র হুকুমে বড় দলকে পরাজিত করেছে, আর আল্লাহ্ অধ্যবসায়ীদের সাথে আছেন।” [সুরা আল-বাকারাহ ২৪৯]
*যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কিছুকে দ্বীন হিসাবে তালাশ করবে, তার নিকট থেকে তা কবুল করা হবেনা। আর আখেরাতে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।(সূরা আল ইমরান:-৮৫)
*তোমাদের কোন ভয়নেই, তোমাদের কোন চিন্তানেই, তোমরাই হবে বিজয়ী, তোমরাই থাকবে উচ্চাসনে, যদি তোমরা মুমিন হও। ( সূরা আল ইমরান- ১৩৯)
হে ঈমানদারগণ, তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না।যে কেউ শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে, তখন তো শয়তান নির্লজ্জতা ও মন্দ কাজেরই আদেশ করবে।যদি আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া তোমাদের প্রতি না থাকত, তবে তোমাদের কেউ কখনও পবিত্র হতে পারতে না।কিন্তু আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পবিত্র করেন।আল্লাহ সবকিছু শোনেন, জানেন।(সূরা নূরঃ২১)
দুশ্চরিত্রা নারীকূল দুশ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্যে এবং দুশ্চরিত্র পুরুষকুল দুশ্চরিত্রা নারীকুলের জন্যে।সচ্চরিত্রা নারীকুল সচ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্যে এবং সচ্চরিত্র পুরুষকুল সচ্চরিত্রা নারীকুলের জন্যে।তাদের সম্পর্কে লোকে যা বলে, তার সাথে তারা সম্পর্কহীন।তাদের জন্যে আছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা। (সূরা নূরঃ২৬)
“হে মানুষ, নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। সুতরাং, পার্থিব জীবন যেন তোমাদেরকে প্রতারণা না করে। এবং সেই প্রবঞ্চক যেন কিছুতেই তোমাদেরকে আল্লাহ সম্পর্কে প্রবঞ্চিত না করে।” (সূরা ফাতির -০৫)
“তোমাদের মধ্যে যদি কেউ আল্লাহ তায়ালা এবং তাঁর রসূলকে অমান্য করে, তার জন্যে রয়েছে জাহান্নামের আগুন, সেখানে তারা চিরকাল থাকবে।” (সূরা জ্বিন ২৩)
“রাসূল তোমাদের যা কিছু দেয় তা তোমরা গ্রহণ করো এবং সে যা কিছু নিষেধ করে তা থেকে বিরত থাকো, আল্লাহ তায়ালাকেই ভয় করো; অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা কঠোর শাস্তিদাতা।” (হাশর ৭)
আমার রাসূল ও বান্দাগণের ব্যাপারে আমার এই বাক্য সত্য হয়েছে যে, অবশ্যই তারা সাহায্য প্রাপ্ত হয়। আর আমার বাহিনীই হয় বিজয়ী (সূরা আস-সাফফাত,১৭১-১৭৩)

ﺍﻻﺭﺑﻌﻮﻥ ﻣﻦ ﺍﻻﺣﺎﺩﻳﺚ ﺍﻟﻨﺒﻮﻳﺔ
ﻓﻲ ﻓﻀﻞ ﺍﻟﺠﻬﺎﺩ ﻭ ﺍﻟﻤﺠﺎﻫﺪﻳﻦ
জিহাদ ও মুজাহিদের মর্যাদা
চল্লিশ হাদীস
ﻣﻜﺎﻧﺔ ﺍﻟﻤﺠﺎﻫﺪ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ
১। আল্লাহর রাস্তায় মুজাহিদের মর্যাদাঃ
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ : ﺇﻥ ﻓﻲ ﺍﻟﺠﻨﺔ ﻣﺎﺋﺔ ﺩﺭﺟﺔ ﺃﻋﺪﻫﺎ ﺍﻟﻠﻪ ﻟﻠﻤﺠﺎﻫﺪﻳﻦ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ، ﻣﺎ ﺑﻴﻦ ﺍﻟﺪﺭﺟﺘﻴﻦ ﻛﻤﺎ ﺑﻴﻦ ﺍﻟﺴﻤﺎﺀ ﻭﺍﻷﺭﺽ – ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﺣﻤﺪ ‏( 2/339 ، ﺭﻗﻢ 8455 ‏) ، ﻭﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻯ ‏( 3/1028 ، ﺭﻗﻢ 2637 ‏) ﻭﺍﺑﻦ ﺣﺒﺎﻥ ‏( 10/471 ، ﺭﻗﻢ 4611 )
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন- নিশ্চয় জান্নাতে ১০০ টি স্তর রয়েছে যেগুলো আল্লাহ তায়ালার রাস্তায় মুজাহিদদের জন্য তৈরী করেছেন। প্রতি দুইটি স্তরের মাঝে ঐরুপ ব্যবধান যেমন আসমান ও যমিনের মাঝে বিদ্যমান। ।
(বুখারী-৩/১০২৮হাঃ নং-২৬৩৭,মুসনাদে আহমদ-২/৩৩৯হাঃ নং-৪৮৫৫,ইবনে হিব্বান-১০/৪৭১হাঃ নং-৪৬১১)
ﺍﻟﻤﺠﺎﻫﺪ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻛﺎﻟﺼﺎﺋﻢ ﺍﻟﻘﺎﺋﻢ ﺍﻟﻘﺎﻧﺖ ﺑﺂﻳﺎﺕ ﺍﻟﻠﻪ
২। আল্লাহর রাস্তায় জ্বিহাদরত ব্যক্তির উদাহরণ ঐ ব্যেক্তির ন্যায় যিনি রোজাদার ও রাত্রিতে দাড়িয়ে নামাজরত।
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ‏« ﻣَﺜَﻞُ ﺍﻟْﻤُﺠَﺎﻫِﺪِ ﻓِﻰ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻛَﻤَﺜَﻞِ ﺍﻟﺼَّﺎﺋِﻢِ ﺍﻟْﻘَﺎﺋِﻢِ ﺍﻟْﻘَﺎﻧِﺖِ ﺑِﺂﻳَﺎﺕِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻻَ ﻳَﻔْﺘُﺮُ ﻣِﻦْ ﺻِﻴَﺎﻡٍ ﻭَﻻَ ﺻَﻼَﺓٍ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﺮْﺟِﻊَ ﺍﻟْﻤُﺠَﺎﻫِﺪُ ﻓِﻰ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ‏»
ﺃﺧﺮﺟﻪ : ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ 4/18 ‏( 2785 ‏) ، ﻭﻣﺴﻠﻢ 6/35 ‏( 1878 ‏) ‏( 110 ‏) ﺍﺑﻦ ﺣﺒﺎﻥ ‏( 10/486 ، ﺭﻗﻢ 4627 ‏) ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﺣﻤﺪ ‏( 4/272 ، ﺭﻗﻢ 18425 )
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেনঃ আল্লাহর রাস্তায় জ্বিহাদকারীর উদাহরণ যেমন কোন ব্যক্তি রোজাদার ও রাত্রিতে দাড়িয়ে নামাজে তেলাওয়াতরত যার রোজা ও নামাজে বিরতিহীন যতক্ষণ না মুজাহিদ ফিরে আসে।
(বুখারী-৪/১৮হা;নং-২৭৮৫,মুসলিম-৬/৩৫হাঃনং-১৮৭৮,ইবনে হিব্বান-১০/৪৮৬হা;নং-৪৬২৭,মুসনাদে আহমদ-৪/২৭২হা;নং-১৮৪২৫)
ﺃﺟﺮ ﺍﻟﺠﻬﺎﺩ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ
৩। আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের ফজিলত
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﻳَﻘُﻮﻝُ ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺍﻧْﺘَﺪَﺏَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟِﻤَﻦْ ﺧَﺮَﺝَ ﻓِﻲ ﺳَﺒِﻴﻠِﻪِ ﻟَﺎ ﻳُﺨْﺮِﺟُﻪُ ﺇِﻟَّﺎ ﺟِﻬَﺎﺩٌ ﻓِﻲ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺇِﻳﻤَﺎﻧًﺎ ﺑِﻲ ﻭَﺗَﺼْﺪِﻳﻘًﺎ ﺑِﺮُﺳُﻠِﻲ ﺃَﻧَّﻪُ ﻋَﻠَﻲَّ ﺿَﺎﻣِﻦٌ ﺃَﻥْ ﺃُﺩْﺧِﻠَﻪُ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔَ ﺃَﻭْ ﺃُﺭْﺟِﻌَﻪُ ﺇِﻟَﻰ ﻣَﺴْﻜَﻨِﻪِ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﻧَﺎﺋِﻠًﺎ ﻣَﺎ ﻧَﺎﻝَ ﻣِﻦْ ﺃَﺟْﺮٍ ﺃَﻭْ ﻏَﻨِﻴﻤَﺔٍ ” ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ‏( 1/22 ، ﺭﻗﻢ 36 ‏) ، ﻭﻣﺴﻠﻢ ‏( 3/1495 ، ﺭﻗﻢ 1876 ‏) ، ﻭﺍﻟﻨﺴﺎﺋﻰ ‏( 8/119 ، ﺭﻗﻢ 5029 ‏) . ﺍﻟﺒﻴﻬﻘﻰ ‏( 9/157 ، ﺭﻗﻢ 18265 ‏) ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻟﺠﺎﻣﻊ ﺣﺪﻳﺚ ﺭﻗﻢ : 1491 ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﺣﻤﺪ ‏( 2/384 ، ﺭﻗﻢ 8968 ) ،
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন- আল্লাহ তায়ালা দায়িত্ব নেন ঐ ব্যেক্তির যিনি আল্লাহর রাস্তায় বের হন তাহাকে একমাত্র আমার উপর ঈমান ও আল্লাহর রাসুলের প্রতি বিশ্বাস তাকে বের করে আমি তাকে ফিরাইয়া আনিব এমন অবস্থায় যে, সে সওয়াব পাইবে অথবা গণিমত অথবা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাইবো। (বুখারী-১/২২হা;নং-৩৬,মুসলিম-৩/১৪৯৫হা;নং-১৮৭৬,নাসায়ী-৮/১১৯হা;নং-৫০২৯,বায়হাকী-৯/১৫৭হা;নং-১৮২৬৫,সহীহুল জামে’-১৪৯১,মুসনাদে আহমদ-২/৩৮৪হা;নং-৮৯৬৮)
ﺍﻟﺸﻮﻕ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﻤﻮﺕ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ
৪। আল্লাহর রাস্তায় শাহাদতের আগ্রহ
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ” ﻭﺍﻟﺬﻱ ﻧﻔﺴﻲ ﺑﻴﺪﻫﻠﻮﺩﺩﺕ ﺃﻥ ﺃﻗﺘﻞ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﺛﻢ
ﺃُﺣﻴﺎ ﺛﻢ ﺃﻗﺘﻞ ، ﺛﻢ ﺃﺣﻴﺎ ﺛﻢ ﺃﻗﺘﻞ ، ﺛﻢ ﺃﺣﻴﺎ ﺛﻢ ﺃﻗﺘﻞ ” ﻭﻟﻤﺴﻠﻢ ” ﻭَﺍﻟَّﺬِﻯ ﻧَﻔْﺲُ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ﻟَﻮَﺩِﺩْﺕُ ﺃَﻧِّﻰ ﺃَﻏْﺰُﻭ ﻓِﻰ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﺄُﻗْﺘَﻞُ ﺛُﻢَّ ﺃَﻏْﺰُﻭ ﻓَﺄُﻗْﺘَﻞُ ﺛُﻢَّ ﺃَﻏْﺰُﻭ ﻓَﺄُﻗْﺘَﻞُ ‏» ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ‏[ 2635 ، 2741 ، 2955 ، 7019 ، 1025 ، ﻭﺍﻧﻈﺮ 235 ، 2644 ‏] ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﻪ ‏( 2/920 ، ﺭﻗﻢ 2753 ‏) . ﻭﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﻳﻀﺎ : ﺍﺑﻦ ﺃﺑﻰ ﺷﻴﺒﺔ ‏( 4/202 ، ﺭﻗﻢ 19316 )
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন- রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন ঐ সত্তার কসম যার হাতে আমার জান আমি ভালবাসি যে, আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হয়ে যাই, অতঃপর জীবিত হই, অতঃপর শহীদ হই আবার জীবিত হই, আবার শহীদ হই অতঃপর জীবিত হই, পুনরাই শহীদ হই।। (মুসলিম শরীফে রয়েছে আমি চাই যে আল্লাহর রাস্তায় জ্বিহাদ করি অতঃপর শহীদ হই অতঃপর জ্বিহাদ করি ও শহীদ হই অতঃপর জ্বিহাদ করি ও শহীদ হই। (বুখারী-হা;নং-২৬৩৫,২৭৪১,২৯৫৫,৭০১৯,১০২৫,২৩৫,২৬৪৪,ইবনে মাজাহ-২/৯২০হা;নং-২৭৫৩,ইবনে আবি শায়বা-৪/২০২হা;নং-১৯৩১৬)
ﺭﺑﺎﻁ ﻳﻮﻡ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﺧﻴﺮ ﻣﻦ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻭﻣﺎ ﻋﻠﻴﻬﺎ
। আল্লাহর রাস্তায় একদিন পাহারা দেওয়া দুনিয়ায় ও দুনিয়ার মধ্যে যাহা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম-
ﻋﻦ ﺳﻬﻞ ﺑﻦ ﺳﻌﺪ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺁﻟﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ” ﺭﺑﺎﻁ ﻳﻮﻡ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﺧﻴﺮ ﻣﻦ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻭﻣﺎ ﻋﻠﻴﻬﺎ ” ﻭﻋﻨﺪ ﻣﺴﻠﻢ : ﻟﻐﺪﻭﺓ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﺧﻴﺮ ﻣﻦ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻭﻣﺎ ﻋﻠﻴﻬﺎ ” ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ‏( 3/1059 ، ﺭﻗﻢ 2735 ‏) ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﺣﻤﺪ ‏( 1/65 ، ﺭﻗﻢ 470 ‏) ، ﻭﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻯ ‏( 4/189 ، ﺭﻗﻢ .1667 ﻭﺍﻟﻨﺴﺎﺋﻰ ﺭﻗﻢ 325 ‏) . ﺍﻟﺪﺍﺭﻣﻰ ‏( 2/277 ، ﺭﻗﻢ 2424 ‏) ، ﻭﻋﺒﺪ ﺑﻦ ﺣﻤﻴﺪ ‏( ﺹ 47 ، ﺭﻗﻢ 51 ‏) ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺍﻟﻄﺒﺮﺍﻧﻰ ‏( 6/252 ، ﺭﻗﻢ 6134)
হযরত সাহল বিন সা’আদ (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন- রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন- আল্লাহ তায়ালার রাস্তায় একদিন পাহারা দেওয়া দুনিয়া ও দুনিয়ার মধ্যে যাহা কিছু আছে তাহার চেয়ে উত্তম- (মুসলিম শরীফে রয়েছে আল্লাহর রাস্তায় এক সকাল দুনিয়া ও দুনিয়ার মধ্যে যাহা কিছু আছে তাহার চেয়ে উত্তম। (বুখারী-৩/১০৫৯হা;নং-২৭৩৫,মুসনাদে আহমদ-১/৬৫হা;নং-৪৭০,তিরমিযী-৪/১৮৯হা;নং-১৬৬৭,নাসায়ী-৩২৫,দারেমী-২/২৭৭হা;নং-২৪২৪,)আবদ বিন হুমাইদ-৫১, তাবারানী-৬/২৫২হা;নং-৬১৩৪)
ﻟﻐﺪﻭﺓ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﺃﻭ ﺭﻭﺣﺔ ﺧﻴﺮ ﻣﻦ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻭﻣﺎ ﻋﻠﻴﻬﺎ
৬। আল্লাহর রাস্তায় এক সকাল অথবা বিকাল দুনিয়া ও দুনিয়ার মধ্যে যাহা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম-
ﻋﻦ ﺃﻧﺲ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺁﻟﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ” ﻟﻐﺪﻭﺓ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﺃﻭ ﺭﻭﺣﺔٌ ﺧﻴﺮٌ ﻣﻦ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻭﻣﺎ ﻓﻴﻬﺎ ” ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ‏( 3/1028 ، ﺭﻗﻢ 2639 ‏) ، ﻭﻣﺴﻠﻢ ‏( 3/1499 ، ﺭﻗﻢ 1880 ‏) ، ﻭﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻯ ‏( 4/181 ، ﺭﻗﻢ 1651 ‏) ، ﻭﻗﺎﻝ : ﺻﺤﻴﺢ . ﻭﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﻪ ‏( 2/921 ، ﺭﻗﻢ 2757 ‏) ، ، ﻭﺃﺣﻤﺪ ‏( 1/256 ، ﺭﻗﻢ 2317 ‏) ، ﻭﺍﻟﻄﺒﺮﺍﻧﻰ ‏( 11/388 ، ﺭﻗﻢ 12081 ‏) . ﺣﺪﻳﺚ ﻋﻤﺮ : ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺍﻟﺒﻴﻬﻘﻰ ‏( 3/187 ، ﺭﻗﻢ 5445 ‏) ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﺣﻤﺪ ‏( 3/141 ، ﺭﻗﻢ 12459 ‏) ، ﻭﺃﺑﻮ ﻋﻮﺍﻧﺔ ‏( 4/466 ، ﺭﻗﻢ 7356 ‏) ، ﻭﺍﺑﻦ ﺣﺒﺎﻥ ‏( 10/461 ، ﺭﻗﻢ 4602 )
হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন- রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন আল্লাহর রাস্তায় এক সকাল অথবা বিকাল দুনিয়া ও দুনিয়ার মধ্যে যাহা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম। (বুখারি ও মুসলিম)
ﺍﻟﺮﺑﺎﻁ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻤﻞ ﺻﺎﻟﺢ ﻳﺠﺮﻱ ﻣﻦ ﺑﻌﺪ ﺍﻟﻤﻮﺕ
৭। আল্লাহর রাস্তায় পাহারা দেওয়া এমন আমল যাহা মৃত্যুর পরও জারী থাকে –
ﻋﻦ ﺳﻠﻤﺎﻥ ﺍﻟﻔﺎﺭﺳﻲ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺁﻟﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ
ﺭﺑﺎﻁ ﻳﻮﻡ ﻭﻟﻴﻠﺔ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﺧﻴﺮ ﻣﻦ ﺻﻴﺎﻡ ﺷﻬﺮ ﻭﻗﻴﺎﻣﻪ ، ﻭﺇﻥ ﻣﺎﺕ ﺟﺮﻯ ﻋﻠﻴﻪ ﻋﻤﻠﻪ ﺍﻟﺬﻱ ﻛﺎﻥ ﻳﻌﻤﻠﻪ ، ﻭﺃُﺟﺮﻱ ﻋﻠﻴﻪ ﺭﺯﻗﻪ ، ﻭﺃﻣﻦ ﺍﻟﻔﺘّﺎﻥ ” ﺃﺧﺮﺟﻪ ﻣﺴﻠﻢ ‏( 3/1520 ، ﺭﻗﻢ 1913 ‏) ، ﻭﺍﺑﻦ ﺣﺒﺎﻥ ‏( 10/485 ، ﺭﻗﻢ 4626 ‏) . ﻭﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﻳﻀًﺎ : ﺃﺑﻮ ﻋﻮﺍﻧﺔ ‏( 4/497 ، ﺭﻗﻢ 7468 ‏) ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﻳﻀًﺎ : ﺍﻟﻤﺤﺎﻣﻠﻰ ﻓﻰ ﺃﻣﺎﻟﻴﻪ ‏( ﺹ 380 ، ﺭﻗﻢ 435 ‏) ، ﻭﺍﻟﺒﺰﺍﺭ ‏( 6/492 ، ﺭﻗﻢ 2528 ‏) ، ﻭﺍﻟﺒﻴﻬﻘﻰ ﻓﻰ ﺷﻌﺐ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ‏( 4/40 ، ﺭﻗﻢ 4285 )
হযরত সালমান ফারসা (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন- আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলিতে শুনিয়াছি আল্লাহর রাস্তায় একদিন ও রাত্রি এক মাস রোজা ও রাত জেগে ইবাদত হইতে উত্তম- যদি সে পাহারারত অবস্থায় মারা যায় তবে তার জীবনে কৃত সমস্ত নেক আমলের সওয়াব বৃদ্ধি পেতে থাকবে তাকে জান্নাতের রিযিক দেওয়া হবে ও কবর হাশরের ফেতনা (পরীক্ষা) থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। (মুসলিম)
ﻻ ﺗﻤﺲ ﺍﻟﻨﺎﺭ ﺍﻟﻘﺪﻣﻴﻦ ﺍﻟﻠﺘﻴﻦ ﺍﻏﺒﺮﺗﺎ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ
৮। ঐ দুটি কদমকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না যা আল্লাহর রাস্তায় ধুলামণ্ডিত হয়।
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻋﺒﺲ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺁﻟﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ” ﻣﺎ ﺍﻏﺒﺮﺕ ﻗﺪﻣﺎ ﻋﺒﺪ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﺘﻤﺴﻪ ﺍﻟﻨﺎﺭ ” ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ‏[ ﺭ 865 ‏] 3794 – ‏[ 8 ‏] ‏( ﺻﺤﻴﺢ ‏) ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ﻭﻗﺎﻝ ﺣﺪﻳﺚ ﺣﺴﻦ ﺻﺤﻴﺢ
হযরত আবু আবাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন- যে ব্যেক্তির দুটি পা আল্লাহর রাস্তায় ধুলা মিশ্রিত হয় তাকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না। (বুখারি)
ﻻﻳﺪﺧﻞ ﻣﺴﻠﻢ ﻗﺘﻞ ﻛﺎﻓﺮﺍ ﻓﻲ ﺍﻟﻨﺎﺭ
। ঐ মুসলিম যিনি কোন কাফেরকে হত্যা করেছেন তিনি জাহান্নামে প্রবেশ করবেন না।
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﻋﻠﻰ ﺁﻟﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ ﻻ ﻳﺠﺘﻤﻊ ﻛﺎﻓﺮ ﻭﻗﺎﺗﻠﻪ ﻓﻲ ﺍﻟﻨﺎﺭ ﺃﺑﺪﺍ ” ﺃﺧﺮﺟﻪ ﻣﺴﻠﻢ ‏( 3/1505 ، ﺭﻗﻢ 1891 ‏) ، ﻭﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ‏( 3/7 ، ﺭﻗﻢ 2495 ‏) ، ﻭﺍﺑﻦ ﺣﺒﺎﻥ ‏( 10/521 ، ﺭﻗﻢ 4665 ‏) . ﻭﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﻳﻀًﺎ : ﺃﺣﻤﺪ ‏( 2/397 ، ﺭﻗﻢ 9152 ‏) ، ﻭﺃﺑﻮ ﻋﻮﺍﻧﺔ ‏( 4/476 ، ﺭﻗﻢ 7392 ‏) ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺍﻟﻄﺒﺮﺍﻧﻰ ‏( 4/21 ، ﺭﻗﻢ 3536 ‏) ، ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻬﻴﺜﻤﻰ ‏( 10/170 ‏) : ﺭﺟﺎﻟﻪ ﺭﺟﺎﻝ ﺍﻟﺼﺤﻴﺢ ﻏﻴﺮ ﺍﺑﻦ ﻟﻬﻴﻌﺔ ﻭﻫﻮ ﺣﺴﻦ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ . ﻭﺍﻟﺤﺎﻛﻢ ‏( 3/390 ، ﺭﻗﻢ 5478 )
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন- নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেছেন যে মুসলিম কোন কাফেরকে হত্যা করেছেন সে মুসলিম কখনো জাহান্নামে একত্রিত হবেন না। (মুসলিম)
ﺍﻟﺠﻬﺎﺩ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﻦ ﺃﻓﻀﻞ ﺃﺳﺒﺎﺏ ﺍﻟﺮﺯﻕ
১০। আল্লাহর রাস্তায় জ্বিহাদের মাধ্যমে সর্বোত্তম রিযিকের ব্যবস্থা।
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻰ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﻋَﻦْ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠَّﻪِ – ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ – ﺃَﻧَّﻪُ ﻗَﺎﻝَ ‏« ﻣِﻦْ ﺧَﻴْﺮِ ﻣَﻌَﺎﺵِ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﻟَﻬُﻢْ ﺭَﺟُﻞٌ ﻣُﻤْﺴِﻚٌ ﻋِﻨَﺎﻥَ ﻓَﺮَﺳِﻪِ ﻓِﻰ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻳَﻄِﻴﺮُ ﻋَﻠَﻰ ﻣَﺘْﻨِﻪِ ﻛُﻠَّﻤَﺎ ﺳَﻤِﻊَ ﻫَﻴْﻌَﺔً ﺃَﻭْ ﻓَﺰْﻋَﺔً ﻃَﺎﺭَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻳَﺒْﺘَﻐِﻰ ﺍﻟْﻘَﺘْﻞَ ﻭَﺍﻟْﻤَﻮْﺕَ ﻣَﻈَﺎﻧَّﻪُ ﺃﺧﺮﺟﻪ ﻣﺴﻠﻢ ‏( 3/1503 ، ﺭﻗﻢ 1889 ‏) ، ﻭﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﻪ ‏( 2/1316 ، ﺭﻗﻢ 3977 ‏) . ﻭﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﻳﻀًﺎ : ﺍﻟﺒﻴﻬﻘﻰ ﻓﻰ ﺷﻌﺐ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ‏( 4/41 ، ﺭﻗﻢ 4288 ‏) ، ﻭﺍﻟﺒﻴﻬﻘﻰ ‏( 9/159 ، ﺭﻗﻢ 18278 )
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হইতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন মানুষদের মধ্যে সর্বোত্তম জীবিকা ঐ ব্যেক্তির যে জ্বিহাদের জন্য ঘোড়ার লাগাম প্রস্তুত রাখে ও উহার পিঠে আরোহণ করে। যখনই সে জ্বিহাদের এলান শুনে অথবা বিপদের টের পায় তৎক্ষণাৎ ঘোড়ার পিঠে চড়ে জ্বিহাদ করে শাহদাতের আকাঙ্ক্ষা করে এবং মৃত্যুকে নিশ্চিত জানে। (মুসলিম)
ﻣﻦ ﺟﻬﺰ ﻏﺎﺯﻳﺎً ﺃﻭ ﺧﻠﻔﻪ ﻓﻲ ﺃﻫﻠﻪ ﻓﻘﺪ ﻏﺰﺍ
১১। যে ব্যক্তি কোন মুজাহিদকে তৈয়ার করেছেন অথবা মুজাহিদের রেখে যাওয়া পরিবারের তত্ত্বাবধায়ন করেন তিনিও জ্বিহাদ করলেন (অর্থাৎ জ্বিহাদের সওয়াব পাবেন।)
ﻋﻦ ﺯﻳﺪ ﺑﻦ ﺧﺎﻟﺪ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ ” ﻣﻦ ﺟﻬﺰ ﻏﺎﺯﻳﺎً ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻘﺪ ﻏﺰﺍ ، ﻭﻣﻦ ﺧﻠﻒ ﻏﺎﺯﻳﺎ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﺨﻴﺮ ﻓﻘﺪ ﻏﺰﺍ ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺍﻟﻄﻴﺎﻟﺴﻰ ‏( ﺹ 129 ، ﺭﻗﻢ 956 ‏) ، ﻭﺃﺣﻤﺪ ‏( 4/116 ، ﺭﻗﻢ 17086 ‏) ، ﻭﻋﺒﺪ ﺑﻦ ﺣﻤﻴﺪ ‏( ﺹ 117 ، ﺭﻗﻢ 277 ‏) ، ﻭﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻯ ‏( 3/1045 ، ﺭﻗﻢ 2688 ‏) ، ﻭﻣﺴﻠﻢ ‏( 3/1506 ، ﺭﻗﻢ 1895 ‏) ، ﻭﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ‏( 3/12 ، ﺭﻗﻢ 2509 ‏) ، ﻭﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻯ
‏( 4/170 ، ﺭﻗﻢ 1631 ‏) ﻭﻗﺎﻝ : ﺣﺴﻦ ﺻﺤﻴﺢ . ﻭﺍﻟﻨﺴﺎﺋﻰ ‏( 6/46 ، ﺭﻗﻢ 3180 ‏) . ﻭﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﻳﻀًﺎ : ﺍﺑﻦ ﺍﻟﺠﺎﺭﻭﺩ ‏( ﺹ 259 ، ﺭﻗﻢ 1037 ‏) ، ﻭﺍﻟﻄﺒﺮﺍﻧﻰ ‏( 5/245 ، ﺭﻗﻢ 5231 ‏) ، ﻭﺍﻟﺤﺎﻛﻢ ‏( 2/92 ، ﺭﻗﻢ 2429 ‏) ، ﻭﺍﻟﺒﻴﻬﻘﻰ ‏( 9/28 ، ﺭﻗﻢ 17619 ) .
হযরত যায়েদ ইবনে খালেদ (রাঃ) হইতে বর্ণিত নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন যে ব্যক্তি কোন মুজাহিদদকে তৈয়ারি করে দেন তিনিও জ্বিহাদ করলেন, আর যে ব্যক্তি মুজাহিদের পরিবারের দায়িত্ব নিলেন তিনিও জ্বিহাদ করলেন। (বুখারি ও মুসলিম)
ﺣﺮﻣﺔ ﻧﺴﺎﺀ ﺍﻟﻤﺠﺎﻫﺪﻳﻦ
১২। মুজাহিদগনের স্ত্রীদের সম্মান
ﻋﻦ ﺑﺮﻳﺪﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ” ﺣﺮﻣﺔ ﻧﺴﺎﺀ ﺍﻟﻤﺠﺎﻫﺪﻳﻦ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻘﺎﻋﺪﻳﻦ ﻛﺤﺮﻣﺔ ﺃﻣﻬﺎﺗﻬﻢ ، ﻭﻣﺎ ﻣﻦ ﺭﺟﻞ ﻣﻦ ﺍﻟﻘﺎﻋﺪﻳﻦ ﻳﺨﻠﻒ ﺭﺟﻼً ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺠﺎﻫﺪﻳﻦ ﻓﻲ ﺃﻫﻠﻪ ، ﻓﻴﺨﻮﻧﻪ ﻓﻴﻬﻢ ، ﺇﻻ ﻭُﻗﻒ ﻟﻪ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ ﻓﻴﺄﺧﺬ ﻣﻦ ﻋﻤﻠﻪ ﻣﺎﺷﺎﺀ ﻓﻤﺎ ﻇﻨﻜﻢ ” ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﺣﻤﺪ ‏( 5/352 ، ﺭﻗﻢ 23027 ‏) ، ﻭﻣﺴﻠﻢ ‏( 3/1508 ، ﺭﻗﻢ 1897 ‏) ، ﻭﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ‏( 3/8 ، ﺭﻗﻢ 2496 ‏) ، ﻭﺍﻟﻨﺴﺎﺋﻰ ‏( 6/50 ، ﺭﻗﻢ 3189 ‏) ، ﻭﺃﺑﻮ ﻋﻮﺍﻧﺔ ‏( 4/483 ، ﺭﻗﻢ 7420 ‏) ، ﻭﺍﺑﻦ ﺣﺒﺎﻥ ‏( 10/492 ، ﺭﻗﻢ 4635 ‏) ، ﻭﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﻳﻀًﺎ : ﺍﻟﺤﻤﻴﺪﻯ ‏( 2/403 ، ﺭﻗﻢ 907 ‏) ، ﻭﺍﻟﺮﻭﻳﺎﻧﻰ ‏( 1/64 ، ﺭﻗﻢ 8 )
হযরত বুরাইদা (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন- রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন মুজাহিদগনের স্ত্রীদের মর্যাদা যারা জ্বিহাদের শরীক হয়নি তাদের মায়ের সমমর্যাদা রাখে। আর যে ব্যক্তি জ্বিহাদে শরীক না হয়ে মুজাহিদীনের কোন পরিবারের দায়িত্ব নিয়ে তার পরিবারের সাথে খেয়ানত করে কেয়ামতের দিন ঐ ব্যক্তিকে মুজাহিদের সামনে দণ্ডায়মান করা হবে এবং মুজাহিদকে বলা হবে এ লোকের আমলনামা হতে যে পরিমাণ ইচ্ছা নিয়ে নাও। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন এ সম্পর্কে তোমাদের কি ধারণা? (অর্থাৎ মুজাহিদ কি ঐ ব্যক্তির কোন নেক আমল ছেড়ে দিবে?) (মুসলিম)।
ﺃﺟﺮ ﺍﻟﻤﺠﺎﻫﺪ ﺑﻤﺎﻟﻪ
১৩। আল্লাহর রাস্তায় সম্পদ ব্যায়ের ফজিলত
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻰ ﻣَﺴْﻌُﻮﺩٍ ﺍﻷَﻧْﺼَﺎﺭِﻯِّ ﻗَﺎﻝَ ﺟَﺎﺀَ ﺭَﺟُﻞٌ ﺑِﻨَﺎﻗَﺔٍ ﻣَﺨْﻄُﻮﻣَﺔٍ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﻫَﺬِﻩِ ﻓِﻰ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ . ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ – ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ – ‏« ﻟَﻚَ ﺑِﻬَﺎ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ ﺳَﺒْﻌُﻤِﺎﺋَﺔِ ﻧَﺎﻗِﺔٍ ﻛُﻠُّﻬَﺎ ﻣَﺨْﻄُﻮﻣَﺔٌ ‏» ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ 5005 ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﺣﻤﺪ ‏( 4/121 ، ﺭﻗﻢ 17135 ‏) ، ﻭﺍﺑﻦ ﺣﺒﺎﻥ ‏( 10/506 ، ﺭﻗﻢ 4649 ‏) ، ﻭﻣﺴﻠﻢ ‏( 3/1505 ، ﺭﻗﻢ 1892 ‏) ، ﻭﺍﻟﻨﺴﺎﺋﻰ ‏( 6/49 ، ﺭﻗﻢ 3187 ‏) ﻗﺎﻝ ﺍﻟﺸﻴﺦ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ : ‏( ﺻﺤﻴﺢ ‏) ﺍﻧﻈﺮ ﺣﺪﻳﺚ ﺭﻗﻢ : 5155 ﻓﻲ ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻟﺠﺎﻣﻊ .
হযরত আবু মাস’উদ (রাঃ) আনসারী হইতে বর্ণিত তিনি বলেন- একদা এক ব্যক্তি লাগাম সহ একটি উটনী নিয়ে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে বললেন এতি আল্লাহর রাস্তায় দান করলাম। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাকে বললেন যাও তুমি কেয়ামতের দিন তার বিনিময়ে লাগামবিশিষ্ট সাতশত উটনী পাবে। (মুসলিম)
ﺃﺟﺮ ﺍﻟﺠﻬﺎﺩﺑﻴﻦ ﺍﻟﻤﺠﺎﻫﺪ ﻭﺍﻟﺬﻱ ﻳﺨﻠﻔﻪ ﻓﻲ ﺃﻫﻠﻪ
১৪। মুজাহিদ ও মুজাহিদের পরিবারের দেখাশুনা করার ফজিলত
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻰ ﺳَﻌِﻴﺪٍ ﺍﻟْﺨُﺪْﺭِﻯِّ ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ – ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ – ﺑَﻌَﺚَ ﺇِﻟَﻰ ﺑَﻨِﻰ ﻟَﺤْﻴَﺎﻥَ ‏« ﻟِﻴَﺨْﺮُﺝْ ﻣِﻦْ ﻛُﻞِّ ﺭَﺟُﻠَﻴْﻦِ ﺭَﺟُﻞٌ ‏» . ﺛُﻢَّ ﻗَﺎﻝَ ﻟِﻠْﻘَﺎﻋِﺪِ ‏« ﺃَﻳُّﻜُﻢْ ﺧَﻠَﻒَ ﺍﻟْﺨَﺎﺭِﺝَ ﻓِﻰ ﺃَﻫْﻠِﻪِ ﻭَﻣَﺎﻟِﻪِ ﺑِﺨَﻴْﺮٍ ﻛَﺎﻥَ ﻟَﻪُ ﻣِﺜْﻞُ ﻧِﺼْﻒِ ﺃَﺟْﺮِ ﺍﻟْﺨَﺎﺭِﺝِ ‏» ﺃﺧﺮﺟﻪ ﻣﺴﻠﻢ ‏( 3/1507 ، ﺭﻗﻢ 1896 ‏) ، ﻭﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ‏( 3/12 ، ﺭﻗﻢ 2510 ‏) . ﻭﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﻳﻀًﺎ : ﺳﻌﻴﺪ ﺑﻦ ﻣﻨﺼﻮﺭ ﻓﻰ ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺴﻨﻦ ‏( 2/161 ، ﺭﻗﻢ 2326 ‏) ، ﻭﺃﺣﻤﺪ ‏( 3/15 ، ﺭﻗﻢ 11125 ‏) ﻭﺃﺑﻮ ﻋﻮﺍﻧﺔ ‏( 4/481 ، ﺭﻗﻢ 7413 ‏) ، ﻭﺍﺑﻦ ﺣﺒﺎﻥ ‏( 10/488 ، ﺭﻗﻢ 4629 ‏) ، ﻭﺍﻟﺤﺎﻛﻢ ‏( 2/92 ، ﺭﻗﻢ 2429 ‏) ﻭﻗﺎﻝ : ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻹﺳﻨﺎﺩ . ﻭﺍﻟﺒﻴﻬﻘﻰ ‏( 9/40 ، ﺭﻗﻢ 17674 )
হযরত আবু সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বনী লিইয়ান গোত্রের নিকট সংবাদ পাঠালেন যে, তোমাদের প্রত্যেক দুজন পুরুষ হতে একজন জ্বিহাদে বের হও। অতঃপর যারা পিছনে থাকবে তোমরা মুজাহিদগণের পরিবার ও বনসম্পদ ভালোভাবে দেখাশুনা করবে, তাতে তোমরা মুজাহিদগণের অর্ধেক সওয়াব লাভ করবে। (মুসলিম)
ﺍﻟﻤﺠﺎﻫﺪﻭﻥ ﻫﻢ ﺣﻤﺎﺓ ﺍﻟﺪﻳﻦ
১৫। মুজাহিদগণ তাহারা হলে দ্বীনের রক্ষক।
ﻋَﻦْ ﺟَﺎﺑِﺮِ ﺑْﻦِ ﺳَﻤُﺮَﺓَ ﻋَﻦِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰِّ – ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ – ﺃَﻧَّﻪُ ﻗَﺎﻝَ ‏« ﻟَﻦْ ﻳَﺒْﺮَﺡَ ﻫَﺬَﺍ ﺍﻟﺪِّﻳﻦُ ﻗَﺎﺋِﻤًﺎ ﻳُﻘَﺎﺗِﻞُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻋِﺼَﺎﺑَﺔٌ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤُﺴْﻠِﻤِﻴﻦَ ﺣَﺘَّﻰ ﺗَﻘُﻮﻡَ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔُ ‏» . ” ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ 5062 ﺗﺤﻘﻴﻖ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ‏( ﺻﺤﻴﺢ ‏) ﺍﻧﻈﺮ ﺣﺪﻳﺚ ﺭﻗﻢ : 5220 ﻓﻲ ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻟﺠﺎﻣﻊ .
হযরত জাবির ইবনে সামুরা (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন এই দ্বীন ততদিন পর্যন্ত বাকী থাকবে যতদিন পর্যন্ত মুসলিমদের একটি দল জ্বিহাদরত থাকবে অতঃপর কেয়ামত সংঘটিত হবে। (মুসলিম)
ﺍﻟﺠﺮﺡ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻳﻌﺒﻖ ﻣﺴﻜﺎً ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ
১৬। আল্লাহর রাস্তায় আঘাতপ্রাপ্ত শরীর কেয়ামতের দিন মিশকের সুগন্ধি ছড়াবে
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺁﻟﻪ ﻭﺳﻠﻢ ” ﻻ ﻳُﻜﻠﻢ ﺃﺣﺪ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ، ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺃﻋﻠﻢ ﺑﻤﻦ ﻳﻜﻠﻢ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻠﻪ ، ﺇﻻ ﺟﺎﺀ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ ﻭﺟﺮﺣﻪ ﻳﺜﻌﺐ ﺩﻣﺎ ، ﺍﻟﻠﻮﻥ ﻟﻮﻥ ﺍﻟﺪﻡ ﻭﺍﻟﺮﻳﺢ ﺭﻳﺢ ﺍﻟﻤﺴﻚ ” ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻯ ‏( 4/184 ، ﺭﻗﻢ 1656 ‏) ﻭﻗﺎﻝ : ﺣﺴﻦ ﺻﺤﻴﺢ . ﻭﺍﻟﻨﺴﺎﺋﻰ ‏( 6/28 ، ﺭﻗﻢ 3147 ‏) . ﻭﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﻳﻀًﺎ : ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻯ ‏( 3/1032 ، ﺭﻗﻢ 2649 ‏) ، ﻭﻣﺴﻠﻢ ‏( 3/1496 ، ﺭﻗﻢ 1876 ‏) ، ﻭﺃﺑﻮ ﻳﻌﻠﻰ ‏( 11/138 ، ﺭﻗﻢ 6263 ‏) ، ﻭﺃﺑﻮ ﻋﻮﺍﻧﺔ ‏( 4/454 ، ﺭﻗﻢ 7312 )
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন- রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন এমন কোন ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়। আর আল্লাহ তায়ালা ভাল জানেন কে তাঁর রাস্তায় আহত হয়- সেই ব্যক্তির ক্ষত হইতে কেয়ামতের দিন রক্ত গড়িয়ে পড়বে রক্তের বর্ণ হবে রক্তের মতই কিন্তু গন্ধ হবে মেশকের সুগন্ধি। (বুখারি ও মুসলিম)
ﺍﻟﺸﻬﻴﺪ ﻭﺃﻣﻨﻴﺔ ﺍﻟﻤﻮﺕ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ
১৭। শহীদ ও আল্লাহর রাস্তায় মৃত্যুর আকাঙ্ক্ষা
ﻭﻋﻦ ﺃﻧﺲ – ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ – : ﺃﻥَّ ﺍﻟﻨﺒﻲَّ – ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ – ، ﻗَﺎﻝَ : )) ﻣَﺎ ﺃَﺣَﺪٌ ﻳَﺪْﺧُﻞُ ﺍﻟﺠَﻨَّﺔَ ﻳُﺤِﺐُّ ﺃﻥْ ﻳَﺮْﺟِﻊَ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﻭَﻟَﻪُ ﻣَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻷﺭْﺽِ ﻣِﻦْ ﺷَﻲْﺀٍ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﺸَّﻬِﻴﺪُ ، ﻳَﺘَﻤَﻨَّﻰ ﺃﻥْ ﻳَﺮْﺟِﻊَ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ، ﻓَﻴُﻘْﺘَﻞَ ﻋَﺸْﺮَ ﻣَﺮَّﺍﺕٍ ؛ ﻟِﻤَﺎ ﻳَﺮَﻯ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻜَﺮَﺍﻣَﺔِ (( .
ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ : )) ﻟِﻤَﺎ ﻳَﺮَﻯ ﻣِﻦْ ﻓَﻀْﻞِ ﺍﻟﺸَّﻬَﺎﺩَﺓِ (( ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻯ ‏( 3/1029 ، ﺭﻗﻢ 2642 ‏) ، ﻭﻣﺴﻠﻢ ‏( 3/1498 ، ﺭﻗﻢ 1877 ‏) ، ﻭﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻯ ‏( 4/177 ، ﺭﻗﻢ 1643 ‏) ﻭﻗﺎﻝ : ﺣﺴﻦ ﺻﺤﻴﺢ . ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺍﺑﻦ ﺣﺒﺎﻥ ‏( 10/518 ، ﺭﻗﻢ 4662 ‏) ﺗﺤﻘﻴﻖ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ‏( ﺻﺤﻴﺢ ‏) ﺍﻧﻈﺮ ﺣﺪﻳﺚ ﺭﻗﻢ : 5519 ﻓﻲ ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻟﺠﺎﻣﻊ . .
হযরত আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি নবি করীম (সাঃ) হইতে বর্ণনা করেন কোন ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করার পর সে দুনিয়াতে ফিরে আসতে চাইবে না, যদিও দুনিয়ার সবকিছু তার হয়ে যায়। কিন্তু শহীদ ব্যতীত শহীদ চাইবে দুনিয়াতে আবার ফিরে আসতে। অতঃপর সে দশবার শাহদাত বরণ করবে (একাধিকবার)। যেহেতু সে উহার ফজিলত ও মর্যাদা দেখতে পেয়েছে। (বুখারি ও মুসলিম)
ﺍﻟﺸﻬﺎﺩﺓ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻛﻔﺎﺭﺓ ﻟﻠﺬﻧﻮﺏ
১৮। আল্লাহর রাস্তায় শাহদাত বরণ করা সকল গুনাহের কাফফারা
ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮِﻭ ﺑْﻦِ ﺍﻟْﻌَﺎﺹِ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰَّ – ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ – ﻗَﺎﻝَ ‏« ﺍﻟْﻘَﺘْﻞُ ﻓِﻰ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻳُﻜَﻔِّﺮُ ﻛُﻞَّ ﺷَﻰْﺀٍ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﺪَّﻳْﻦَ ‏» . ” ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ ‏( 2 ‏) ﺃﺧﺮﺟﻪ : ﻣﺴﻠﻢ 6/38 ‏( 1886 ‏) ‏( 119 ‏) ﻭ‏( 120 )
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রাঃ) হইতে বর্ণিত নিশ্চয় নবী করিম (সাঃ) এরশাদ করেন- আল্লাহর রাস্তায় মৃত্যু বরণ করা সকল বিষয়ের কাফফারা, কর্জ ব্যতীত। (মুসলিম)
ﻋﻤﻞ ﻗﻠﻴﻞ ﻭﺃﺟﺮ ﻋﻈﻴﻢ
১৯। অল্প আমল বেশি ফজিলত
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺁﻟﻪ ﻭﺳﻠﻢ ” ﻣُﻘَﺎﻡُ ﺃَﺣَﺪِﻛُﻢْ ﻳَﻌْﻨِﻲ ﻓِﻲ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺧَﻴْﺮٌ ﻣِﻦْ ﻋِﺒَﺎﺩَﺓِ ﺃَﺣَﺪِﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺃَﻫْﻠِﻪِ ﺳِﺘِّﻴﻦَ ﺳَﻨَﺔً ﺃَﻣَﺎ ﺗُﺤِﺒُّﻮﻥَ ﺃَﻥْ ﻳَﻐْﻔِﺮَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﻜُﻢْ ﻭَﺗَﺪْﺧُﻠُﻮﻥَ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔَ ﺟَﺎﻫِﺪُﻭﺍ ﻓِﻲ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ، ﻣَﻦْ ﻗَﺎﺗَﻞَ ﻓِﻲ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓُﻮَﺍﻕَ ﻧَﺎﻗَﺔٍ ﻭَﺟَﺒَﺖْ ﻟَﻪُ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔُ ” ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻯ ‏( 4/181 ، ﺭﻗﻢ 1650 ‏) ﻭﻗﺎﻝ : ﺣﺴﻦ . ﻭﺍﻟﺤﺎﻛﻢ ‏( 2/78 ، ﺭﻗﻢ 2382 ‏) ﻭﻗﺎﻝ : ﺻﺤﻴﺢ ﻋﻠﻰ ﺷﺮﻁ ﻣﺴﻠﻢ . ﻭﺍﻟﺒﻴﻬﻘﻰ ‏( 9/160 ، ﺭﻗﻢ 18284 ‏) . ﻭﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﻳﻀًﺎ : ﺃﺣﻤﺪ ‏( 2/524 ، ﺭﻗﻢ 10796 ‏) ، ﻭﺍﻟﺒﻴﻬﻘﻰ ﻓﻰ ﺷﻌﺐ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ‏( 4/15 ، ﺭﻗﻢ 4230 ‏) ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺍﺑﻦ ﺳﻌﺪ ‏( 5/453 ‏) ، ﻭﺍﻟﺤﺎﻛﻢ ‏( 3/317 ، ﺭﻗﻢ 5226 ‏) ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺍﺑﻦ ﻋﺴﺎﻛﺮ ‏( 66/264 ‏) ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﺣﻤﺪ ‏( 2/446 ، ﺭﻗﻢ 9761 ‏) ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺍﻟﻄﺒﺮﺍﻧﻰ ‏( 18/168 ، ﺭﻗﻢ 377 ‏) ، ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻬﻴﺜﻤﻰ ‏( 5/326 ‏) . ﻭﺍﻟﺤﺎﻛﻢ ‏( 2/78 ، ﺭﻗﻢ 2383 ‏) ﻭﻗﺎﻝ : ﺻﺤﻴﺢ ﻋﻠﻰ ﺷﺮﻁ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻯ . ﻭﺍﻟﺒﻴﻬﻘﻰ ‏( 9/161 ، ﺭﻗﻢ 18285 ‏) . ﻭﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﻳﻀًﺎ : ﺍﻟﺪﺍﺭﻣﻰ ‏( 2/266 ، ﺭﻗﻢ 2396 ‏) ، ﻭﺍﻟﺒﻴﻬﻘﻰ ﻓﻰ ﺷﻌﺐ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ‏( 4/15 ، ﺭﻗﻢ 4231
ﻭﻓﻮﺍﻕ ﺍﻟﻨﺎﻗﺔ : ﺃﻱ ﻣﺎﺑﻴﻦ ﺍﻟﺤﻠﺒﺘﻴﻦ ﻣﻦ ﺍﻟﺮﺍﺣﺔ
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন- তোমাদের কাহারো জ্বিহাদের ময়দানে কিছু সময় ঘরে বসে ষাট বছর ইবাদত হইতেও উত্তম, তোমরা কি পছন্দ করো না যে, আল্লাহ তায়ালা তোমাদিগকে ক্ষমা করিয়া দেন ও তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে। আল্লাহর রাস্তায় জ্বিহাদ করতে থাকো। কেননা যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় উটের দুধ দোহন করার মধ্যবর্তী সময়টুকু জ্বিহাদ করে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়। (আহমদ, তিরমিজি, বায়হাকি ইহার সনদ হাসান বলেছেন। ইমাম হাকিম সহিহ বলেছেন)। (উটের দুধ দোহন করার মাঝে সামান্য বিরতী)
ﺍﻟﻤﻮﺕ ﻗﺒﻞ ﺃﻣﻨﻴﺔ ﺍﻟﺠﻬﺎﺩ
২০। জ্বিহাদের আকাঙ্ক্ষা ব্যতীত মৃত্যু
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻰ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ – ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ – ‏« ﻣَﻦْ ﻣَﺎﺕَ ﻭَﻟَﻢْ ﻳَﻐْﺰُ ﻭَﻟَﻢْ ﻳُﺤَﺪِّﺙْ ﺑِﻪِ ﻧَﻔْﺴَﻪُ ﻣَﺎﺕَ ﻋَﻠَﻰ ﺷُﻌْﺒَﺔٍ ﻣِﻦْ ﻧِﻔَﺎﻕٍ ‏» ” ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ 5040 ﺭﻭﺍﻩ ﻭﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ﻭﺍﻟﻨﺴﺎﺋﻲ
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন- যে ব্যক্তি মৃত্যু বরণ করলো অথচ জ্বিহাদ করলো না বা মনে মনে ইচ্ছাপোষণ করলো না তবে সে নেফাকের কোন এক শাখার উপর মৃত্যু বরণ করলো। (মুসলিম)।
ﺍﻟﺨﺮﻭﺝ ﻟﻠﺠﻬﺎﺩ
২১। জ্বিহাদের জন্য বের হওয়া
ﻋَﻦِ ﺍﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ – ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ – ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﻔَﺘْﺢِ ﻓَﺘْﺢِ ﻣَﻜَّﺔَ ‏« ﻻَ ﻫِﺠْﺮَﺓَ ﻭَﻟَﻜِﻦْ ﺟِﻬَﺎﺩٌ ﻭَﻧِﻴَّﺔٌ ﻭَﺇِﺫَﺍ ﺍﺳْﺘُﻨْﻔِﺮْﺗُﻢْ ﻓَﺎﻧْﻔِﺮُﻭﺍ ‏» ﺣﺪﻳﺚ ﻋﺎﺋﺸﺔ : ﺃﺧﺮﺟﻪ ﻣﺴﻠﻢ ‏( 3/1488 ، ﺭﻗﻢ 1864 ‏) ، ﻭﺍﺑﻦ ﺃﺑﻰ ﺷﻴﺒﺔ ‏( 7/408 ، ﺭﻗﻢ 36932 ‏) . ﺣﺪﻳﺚ ﺻﻔﻮﺍﻥ : ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﺣﻤﺪ ‏( 3/401 ، ﺭﻗﻢ 15341 ‏) ، ﻭﺍﻟﻨﺴﺎﺋﻰ ‏( 7/145 ، ﺭﻗﻢ 4169 ‏) . ﺣﺪﻳﺚ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ : ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﺣﻤﺪ ‏( 1/226 ، ﺭﻗﻢ 1991 ‏) ، ﻭﺍﺑﻦ ﺃﺑﻰ ﺷﻴﺒﺔ ‏( 7/407 ، ﺭﻗﻢ 36930 ‏) ، ﻭﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻯ ‏( 4/148 ، ﺭﻗﻢ 1590 ‏) ﻭﻗﺎﻝ : ﺣﺴﻦ ﺻﺤﻴﺢ . ﻭﺍﻟﻨﺴﺎﺋﻰ ‏( 7/146 ، ﺭﻗﻢ 4170 ‏) . ﻭﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﻳﻀًﺎ : ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻯ ‏( 3/1025 ، ﺭﻗﻢ 2631 ‏) ، ﻭﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ‏( 3/3 ، ﺭﻗﻢ 2480)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত নবী করিম (সাঃ) এরশাদ করেন- মক্কা বিজয়ের দিন, মক্কা বিজয়ের পর হিজরত নেই, কিন্তু জ্বিহাদ ও নিয়ত জ্বিহাদ বাকী থাকবে। যখন তোমাদেরকে বের হতে বলা হয় তখন তোমরা জ্বিহাদের জন্য বের হবে। (বুখারি ও মুসলিম)
ﻛﻴﻒ ﺍﻟﺠﻬﺎﺩ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ
২২। আল্লাহর রাস্তায় কিভাবে জ্বিহাদ করবে
ﻋَﻦْ ﺃَﻧَﺲٍ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺟَﺎﻫِﺪُﻭﺍ ﺍﻟْﻤُﺸْﺮِﻛِﻴﻦَ ﺑِﺄَﻣْﻮَﺍﻟِﻜُﻢْ ﻭَﺃَﻧْﻔُﺴِﻜُﻢْ ﻭَﺃَﻟْﺴِﻨَﺘِﻜُﻢْ ” ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺍﻟﻄﺒﺮﺍﻧﻰ ‏( 6/32 ، ﺭﻗﻢ 5424 ‏) ، ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻬﻴﺜﻤﻰ ‏( 7/301 ‏) : ﺭﺟﺎﻟﻪ ﺛﻘﺎﺕ . ﻭﺍﻟﺤﺎﻛﻢ ‏( 3/127 ، ﺭﻗﻢ 4605 ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﺣﻤﺪ ‏( 3/124 ، ﺭﻗﻢ 12268 ‏) ، ﻭﺍﻟﺪﺍﺭﻣﻰ ‏( 2/280 ، ﺭﻗﻢ 2431 ‏) ، ﻭﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ‏( 3/10 ، ﺭﻗﻢ 2504 ‏) ، ﻭﺍﻟﻨﺴﺎﺋﻰ ‏( 6/7 ، ﺭﻗﻢ 3096 ‏) ، ﻭﺃﺑﻮ ﻳﻌﻠﻰ ‏( 6/468 ، ﺭﻗﻢ 3875 ‏) ، ﻭﺍﺑﻦ ﺣﺒﺎﻥ ‏( 11/6 ، ﺭﻗﻢ 4708 ‏) ، ﻭﺍﻟﺤﺎﻛﻢ ‏( 2/91 ، ﺭﻗﻢ 2427 ‏) ﻭﻗﺎﻝ : ﺻﺤﻴﺢ ﻋﻠﻰ ﺷﺮﻁ ﻣﺴﻠﻢ . ﻭﺍﻟﺒﻴﻬﻘﻰ ‏( 9/20 ، ﺭﻗﻢ 17576 ‏) ، ﻭﺍﻟﻀﻴﺎﺀ ‏( 5/271 ، ﺭﻗﻢ 1902 )
হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত নবী করিম (সাঃ) এরশাদ করেন- তোমরা মুশরিকগণের বিরুদ্ধে জ্বিহাদ কর। তোমাদের সম্পদ, জান, ও জবান দ্বারা। (আবু দাউদ নাসাঈ, দারেমী ইহার সনদ শক্তিশালী)।
ﺍﻷﻋﻤﺎﻝ ﺍﻟﺼﺎﻟﺤﺔ ﻟﻠﺸﻬﻴﺪ
২৩। শহিদের নেক আমল সমূহ
ﻋَﻦْ ﻓَﻀَﺎﻟَﺔَ ﺑْﻦِ ﻋُﺒَﻴْﺪٍ ﻗَﺎﻝَ ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳَﻘُﻮﻝُ ﻛُﻞُّ ﻣَﻴِّﺖٍ ﻳُﺨْﺘَﻢُ ﻋَﻠَﻰ ﻋَﻤَﻠِﻪِ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻣَﺎﺕَ ﻣُﺮَﺍﺑِﻄًﺎ ﻓِﻲ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻳَﻨْﻤُﻮ ﻋَﻤَﻠُﻪُ ﺇِﻟَﻰ ﻳَﻮْﻡِ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ ﻭَﻳَﺄْﻣَﻦُ ﻓِﺘْﻨَﺔَ ﺍﻟْﻘَﺒْﺮِ ” ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ‏( 3/9 ، ﺭﻗﻢ 2500 ‏) ، ﻭﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻯ ‏( 4/165 ، ﺭﻗﻢ 1621 ‏) ، ﻭﺍﺑﻦ ﺣﺒﺎﻥ ‏( 10/484 ، ﺭﻗﻢ 4624 ‏) ، ﻭﺍﻟﻄﺒﺮﺍﻧﻰ ‏( 18/311 ، ﺭﻗﻢ 802 ‏) ، ﻭﺍﻟﺤﺎﻛﻢ ‏( 2/88 ، ﺭﻗﻢ 2417 ‏) ، ﻭﻗﺎﻝ : ﺻﺤﻴﺢ ﻋﻠﻰ ﺷﺮﻁ ﻣﺴﻠﻢ . ﻭﺍﻟﺒﻴﻬﻘﻰ ﻓﻰ ﺷﻌﺐ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ‏( 4/40 ، ﺭﻗﻢ 4287 ‏) . ﻭﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﻳﻀًﺎ : ﺃﺣﻤﺪ ‏( 6/20 ، ﺭﻗﻢ 23996 ‏) ، ﻭﺍﻟﺒﺰﺍﺭ ‏( 9/207 ، ﺭﻗﻢ 3753 ‏) ، ﻭﺍﺑﻦ ﺍﻟﻤﺒﺎﺭﻙ ﻓﻰ ﺍﻟﺠﻬﺎﺩ ‏( 1/142 ، ﺭﻗﻢ 174 ‏) . ﺣﺪﻳﺚ ﻋﻘﺒﺔ : ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﺣﻤﺪ ‏( 4/150 ، ﺭﻗﻢ 17396 ).
হযরত ফযালা ইবনে উবাইদ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন- প্রত্যেক ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর তার আমলের সমাপ্তি ঘটে, কিন্তু ঐ ব্যক্তি ব্যতীত যে আল্লাহর রাস্তায় পাহারারত অবস্থায় মারা যায়। কেননা তার আমল কেয়ামত পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়, এবং সে কবরের ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। (হাদিসের সনদ শক্তিশালী, আহমদ, আবু দাউদ, তিরমিযি-ইমাম তিরমিয বলেন এই হাদিস হাসান সহিহ)
ﺃﺟﺮ ﻣﻦ ﺟﺮﺡ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ
২৪। আল্লাহর রাস্তায় আঘাত পাওয়ার ফজিলত
ﻋﻦ ﻣﻌﺎﺫ ﺑﻦ ﺟﺒﻞ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻧﻪ ﺳﻤﻊ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺁﻟﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ : ﻣﻦ ﻗﺎﺗﻞ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻓُﻮﺍﻕ ﻧﺎﻗﺔ ﻓﻘﺪ ﻭﺟﺒﺖ ﻟﻪ ﺍﻟﺠﻨﺔ ، ﻭﻣﻦ ﺟﺮﺡ ﺟُﺮﺣﺎ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ، ﺃﻭ ﻧﻜﺐ ﻧﻜﺒﺔ ﻓﺈﻧﻬﺎ ﺗﺠﻲﺀ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ ﻛﺄﻏﺰﺭ ﻣﺎ ﻛﺎﻧﺖ ، ﻟﻮﻧﻬﺎ ﺍﻟﺰﻋﻔﺮﺍﻥ ، ﻭﺭﻳﺤﻬﺎ ﺍﻟﻤﺴﻚ ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﺣﻤﺪ ‏( 5/244 ، ﺭﻗﻢ 22169 ‏) ، ﻭﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ‏( 3/21 ، ﺭﻗﻢ 2541 ‏) ، ﻭﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻯ ‏( 4/185 ، ﺭﻗﻢ : 1657 ‏) ، ﻭﺍﻟﻨﺴﺎﺋﻰ ‏( 6/25 ، ﺭﻗﻢ 3141 ‏) ، ﻭﺍﺑﻦ ﺣﺒﺎﻥ ‏( 10/478 ، ﺭﻗﻢ 4618 ‏) ، ﻭﺍﻟﻄﺒﺮﺍﻧﻰ ‏( 20/106 ، ﺭﻗﻢ 207 ‏) ، ﻭﺍﻟﺒﻴﻬﻘﻰ ‏( 9/170 ، ﺭﻗﻢ 18337 ‏) ، ﻭﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﻪ ‏( 2/933 ، ﺭﻗﻢ 2792 ‏) ، ﻭﺍﻟﺤﺎﻛﻢ ‏( 2/87 ‏) ﻭﻗﺎﻝ : ﺻﺤﻴﺢ ﻋﻠﻰ ﺷﺮﻁ ﻣﺴﻠﻢ . ﻭﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﻳﻀًﺎ : ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺮﺯﺍﻕ ‏( 5/255 ، ﺭﻗﻢ 9534 ‏) ، ﻭﻋﺒﺪ ﺑﻦ ﺣﻤﻴﺪ ‏( ﺹ 70 ، ﺭﻗﻢ 119 )
হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা হইতে বর্ণিত, তিনি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে বলিতে শুনিয়াছেন যে- যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় উটের দুধ দোহনে মধ্যবর্তী সময় পরিমাণ জ্বিহাদ করে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। আর যে আল্লাহর রাস্তায় আহত হয় অথবা কোন মসিবতে পতিত হয় বা শরীরে ক্ষত হয় তাহা কেয়ামতের দিন আরও বড় আকারে দেখা যাবে। যার রঙ হবে জাফরানের এবং উহার সুগন্ধি হবে মিশকের। (আহমদ, তিরমিযি, আবু দাউদ, নাসাঈ, ইহার সনদ সহিহ)
ﻻ ﻳﺠﺘﻤﻊ ﻏﺒﺎﺭ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺩﺧﺎﻥ ﺟﻬﻨﻢ
২৫। আল্লাহর রাস্তার ধুলাবালি ও জাহান্নামের ধুঁয়া একত্রিত হবে না
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻟَﺎ ﻳَﺠْﺘَﻤِﻊُ ﻏُﺒَﺎﺭٌ ﻓِﻲ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺩُﺧَﺎﻥُ ﺟَﻬَﻨَّﻢَ ﻓِﻲ ﻣُﻨْﺨُﺮَﻱْ ﺭَﺟُﻞٍ ﻣُﺴْﻠِﻢٍ ﻭَﻟَﺎ ﻳَﺠْﺘَﻤِﻊُ ﺷُﺢٌّ ﻭَﺇِﻳﻤَﺎﻥٌ ﻓِﻲ ﻗَﻠْﺐِ ﺭَﺟُﻞٍ ﻣُﺴْﻠِﻢٍ ” ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺍﻟﻨﺴﺎﺋﻰ ‏( 6/14 ، ﺭﻗﻢ 3113 ‏) ، ﻭﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﻪ ‏( 2/927 ، ﺭﻗﻢ 2774 ‏) ، ﻭﺍﺑﻦ ﺣﺒﺎﻥ ‏( 8/43 ، ﺭﻗﻢ 3251 ‏) ﺣﺪﻳﺚ ﺃﺑﻰ ﺃﻣﺎﻣﺔ : ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺍﻟﻄﺒﺮﺍﻧﻰ ﻓﻰ ﺍﻟﻜﺒﻴﺮ ‏( 8/134 ، ﺭﻗﻢ 7612 ‏) . ﻭﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﻳﻀًﺎ : ﻓﻰ ﺍﻷﻭﺳﻂ ‏( 2/169 ، ﺭﻗﻢ 1607 ‏) ﺧﺮﺟﻪ ﺍﺑﻦ ﺃﺑﻰ ﺷﻴﺒﺔ ‏( 4/208 ، ﺭﻗﻢ 19364 ‏) ، ﻭﻫﻨﺎﺩ ‏( 1/269 ، ﺭﻗﻢ 467 ‏) ، ﻭﺍﻟﺒﻴﻬﻘﻰ ﻓﻰ ﺷﻌﺐ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ‏( 4/27 ، ﺭﻗﻢ 4257 ‏) . ﻭﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﻳﻀًﺎ : ﺳﻌﻴﺪ ﺑﻦ ﻣﻨﺼﻮﺭ ﻓﻰ ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺴﻨﻦ ‏( 2/189 ، ﺭﻗﻢ 2401 ‏) ، ﻭﺃﺣﻤﺪ ‏( 2/256 ، ﺭﻗﻢ 7474 ‏) ، ﻭﺍﻟﺒﻴﻬﻘﻰ ‏( 9/161 ، ﺭﻗﻢ 18289 )
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন- আল্লাহর রাস্তার ধুলাবালি ও জাহান্নামের ধুঁয়া কখনো একত্রিত হবে না। (সহিহ, আহমদ, তিরমিযি, নাসাঈ)
ﺃﺟﺮ ﺍﻟﺤﺎﺭﺱ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ
২৬। আল্লাহর রাস্তায় পাহারা দেওয়ার ফজিলত
ﻭﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ، ﻗَﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ – ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ – ، ﻳﻘﻮﻝ : )) ﻋَﻴْﻨَﺎﻥِ ﻻَ ﺗَﻤﺴُّﻬُﻤَﺎ ﺍﻟﻨَّﺎﺭُ : ﻋَﻴْﻦٌ ﺑَﻜَﺖْ ﻣِﻦْ ﺧَﺸْﻴَﺔِ ﺍﻟﻠﻪِ ، ﻭَﻋَﻴْﻦٌ ﺑَﺎﺗَﺖْ ﺗَﺤْﺮُﺱُ ﻓﻲ ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻠﻪِ (( ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ، ﻭﻗﺎﻝ : )) ﺣﺪﻳﺚ ﺣﺴﻦ (( ” ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﺑﻮ ﻳﻌﻠﻰ ‏( 7/307 ، ﺭﻗﻢ 4346 ‏) ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻤﻨﺬﺭﻯ ‏( 2/159 ‏) ﻭﻗﺎﻝ ﺍﻟﻬﻴﺜﻤﻰ ‏( 5/288 ‏) : ﺭﺟﺎﻟﻪ ﺛﻘﺎﺕ . ﻭﺍﻟﺨﻄﻴﺐ ‏( 2/360 ‏) ، ﻭﺍﻟﻀﻴﺎﺀ ‏( 6/187 ، ﺭﻗﻢ 2198 ‏) . ﻭﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﻳﻀًﺎ : ﺍﻟﻄﺒﺮﺍﻧﻰ ﻓﻰ ﺍﻷﻭﺳﻂ ‏( 6/56 ﺭﻗﻢ 5779 ‏) . ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻤﻨﺬﺭﻯ ‏( 2/159 ‏) : ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺑﻮ ﻳﻌﻠﻰ ﻭﺭﻭﺍﺗﻪ ﺛﻘﺎﺕ ﻭﺍﻟﻄﺒﺮﺍﻧﻰ ﻓﻰ ﺍﻷﻭﺳﻂ
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন- দুটি চোখ জাকে জাহান্নাম স্পর্শ করবে না। প্রথমত ঐ চোখ যেটি আল্লাহ তায়ালার ভয়ে কাঁদে। দ্বিতীয়ত ঐ চোখ যেটি আল্লাহর রাস্তায় পাহারা দেয়। (সহিহ আহমদ, তিরমিযি, নাসাঈ, দারেমী)
ﺍﻟﺠﻮﺍﺋﺰ ﻟﻠﺸﻬﻴﺪ
২৭। শহীদের পুরস্কার
ﻋﻦ ﺍﻟﻤﻘﺪﺍﻡ ﺑﻦ ﻣﻌﺪ ﻳﻜﺮﺏ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺁﻟﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ” ﻟﻠﺸﻬﻴﺪ ﻋﻨﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺳﺖ ﺧﺼﺎﻝ : ﻳﻐﻔﺮ ﻟﻪ ﻓﻲ ﺃﻭﻝ ﺩﻓﻌﺔ ، ﻭﻳﺮﻯ ﻣﻘﻌﺪﻩ ﻣﻦ ﺍﻟﺠﻨﺔ ، ﻭﻳُﺠﺎﺭ ﻣﻦ ﻋﺬﺍﺏ ﺍﻟﻘﺒﺮ ، ﻭﻳﺄﻣﻦ ﻣﻦ ﺍﻟﻔﺰﻉ ﺍﻷﻛﺒﺮ ، ﻭﻳﻮﺿﻊ ﻋﻠﻰ ﺭﺃﺳﻪ ﺗﺎﺝ ﺍﻟﻮﻗﺎﺭ ، ﺍﻟﻴﺎﻗﻮﺗﺔ ﻣﻨﻬﺎ ﺧﻴﺮ ﻣﻦ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻭﻣﺎ ﻓﻴﻬﺎ ” … ﺇﻟﻰ ﺁﺧﺮﻫﺎﺣﺪﻳﺚ ﺣﺴﻦ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ﻭﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﻪ ‏( ﺻﺤﻴﺢ ‏) ﺍﻻﺣﻜﺎﻡ ﺹ 36 ، ﺍﻟﻤﺸﻜﺎﺓ 3834 ، ﺍﻟﺘﻌﻠﻴﻖ ﺍﻟﺮﻏﻴﺐ / 194 2
হযরত মিকদাম ইবনে মা’আদী কারিব (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন- শহীদের জন্য আল্লাহ তায়ালার নিকট ছয়টি বিশেষ পুরস্কার রয়েছেঃ ১) রক্তের ফোটা জমিনে পড়ার সাথে সাথেই তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয় ও জান্নাতে তার থিকানা দেখিয়ে দেওয়া হবে। ২) কবরের আজাব থেকে মুক্তি দান করা হবে। ৩) কেয়ামতের ভয়ংকর অবস্থা থেকে নিরাপদ থাকবে। ৪) তার মাথায় ইজ্জতের তাজ পরানো হবে, যার একেকটি ইয়াকুতের মূল্য দানায় ও তার মাঝে যা রয়েছে তার চেয়ে উত্তম। (হাদিসটি- হাসান, তিরমিযি, ইবনে মাজাহ)
ﺍﻟﻤﻮﺕ ﻗﺒﻞ ﺍﻟﺠﻬﺎﺩ
২৮। জ্বিহাদ না করে মৃত্যু হওয়া
ﻋﻦ ﺃﺑﺮ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺁﻟﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ” ﻣﻦ ﻟﻘﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻐﻴﺮ ﺃﺛﺮ ﻣﻦ ﺟﻬﺎﺩ ﻟﻘﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﻓﻴﻪ ﺛﻠﻤﺔ ” ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ﻭﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﺔ ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻯ ‏( 4/189 ﺭﻗﻢ 1666 ‏) ﻭﻗﺎﻝ : ﻏﺮﻳﺐ . ﻭﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﻪ ‏( 2/923 ، ﺭﻗﻢ 2763 ‏) ، ﻭﺍﻟﺤﺎﻛﻢ ‏( 2/89 ، ﺭﻗﻢ 2420 ‏) . ﻭﻣﻦ ﻏﺮﻳﺐ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : )) ﺛﻠﻤﺔ (( : ﺍﻟﻨﻘﺼﺎﻥ ﻭﺍﻟﺨﻠﻞ
হযরত আবু হুরাইহা (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন- যে ব্যক্তি কেয়ামতের দিন আল্লাহর সাথে এভাবে সাক্ষাত করলো যে তার গায়ে জ্বিহাদের (আছর) কোন চিহ্ন নাই তবে সে এভাবে সাক্ষাত করবে যে তার শরীরে দোষ থাকবে। (তিরমিযি, ইবনে মাজাহ)
ﻣﻮﺕ ﺍﻟﻤﺠﺎﻫﺪ ﺷﻬﺎﺩﺓ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ
২৯। মুজাহিদের মৃত্যুই শাহদাত
ﺃَﻥَّ ﺳَﻬْﻞَ ﺑْﻦَ ﺃَﺑِﻰ ﺃُﻣَﺎﻣَﺔَ ﺑْﻦِ ﺳَﻬْﻞِ ﺑْﻦِ ﺣُﻨَﻴْﻒٍ ﺣَﺪَّﺛَﻪُ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ﻋَﻦْ ﺟَﺪِّﻩِ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰَّ – ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ – ﻗَﺎﻝَ ‏« ﻣَﻦْ ﺳَﺄَﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺍﻟﺸَّﻬَﺎﺩَﺓَ ﺑِﺼِﺪْﻕٍ ﺑَﻠَّﻐَﻪُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣَﻨَﺎﺯِﻝَ ﺍﻟﺸُّﻬَﺪَﺍﺀِ ﻭَﺇِﻥْ ﻣَﺎﺕَ ﻋَﻠَﻰ ﻓِﺮَﺍﺷِﻪِ ‏» ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺍﻟﺪﺍﺭﻣﻰ ‏( 2/270 ، ﺭﻗﻢ 2407 ‏) ﻭﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ‏( 2/85 ، ﺭﻗﻢ 1520 ‏) ﻭﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻯ ‏( 4/183 ، ﺭﻗﻢ 1653 ‏) ﻭﻗﺎﻝ : ﺣﺴﻦ ﻏﺮﻳﺐ . ﻭﺍﻟﻨﺴﺎﺋﻰ ‏( 6/36 ، ﺭﻗﻢ 3162 ‏) ﻭﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﻪ ‏( 2/935 ، ﺭﻗﻢ 2797 ‏) ، ﻭﺍﺑﻦ ﺣﺒﺎﻥ ‏( 7/465 ، ﺭﻗﻢ 3192 ‏) . ﻭﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﻳﻀًﺎ : ﻣﺴﻠﻢ ‏( 3/1517 ، ﺭﻗﻢ 1909 ‏) ، ﻭﺍﻟﺤﺎﻛﻢ ‏( 2/87 ، ﺭﻗﻢ 2412 ‏) ﻭﻗﺎﻝ : ﺻﺤﻴﺢ ﻋﻠﻰ ﺷﺮﻁ ﺍﻟﺸﻴﺨﻴﻦ . ﻭﺍﻟﺒﻴﻬﻘﻰ ‏( 9/169 ، ﺭﻗﻢ 18336 )
হযরত সাহল ইবনে হুনাইফ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন- যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার নিকট সত্যদিলে শাহদাত প্রার্থনা করে আল্লাহ তায়ালা তাকে শহীদদের মর্তবায় পৌঁছাইয়া দেন। যদিও সে নিজ বিছানায় মৃত্যু বরণ করে। (মুসলিম)
ﺍﻟﺠﻬﺎﺩ ﺍﻟﺼﺎﺩﻕ
৩০। প্রকৃত জ্বিহাদ
ﻋَﻦْ ﻣُﻌَﺎﺫِ ﺑْﻦِ ﺟَﺒَﻞٍ ﻋَﻦْ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺃَﻧَّﻪُ ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟْﻐَﺰْﻭُ ﻏَﺰْﻭَﺍﻥِ ﻓَﺄَﻣَّﺎ ﻣَﻦْ ﺍﺑْﺘَﻐَﻰ ﻭَﺟْﻪَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺃَﻃَﺎﻉَ ﺍﻟْﺈِﻣَﺎﻡَ ﻭَﺃَﻧْﻔَﻖَ ﺍﻟْﻜَﺮِﻳﻤَﺔَ ﻭَﻳَﺎﺳَﺮَ ﺍﻟﺸَّﺮِﻳﻚَ ﻭَﺍﺟْﺘَﻨَﺐَ ﺍﻟْﻔَﺴَﺎﺩَ ﻓَﺈِﻥَّ ﻧَﻮْﻣَﻪُ ﻭَﻧُﺒْﻬَﻪُ ﺃَﺟْﺮٌ ﻛُﻠُّﻪُ ﻭَﺃَﻣَّﺎ ﻣَﻦْ ﻏَﺰَﺍ ﻓَﺨْﺮًﺍ ﻭَﺭِﻳَﺎﺀً ﻭَﺳُﻤْﻌَﺔً ﻭَﻋَﺼَﻰ ﺍﻟْﺈِﻣَﺎﻡَ ﻭَﺃَﻓْﺴَﺪَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻟَﻢْ ﻳَﺮْﺟِﻊْ ﺑِﺎﻟْﻜَﻔَﺎﻑِ
ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﺣﻤﺪ ‏( 5/234 ، ﺭﻗﻢ 22095 ‏) ، ﻭﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ‏( 3/13 ، ﺭﻗﻢ 2515 ‏) ، ﻭﺍﻟﻨﺴﺎﺋﻰ ‏( 6/49 ، ﺭﻗﻢ 3188 ‏) ، ﻭﺍﻟﻄﺒﺮﺍﻧﻰ ‏( 20/91 ، ﺭﻗﻢ 176 ‏) ، ﺍﻟﺤﺎﻛﻢ ‏( 2/94 ، ﺭﻗﻢ 2435 ‏) ﻭﻗﺎﻝ : ﺻﺤﻴﺢ ﻋﻠﻰ ﺷﺮﻁ ﻣﺴﻠﻢ . ﻭﺍﻟﺒﻴﻬﻘﻰ ﻓﻰ ﺷﻌﺐ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ‏( 4/30 ، ﺭﻗﻢ 4265 ‏) . ﻭﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﻳﻀًﺎ : ﻣﺎﻟﻚ ‏( 2/466 ، ﺭﻗﻢ 998 ‏) ، ﻭﻋﺒﺪ ﺑﻦ ﺣﻤﻴﺪ ‏( ﺹ 67 ، ﺭﻗﻢ 109 ‏) ، ﻭﺍﻟﺪﺍﺭﻣﻰ ‏( 2/274 ، ﺭﻗﻢ 2417 ‏) ، ﻭﺍﺑﻦ ﺃﺑﻰ ﻋﺎﺻﻢ ﻓﻰ ﺍﻟﺠﻬﺎﺩ ‏( 1/373 ، ﺭﻗﻢ 133 ‏) ، ﻭﺍﻟﻄﺒﺮﺍﻧﻰ ﻓﻰ ﺍﻟﺸﺎﻣﻴﻴﻦ ‏( 2/186 ، ﺭﻗﻢ 1159 ‏) ، ﻭﺃﺑﻮ ﻧﻌﻴﻢ ﻓﻰ ﺍﻟﺤﻠﻴﺔ ‏( 5/220 ‏) ، ﻭﺍﻟﺒﻴﻬﻘﻰ ‏( 9/168 ، ﺭﻗﻢ 18328 ‏) ، ﻭﺍﻟﺪﻳﻠﻤﻰ ‏( 3/110 ، ﺭﻗﻢ 4306 )
হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন- যুদ্ধ দুই প্রকার। প্রথমটি যে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশে জ্বিহাদ করে, ইমামকে মানিয়া চলে, ভাল সম্পদগুলো খরচ করে, সঙ্গীর সাথে নম্র হয়, ফ্যাসাদ থেকে বিরত থাকে, তবে তার ঘুম জাগ্রত থাকা সবই পূর্ণ হবে। আর যে ব্যক্তি যুদ্ধ করে অহংকার বশে লোভ দেখানো ও নামের জন্য, ইমামের অবাদ্ধ হয়, জমিনে ফ্যাসাদ করে তবে সে কিছুই পাবে না কেয়ামতের দিন। (সনদ সহিহ, মুয়াত্তা মালিক, আহমদ, আবু দাউদ, নাসাঈ)
ﺍﻟﺴﻔﺮ ﻭﺍﻟﺘﺪﺭﻳﺐ ﻟﻠﺠﻬﺎﺩ
৩১। সফর ও জ্বিহাদের প্রশিক্ষণ
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺃﻣﺎﻣﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﺧﺮﺟﻨﺎ ﻣﻊ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺁﻟﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓﻲ ﺳﺮﻳﺔ ، ﻓﻘﺎﻝ : ﻭَﺍﻟَّﺬِﻱ ﻧَﻔْﺲُ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ﻟَﻐَﺪْﻭَﺓٌ ﺃَﻭْ ﺭَﻭْﺣَﺔٌ ﻓِﻲ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺧَﻴْﺮٌ ﻣِﻦْ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﻭَﻣَﺎ ﻓِﻴﻬَﺎ ﻭَﻟَﻤُﻘَﺎﻡُ ﺃَﺣَﺪِﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﻒِّ ﺧَﻴْﺮٌ ﻣِﻦْ ﺻَﻠَﺎﺗِﻪِ ﺳِﺘِّﻴﻦَ ﺳَﻨَﺔً ﺧﺮﺟﻪ ﺃﺣﻤﺪ ‏( 5/266 ، ﺭﻗﻢ 22345 ‏) ، ﻭﺍﻟﻄﺒﺮﺍﻧﻰ ‏( 8/216 ، ﺭﻗﻢ 7868 ‏) . ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻬﻴﺜﻤﻰ ‏( 5/279 ‏) ” ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺣﻤﺪ 2924 – ‏( ﺍﻟﺼﺤﻴﺤﺔ ‏) ﺗﺤﻘﻴﻖ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ : ﺻﺤﻴﺢ ، ﺍﻹﺭﻭﺍﺀ ‏( 1182 ‏) ‏( ﺻﺤﻴﺢ ‏) ﺍﻧﻈﺮ ﺣﺪﻳﺚ ﺭﻗﻢ : 5115 ﻓﻲ ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻟﺠﺎﻣﻊ
হযরত আবু উমাযা (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সাথে কোন এক সারিয়্যায় বের হলাম, অতঃপর নবী করিম (সাঃ) বললেন- ঐ সত্তার কসম যার হাতে আমার জান আল্লাহর রাস্তায় একটি সকাল একটি বিকাল ব্যয় করা দুনিয়া ও উহাতে যা কিছু আছে তার চেয়েও উত্তম। আর তোমাদের কাহারো জ্বিহাদের কাতারে দাঁড়ানো ষাট বছর নফল নামাজ ইবাদতের চেয়ে উত্তম। (আহমদ)
ﺃﺟﺮ ﺍﻟﺠﻬﺎﺩ
৩২। জ্বিহাদের ফজিলত
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻰ ﺳَﻌِﻴﺪٍ ﺍﻟْﺨُﺪْﺭِﻯِّ ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ – ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ – ﻗَﺎﻝَ ‏« ﻳَﺎ ﺃَﺑَﺎ ﺳَﻌِﻴﺪٍ ﻣَﻦْ ﺭَﺿِﻰَ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﺭَﺑًّﺎ ﻭَﺑِﺎﻹِﺳْﻼَﻡِ ﺩِﻳﻨًﺎ ﻭَﺑِﻤُﺤَﻤَّﺪٍ ﻧَﺒِﻴًّﺎ ﻭَﺟَﺒَﺖْ ﻟَﻪُ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔُ ‏» . ﻓَﻌَﺠِﺐَ ﻟَﻬَﺎ ﺃَﺑُﻮ ﺳَﻌِﻴﺪٍ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺃَﻋِﺪْﻫَﺎ ﻋَﻠَﻰَّ ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﻔَﻌَﻞَ ﺛُﻢَّ ﻗَﺎﻝَ ‏« ﻭَﺃُﺧْﺮَﻯ ﻳُﺮْﻓَﻊُ ﺑِﻬَﺎ ﺍﻟْﻌَﺒْﺪُ ﻣِﺎﺋَﺔَ ﺩَﺭَﺟَﺔٍ ﻓِﻰ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔِ ﻣَﺎ ﺑَﻴْﻦَ ﻛُﻞِّ ﺩَﺭَﺟَﺘَﻴْﻦِ ﻛَﻤَﺎ ﺑَﻴْﻦَ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀِ ﻭَﺍﻷَﺭْﺽِ ‏» . ﻗَﺎﻝَ ﻭَﻣَﺎ ﻫِﻰَ ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻗَﺎﻝَ ‏« ﺍﻟْﺠِﻬَﺎﺩُ ﻓِﻰ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟْﺠِﻬَﺎﺩُ ﻓِﻰ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ‏» ” ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﺣﻤﺪ ‏( 3/14 ، ﺭﻗﻢ 11117 ‏) ، ﻭﻣﺴﻠﻢ ‏( 3/1501 ، ﺭﻗﻢ 1884 ‏) ، ﻭﺍﻟﻨﺴﺎﺋﻰ ‏( 6/19 ، ﺭﻗﻢ 3131 ‏) ، ﻭﺍﺑﻦ ﺣﺒﺎﻥ ‏( 10/473 ، ﺭﻗﻢ 4612 ‏) . ﻭﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﻳﻀًﺎ : ﺃﺑﻮ ﻋﻮﺍﻧﺔ ‏( 4/466 ، ﺭﻗﻢ 7358 ) .
হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হইতে বর্ণিত নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন- যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালাকে প্রভু, ইসলামকে সত্য ধর্ম ও মুহাম্মাদ (সাঃ) কে সত্য নবী হিসাবে গ্রহন করে নিয়েছে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব। কথাটি আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) নিকট অত্যন্ত আশ্চর্য মনে হল। তাই রাসুল (সাঃ) কে পুনরায় বলার অনুরোধ করলেন। তিনি পুনরায় বললেন। আবু সাঈদ (রাঃ) পুনরায় বলার অনুরোধ করলেন। রাসুল (সাঃ) আবারও বললেন। অতঃপর তিনি এরশাদ করলেন আরেকটি আমল এমন রয়েছে যার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা বান্দাকে জান্নাতে শত স্তর (মর্তবা) উরধে স্থান দান করেন। যার প্রত্যেক দুই স্তরের মাঝে আসমান-জমিনের দুরত্ব সমান। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলেন হে আল্লাহর রাসুল (সাঃ ) ঐটি কোন আমল? রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, উহা হল আল্লাহ তায়ালার রাস্তায় জ্বিহাদ করা। আল্লাহ তায়ালার রাস্তায় জ্বিহাদ করা। আল্লাহ তায়ালার রাস্তায় জ্বিহাদ করা। (মুসলিম)
ﺍﻟﺠﻨﺔ ﺗﺤﺖ ﻇﻼﻝ ﺍﻟﺴﻴﻮﻑ
৩৩। তরবারীর ছায়াতলে জান্নাত
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻣﻮﺳﻰ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺁﻟﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ‏« ﺇِﻥَّ ﺃَﺑْﻮَﺍﺏَ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔِ ﺗَﺤْﺖَ ﻇِﻼَﻝِ ﺍﻟﺴُّﻴُﻮﻑِ ‏» ” ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﺣﻤﺪ ‏( 4/396 ، ﺭﻗﻢ 19556 ‏) ، ﻭﻣﺴﻠﻢ ‏( 3/1511 ، ﺭﻗﻢ 1902 ‏) ، ﻭﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻯ ‏( 4/186 ، ﺭﻗﻢ 1659 ‏) ﻭﻗﺎﻝ : ﺻﺤﻴﺢ ﻏﺮﻳﺐ . ﻭﺍﺑﻦ ﺣﺒﺎﻥ ‏( 10/477 ، ﺭﻗﻢ 4617 ‏) . ﻭﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﻳﻀًﺎ : ﺍﻟﺮﻭﻳﺎﻧﻰ ‏( 1/340 ، ﺭﻗﻢ 518 ‏) ، ﻭﺃﺑﻮ ﻳﻌﻠﻰ ‏( 13/308 ، ﺭﻗﻢ 7324 ‏) ، ﻭﺍﻟﺤﺎﻛﻢ ‏( 2/80 ، ﺭﻗﻢ 2388 ‏) ﻭﻗﺎﻝ : ﺻﺤﻴﺢ ﻋﻠﻰ ﺷﺮﻁ ﻣﺴﻠﻢ
হযরত আবু মুসা (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন- নিশ্চয় তরবারির ছায়ার নিচে জান্নাতের দরজা রয়েছে। (মুসলিম)
ﺍﻟﺘﺪﺭﻳﺐ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺮﻣﺎﻳﺔ
৩৪। নিক্ষেপণ প্রশিক্ষণ নেওয়া
ﻋﻦ ﻋﻘﺒﺔ ﺑﻦ ﻋﺎﻣﺮ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ ﻳَﻘُﻮﻝُ ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ -ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ – ﻭَﻫُﻮَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻤِﻨْﺒَﺮِ ﻳَﻘُﻮﻝُ ‏« ﻭَﺃَﻋِﺪُّﻭﺍ ﻟَﻬُﻢْ ﻣَﺎ ﺍﺳْﺘَﻄَﻌْﺘُﻢْ ﻣِﻦْ ﻗُﻮَّﺓٍ ﺃَﻻَ ﺇِﻥَّ ﺍﻟْﻘُﻮَّﺓَ ﺍﻟﺮَّﻣْﻰُ ﺃَﻻَ ﺇِﻥَّ ﺍﻟْﻘُﻮَّﺓَ ﺍﻟﺮَّﻣْﻰُ ﺃَﻻَ ﺇِﻥَّ ﺍﻟْﻘُﻮَّﺓَ ﺍﻟﺮَّﻣْﻰُ ‏» ” ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﺣﻤﺪ ‏( 4/156 ، ﺭﻗﻢ 17468 ‏) ، ﻭﻣﺴﻠﻢ ‏( 3/1522 ، ﺭﻗﻢ 1917 ‏) ، ﻭﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ‏( 3/13 ، ﺭﻗﻢ 2514 ‏) ، ﻭﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﻪ ‏( 2/940 ، ﺭﻗﻢ 2813 ‏) ، ﻭﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻯ ‏( 5/270 ، ﺭﻗﻢ 3083)
হযরত উকবা ইবনে আমের (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) হইতে বলিতে শুনিয়াছি তিনি মিম্বরে উপবিষ্ট ছিলেন। তিনি বলেন- তোমরা শত্রুর মোকাবেলায় যতদূর সম্ভব প্রস্তুতি গ্রহন করো। জেনে রাখো প্রকৃত শক্তি হল নিক্ষেপণ করা। প্রকৃত শক্তি হল নিক্ষেপণ করা। প্রকৃত শক্তি হল নিক্ষেপণ করা। (মুসলিম)
ﻭﺟﻮﺏ ﻣﻮﺍﺻﻠﺔ ﺍﻟﺘﺪﺭﻳﺐ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺮﻣﺎﻳﺔ
৩৫। নিক্ষেপণ চর্চা করে যাওয়া ওয়াজিব
ﻭﻋﻨﻪ ‏( ﻋﻦ ﻋﻘﺒﺔ ﺑﻦ ﻋﺎﻣﺮ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ‏) ﻗﺎﻝ : ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺁﻟﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ : ‏« ﻣَﻦْ ﻋَﻠِﻢَ ﺍﻟﺮَّﻣْﻰَ ﺛُﻢَّ ﺗَﺮَﻛَﻪُ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﻣِﻨَّﺎ ﺃَﻭْ ﻗَﺪْ ﻋَﺼَﻰ ‏» ” ﺃﺧﺮﺟﻪ ﻣﺴﻠﻢ ‏( 3/1522 ، ﺭﻗﻢ 1919 ‏) . ﻭﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﻳﻀًﺎ : ﺃﺑﻮ ﻋﻮﺍﻧﺔ ‏( 4/503 ، ﺭﻗﻢ 7494 )
হযরত উকবা ইবনে আমের (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) হইতে বলিতে শুনিয়াছি যে- যে ব্যক্তি তীর নিক্ষেপ করার প্রশিক্ষণ নিয়ে তা আবার ছেড়ে দেয়, সে আমাদের দলভুক্ত নয়। অথবা বলেছেন সে নাফরমানি করলো। (মুসলিম)
ﺍﻟﺒﺮﻛﺔ ﻓﻲ ﻧﻮﺍﺻﻲ ﺍﻟﺨﻴﻞ
৩৬। ঘোড়ার কপালে বরকত থাকা
ﻋَﻦْ ﺃَﻧَﺲِ ﺑْﻦِ ﻣَﺎﻟِﻚٍ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ – ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ – ‏« ﺍﻟْﺒَﺮَﻛَﺔُ ﻓِﻰ ﻧَﻮَﺍﺻِﻰ ﺍﻟْﺨَﻴْﻞِ ‏» ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﺣﻤﺪ ‏( 3/114 ، ﺭﻗﻢ 12146 ‏) ، ﻭﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻯ ‏( 3/1048 ، ﺭﻗﻢ 2696 ‏) ، ﻭﻣﺴﻠﻢ ‏( 3/1494 ، ﺭﻗﻢ 1874 ‏) ، ﻭﺍﻟﻨﺴﺎﺋﻰ ‏( 6/221 ، ﺭﻗﻢ 3571 ‏) ، ﻭﺃﺑﻮ ﻋﻮﺍﻧﺔ ‏( 4/444 ، ﺭﻗﻢ 7266 ‏) ، ﻭﺍﺑﻦ ﺣﺒﺎﻥ ‏( 10/526 ، ﺭﻗﻢ 4670 ‏) . ﻭﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﻳﻀًﺎ : ﺃﺑﻮ ﻳﻌﻠﻰ ‏( 7/187 ، ﺭﻗﻢ 4173 ‏) ، ﻭﺍﻟﻘﻀﺎﻋﻰ ‏( 1/158 ، ﺭﻗﻢ 222 ‏) ، ﻭﺍﻟﺒﻴﻬﻘﻰ ‏( 6/329 ، ﺭﻗﻢ 12671 )
হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন- ঘোড়ার কপালে বরকত রয়েছে। (বুখারি ও মুসলিম)
ﺍﻟﻨﻈﺮ ﺇﻟﻰ ﻣﻮﺿﻊ ﺍﻟﻬﺪﻑ
৩৭। তীরের লক্ষ্যর দিকে দৃষ্টি দেওয়া
ﻋﻦ ﺃﻧﺲ ﺑﻦ ﻣﺎﻟﻚ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﻛﺎﻥ ﺃﺑﻮ ﻃﻠﺤﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻳﺘﺘﺮّﺱ ﻣﻊ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺁﻟﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺑﺘﺮﺱ ﻭﺍﺣﺪ ، ﻭﻛﺎﻥ ﺃﺑﻮ ﻃﻠﺤﺔ ﺣﺴﻦ ﺍﻟﺮﻣﻲ ﻓﻜﺎﻥ ﺇﺫﺍ ﺭﻣﻰ ﻳُﺸﺮﻑ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺁﻟﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓﻴﻨﻈﺮ ﺇﻟﻰ ﻣﻮﺿﻊ ﻧﺒﻠﻪ ”
ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ‏[ ﺭ 2724 ‏] ﻣﺸﻜﻮﺓ 3865 – ‏[ 5 ‏] ‏( ﺻﺤﻴﺢ ) .
হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন, আবু তালহা (রাঃ) একই ঢালের আড়ালে নবী করিম (সাঃ) এর সাথে ছিলেন। আর আবু তালহা দক্ষ তিরন্দাজ ছিলেন। যখনি তিনি তীর নিক্ষেপ করতেন নবী করিম (সাঃ) এগিয়ে গিয়ে নিক্ষিপ্ত তীর পতিত হওয়ার জায়গা লক্ষ্য করতেন। (বুখারি)
ﻓﻀﻞ ﺻﺎﻧﻌﻲ ﺃﺳﻠﺤﺔ ﺍﻟﺠﻬﺎﺩ
৩৮। যুদ্ধের অস্ত্র নির্মাণকারীর ফজিলত
ﻋﻦ ﻋﻘﺒﺔ ﺑﻦ ﻋﺎﻣﺮ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺁﻟﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ
ﺇﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻳﺪﺧﻞ ﺑﺎﻟﺴﻬﻢ ﺍﻟﻮﺍﺣﺪ ﺛﻼﺛﺔ ﻧﻔﺮ ﺍﻟﺠﻨﺔ : ﺻﺎﻧﻌﻪ ﻳﺤﺘﺴﺐ ﻓﻲ ﺻﻨﻌﺘﻪ ﺍﻟﺨﻴﺮ ، ﻭﺍﻟﺮﺍﻣﻲ ﺑﻪ ، ﻭﻣﻨﺒِّﻠﻪ ” ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺑﻮﺩﺍﻭﺩ ﻭﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ﻭﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﻪ ﻭﺍﻟﻨﺴﺎﺋﻲ ﻗﺎﻝ ﺍﻟﺸﻴﺦ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ : ‏( ﺿﻌﻴﻒ ‏) ﺍﻧﻈﺮ ﺣﺪﻳﺚ ﺭﻗﻢ : 1732 ﻓﻲ ﺿﻌﻴﻒ ﺍﻟﺠﺎﻣﻊ
হযরত উকবা ইবনে আমের (রাঃ) হইতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে বলিতে শুনিয়াছি যে- নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা এক তীরের উসীলায় তিন প্রকার লোককে জান্নাত প্রদান করবেন। ১) তীর নির্মাণকারী যে সওয়াব এর নিয়তে তৈরি করে। ২) তীর নিক্ষেপকারী। ৩) তীর প্রদানকারী। (আবু দাউদ, তিরমিযি, ইবনে মাজাহ, নাসাঈ।)
ﻣﻼﺣﻈﺔ ﺃﺳﻠﺤﺔ ﺍﻟﺠﻬﺎﺩ
৩৯। জ্বিহাদের অস্ত্র সমূহের প্রতি খেয়াল রাখা
ﻋﻦ ﻋﺮﻭﺓ ﺍﻟﺒﺎﺭﻗﻲ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : ” ‏« ﺍﻟْﺨَﻴْﻞُ ﻣَﻌْﻘُﻮﺩٌ ﺑِﻨَﻮَﺍﺻِﻴﻬَﺎ ﺍﻟْﺨَﻴْﺮُ ﺇِﻟَﻰ ﻳَﻮْﻡِ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ ﺍﻷَﺟْﺮُ ﻭَﺍﻟْﻐَﻨِﻴﻤَﺔُ ‏» ” ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ﻭﻣﺴﻠﻢ 4955 ﻗﺎﻝ ﺍﻟﺸﻴﺦ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ : ‏( ﺻﺤﻴﺢ ‏) ﺍﻧﻈﺮ ﺣﺪﻳﺚ ﺭﻗﻢ : 3353 ﻓﻲ ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻟﺠﺎﻣﻊ
হযরত উরঅয়া আল বারেকা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নিশ্চয় নবী করিম (সাঃ) এরশাদ করেন- কেয়ামত পর্যন্ত ঘোড়ার কপালে মঙ্গল, অর্থাৎ প্রতিদান ও গণিমত রয়েছে। (বুখারি ও মুসলিম)
ﺃﺟﺮ ﺍﻟﻌﺎﻣﻠﻴﻦ ﻓﻲ ﺍﻟﻘﻮﺍﺕ ﺍﻟﺒﺤﺮﻳﺔ ﻟﻠﺪﻓﺎﻉ ﻋﻦ ﺣﻮﺯﺓ ﺍﻹﺳﻼﻡ
৪০। সামুদ্রিক বাহিনীতে অংশগ্রহণকারীর ফজিলত। যাহা ইসলামের প্রতিরক্ষা কল্পে হয়
ﻋﻦ ﺃﻡ ﺣﺮﺍﻡ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : ” ﺍﻟﻤﺎﺋﺪ ﻓﻲ ﺍﻟﺒﺤﺮ ﺍﻟﺬﻱ ﻳﺼﻴﺒﻪ ﺍﻟﻘﻲﺀ ﻟﻪ ﺃﺟﺮ ﺷﻬﻴﺪ ، ﻭﺍﻟﻐﺮﻳﻖ ﻟﻪ ﺃﺟﺮ ﺷﻬﻴﺪﻳﻦ ” ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ‏( 3/7 ، ﺭﻗﻢ 2493 ‏) ، ﻭﺍﻟﺒﻴﻬﻘﻰ ‏( 4/335 ، ﺭﻗﻢ 8451 ‏) ﻗﺎﻝ ﺍﻟﺸﻴﺦ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ : ‏( ﺻﺤﻴﺢ ‏) ﺍﻧﻈﺮ ﺣﺪﻳﺚ ﺭﻗﻢ : 6642 ﻓﻲ ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻟﺠﺎﻣﻊ
হযরত উম্মে হাফসা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন- সামুদ্রিক জ্বিহাদে গিয়ে যার মাথা ঘুরে ও বমি হয় সেউ শহীদের সমান সওয়াব লাভ করবে। আর যে সমুদ্রে ডুবে গিয়ে মারা যাবে সে দুজন শহীদের ফজিলত লাভ করবে। (হাদিসটি হাসান, আবু দাউদ)
———-*****———- #1
“মদীনাবাসী ও পাশ্ববর্তী পল্লীবাসীদের উচিত নয় রসূলুল্লাহর সঙ্গ ত্যাগ করে পেছনে থেকে যাওয়া এবং রসূলুল্লাহর প্রাণ থেকে নিজেদের প্রাণকে অধিক প্রিয় মনে করা। এটি এজন্য যে, আল্লাহর পথে যে তৃষ্ণা, ক্লান্তি ও ক্ষুধা তাদের স্পর্শ করে এবং তাদের এমন পদক্ষেপ যা কাফেরদের মনে ক্রোধের কারণ হয় আর শত্রুদের পক্ষ থেকে তারা যা কিছু প্রাপ্ত হয়-তার প্রত্যেকটির পরিবর্তে তাদের জন্য লিখিত হয়ে নেক আমল। নিঃসন্দেহে আল্লাহ সৎকর্মশীল লোকদের হক নষ্ট করেন না।”(সূরাঃতাওবা,আয়াতঃ১২০)

                            ----------------------------------------------------------------------------------
                          '' শুধু নিজে শিক্ষিত হলে হবেনা, প্রথমে বিবেকটাকে শিক্ষিত করুন। ''
বিজ্ঞাপনের জন্য

রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৯

হজ্জের নিয়ম-কানুন

      হজ্জ আল্লাহ প্রেম ও বিশ্ব মুসলিমের ভ্রাতৃত্ববন্ধনের অন্যতম পথ। হজ্জ বিশ্ব মুসলিমের সামাজিক, রাজনৈতিক ও আধ্যাত্মিক ঐক্যের এক অত্যুজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এটি আল্লাহর নির্দেশিত এমন একটা ফরয বিধান, যা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ পঞ্চম স্তম্ভ এবং ইসলামের অপরাপর বিধান থেকে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। হজ্জে আর্থিক ও কায়িক শ্রমের সমন্বয় রয়েছে, যা অন্য কোন ইবাদতে একসঙ্গে পাওয়া যায় না। হজ্জ সারা বিশ্বের সহীহ মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও সাম্যের প্রতীক। যার ওপর হজ্জ ফরয তাকে অবশ্যই হজ্জ আদায় করতে হবে। ৮ যিলহজ্জ থেকে ১২ যিলহজ্জ পর্যন্ত এই ৫ দিনে মক্কা মুকাররমা ও তার আশে পাশের কয়েকটি জায়গায় (মক্কায় তাওয়াফ, সাফা-মারওয়ায় সায়ী, মিনার তাঁবুর জীবন, আরাফাতের বিশাল প্রান্তরে অবস্থান, মুজদালিফায় রাত্রি যাপন আবার মিনাতে প্রত্যাবর্তন, জামরাগুলোতে কংকর নিক্ষেপ, মিনাতে পশু কুরবানী, আবার ক্বাবা তাওয়াফ, সাফা-মারওয়ায় সায়ী ইত্যাদি) কিছু কর্তব্য কার্য সম্পাদন করাকে ইসলামের পরিভাষায় হজ্জ বলা হয়।‘হজ্জ’অর্থ কছদ, সংকল্প। 
হজ্জের আভিধানিক অর্থ হলো যিয়ারতের এরাদা করা। শরীয়তের পরিভাষায় হজ্জের অর্থ কতক কার্যক্রম সম্পাদন করার উদ্দেশ্যে ইহ্রামের সাথে বায়তুল্লাহ জেয়ারতের সংকল্প। অর্থাৎ আল্লাহকে রাজি খুশী করার উদ্দেশ্যে শরীয়তের বিধান অনুসারে হজ্জের ইহ্রাম বেঁধে বায়তুল্লাহ শরীফসহ নির্দিষ্ট সময়ে  নির্দিষ্ট স্থানসমূহে, নির্দিষ্ট কর্মসমূহ সুনির্দিষ্ট পন্থায় সম্পাদন (যিয়ারত) করাকে ইসলামের পরিভাষায় হজ্জ বলা হয়। হজ্জ একাধারে আর্থিক,শারীরিক ও মানসিক এবাদত। এতে অর্থ ব্যয় হয়, শারীরিক পরিশ্রম হয়, পরিবার পরিজনের মায়া ত্যাগ করার মত মানসিক কষ্টও রয়েছে। ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে পবিত্র মক্কা শরীফে যাতায়াতের খরচ বহন এবং ওই সময় স্বীয় পরিবারের ব্যয়ভার নির্বাহে সক্ষম, দৈহিকভাবে সামর্থ, প্রাপ্তবয়স্ক জ্ঞানবান প্রত্যেক সহীহ মুসলিম নর-নারীর ওপর জীবনে একবার হজ্জ ফরয। সঠিকভাবে হজ্জব্রত আদায়কারীকেও দেয়া হয়েছে জান্নাতের সুসংবাদ। একবার হজ্জ করা ফরজ। একবারের বেশী করলে সেটা নফল।
ইসলামী ইবাদতসমূহের মধ্যে হজ্জের গুরুত্ব অপরিসীম। নি¤েœ কোরআন, হাদীস ও শরীয়তের দৃষ্টিতে হজ্জের গুরুত্ব আলোচনা করা হলো।
হজ্জের উদ্দেশ্য
হজ্জের উদ্দেশ্য হলো সারা বিশ্বের সহীহ মুসলিমদের সম্মিলিত করার মাধ্যমে আল্লাহর হুকুম পালন ও তাদের কল্যাণ সাধন করা। এক কথায় শিরক পরিহার করে আল্লাহকে একমাত্র প্রভু হিসেবে স্বীকার করে নেয়া। হজ্জ অনুষ্ঠান বিশ্ব সহীহ মুসলিম ঐক্য-সংহতি ও ভ্রাতৃত্বের এক অপূর্ব নিদর্শন। হজ্জের উদ্দেশ্য হলো আল্লাহকে রাজি খুশী করা। তালবিয়া ঘোষণার মাধ্যমে তাওহীদ ভিত্তিক জীবন যাপন করতে অঙ্গীকার বদ্ধ হওয়া।
কোরআনের আলোকে হজ্জের গুরুত্ব 
১. আর তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ্জ ও ওমরাহ পরিপূর্ণভাবে পালন কর। (সূরা আল বাকারা-আয়াত-১৯৬)
২. মক্কার কা’বা ঘরই দুনিয়ায় প্রথম হেদায়েতের কেন্দ্র, মহান আল্লাহর  ঘোষণা: “মানব জাতির সর্বপ্রথম যে গৃহ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তা তো বাক্কায় (মক্কার আরেক নাম বাক্কা), তার বরকতময় ও বিশ্বজগতের দিশারী” (সূরা আল ইমরান-৯৬)
৩. সার্বিক নিরাপত্তার স্থান কা’বা ঘর: মহান আল্লাহ বলেন:“তাতে অনেক সুষ্পষ্ট নিদর্শন আছে যেমন মাকামে ইব্রাহীম; এবং যে কেউ সেথায় প্রবেশ করে সে নিরাপদ”। (সূরা আল ইমরান-৯৭)
৪. প্রত্যেক সামর্থবান মুসলিমের জীবনে একবার হজ্জ করা অবশ্য কর্তব্য বা ফরয:মহান আল্লাহর নির্দেশ “মানুষের মধ্যে যার সেখানে পৌছাঁর সামর্থ আছে আল্লাহর উদ্দেশ্যে ঐ গৃহের হজ্জ করা তার অবশ্য কর্তব্য এবং কেউ (অর্থাৎ সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও হজ্জ করতে আসবে না) প্রত্যাখ্যান করলে সে জেনে রাখুক যে,আল্লাহ সমগ্র সৃষ্টিজগতের মুখাপেক্ষী নহেন।” (সূরা আল ইমরান-আয়াত-৯৭)
৫. যখন ইব্রাহীমের জন্য এই ঘরের স্থান ঠিক করেছিলাম একথা বলে যে, এখানে কোন প্রকার শিরক করো না এবং আমার ঘরকে তাওয়াফকারী ও নামাযীদের জন্য পাক-সাফ করে রাখ। আর লোকদেরকে হজ্জ করার জন্য প্রকাশ্যভাবে আহ্বান জানাও। তারা যেন এখানে পায়ে হেঁটে আসুক কিংবা দূরবর্তী স্থান থেকে কৃশ উটের পিঠে চড়ে আসুক। এখানে এসে তারা যেন দেখতে পায় তাদের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণের কত সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে এবং নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহর দেয়া জন্তুগুলোকে আল্লাহর নামে কুরবানী করবে। তা থেকে নিজেরাও খাবে এবং দরিদ্র ও অভাবগ্রস্ত লোকদেরও খেতে দেবে। (সূরা আল হজ্জ : ২৬-২৮)
৬. নিশ্চয় সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শন সমূহের অন্তর্ভুক্ত। কাজেই যে ব্যক্তি আল্লাহর ঘরের হজ্জ অথবা ওমরাহ করবে,এই দুই পাহাড়ের মাঝে দৌঁড়ানো তার জন্য কোন গুনাহর কাজ হবেনা (বরং সওয়াবের কাজ হবে)। (সূরা আল বাকারা ১৫৮)
৭. আমরা মানুষের জন্য কিরূপে বিপদশূন্য ও শান্তিপূর্ণ হেরেম তৈরী করেছি তা কি তারা দেখতে পারেনি। অথচ তার চারপাশে লোক লুণ্ঠিত ও ছিনতাই হয়ে যেত। (সূরা আল আনকাবুত : ৬৭) অর্থাৎ আরবের চারদিকে যখন লুট-তরাজ, মারপিট, দাঙ্গা হাঙ্গামা ও যুদ্ধ-বিগ্রহ ইত্যাদি অশান্তির সয়লাব বয়ে যেত তখনও এই হেরেমে সর্বদা শান্তি বিরাজ করতো। এমন কি দুর্ধর্ষ মরু বেদুঈন যদি এর সীমার মধ্যে তার পিতৃহত্যাকেও দেখতে পেত, তবু এর মধ্যে বসে তাকে স্পর্শমাত্র করতে সাহস পেত না।
৮. এবং স্মরণ কর, যখন আমরা এ ঘরকে লোকদের কেন্দ্র ও নিরাপদ আশ্রয়স্থল বানিয়ে ছিলাম এবং ইব্রাহীমের ইবাদতের স্থানকে মুসাল্লা (জায়নামায) বানাবার নির্দেশ দিয়েছিলাম। আর তাওয়াফকারী অবস্থানকারী এবং নামাযীদের জন্য আমার ঘরকে পাক ও পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ইব্রাহীম ও ইসমাঈলকে নির্দেশ দিয়েছিলাম। পরে যখন ইব্রাহীম দু’আ করলো হে পালন কর্তা! আপনি এই শহরকে শান্তিপূর্ণ জনপদে পরিণত করুন এবং এখানকার অধিবাসীদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী তাদের জন্য ফল-মূল দ্বারা জীবিকার সংস্থান করে দিন। (সূরা আল বাকারা ১২৫-১২৬)
৯. এবং স্মরণ কর ইব্রাহীম ও ইসমাঈল যখন এই ঘরের ভিত্তি স্থাপনকালে দু’আ করেছিল; হে আমাদের রব। আমাদের এ চেষ্টা কবুল কর। তুমি সব কিছু জান ও সব কিছু শুনতে পাও। হে আমাদের পালন কর্তা। তুমি আমাদের দু’জনকেই সহীহ মুসলিম অর্থাৎ তোমার অনুগত কর এবং আমাদের বংশধর থেকে এমন একটি জাতি তৈরী কর যারা একান্তভাবে তোমারই অনুগত হবে। আমাদেরকে তোমার ইবাদত করার পন্থা বলে দাও, আমাদের প্রতি ক্ষমার দৃষ্টি নিক্ষেপ কর। তুমি বড়ই ক্ষমাশীল ও দয়াময়। হে পরওয়ারদিগার! তুমি সে জাতির প্রতি তাদের মধ্য থেকে এমন একজন রাসূল পাঠাও যিনি তাদেরকে তোমার বাণী পড়ে শুনাবে। তাদেরকে কিতাব ও জ্ঞানের শিক্ষা দিবে এবং তাদের চরিত্র সংশোধন করবে। নিশ্চয় তুমি সার্বভৌম ক্ষমতা সম্পন্ন এবং বিজ্ঞ।” (সূরা আল বাকারা : ১২৭-১২৯) 
১০.এবং স্মরণ কর, যখন ইব্রাহীম দু’আ করেছিল-হে আল্লাহ! এ শহরকে শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ বানিয়ে দাও। আমাকে এবং আমার সন্তানকে মূর্তি পূজার শিরক থেকে বাঁচাও। হে আল্লাহ! এ মূর্তিগুলো অসংখ্য লোককে গুমরাহ করেছে। অতএব, যে আমার পন্থা অনুসরণ করবে সে আমার আর যে আমার পন্থার বিপরীত চলবে তখন তুমি নিশ্চয় বড় ক্ষমাশীল ও দয়াময়। পরওয়ারদিগার! আমি আমার বংশধরদের একটি অংশ তোমার এই মহান ঘরের একটি এ ধূসর মরুভূমিতে এনে পুনর্বাসিত করেছি। এ উদ্দেশ্যে যে, তারা নামাযের ব্যবস্থা কায়েম করবে। অতএব হে আল্লাহ। তুমি লোকদের মনে এতদূর উৎসাহ দাও যেন তারা এদের দিকে দলে দলে চলে আসে এবং ফল-মূল দ্বারা তাদের জীবিকার ব্যবস্থা কর। হয়ত এরা তোমার কৃতজ্ঞ বান্দা হবে। (সূরা ইব্রাহীম-৩৫-৩৬)
১১. কুরাইশদের মনোবাঞ্ছনা পূরণের কারণে, তথা শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন বাণিজ্য সফরসমূহে তাদের বিশেষ মর্যাদার কারণে। অতএব তাদের উচিৎ তারা যেন এ ক্বাবা গৃহের প্রতিপালকের ইবাদতে নিবেদিত হয়, যিনি তাদেরকে দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দিয়ে আহার্য সরবরাহ করেছেন এবং ভয় ভীতি হতেও দিয়েছেন পরিত্রাণ। (সূরাতুল ফীল)
১২. আর তোমরা যেখানেই থাকনা কেন আর মসজিদ আল হারামের দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করবে। (সূরা আল ইমরান-১৪৪)
১৩. আল্লাহ কা’বা তথা পবিত্র গৃহকে মানবগোষ্ঠীর অস্তিত্বের জন্য রক্ষাকবচ করেছেন। আর সম্মানিত মাস, কুরবানীর উদ্দেশ্যে নিবেদিত জন্তু ও এজন্তুর গলায় স্থাপিত চিহ্নসমূহকেও। ইহা এজন্যই যে তোমরা যেন জ্ঞাত হও যে আল্লাহ তা’আলা আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু ঘটছে তার সকল বিষয়ে জ্ঞান রাখেন এবং আল্লাহ হচ্ছেন সর্ব বিষয়ে সর্বজ্ঞা। (সূরা মায়েদা-৯৭)
হাদীসের আলোকে হজ্জের গুরুত্ব
ক. হজ্জ কখন কাদের উপর ফরজ
১. রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাণী হলো-ইসলামের বুনিয়াদ পাঁচটি: আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই আর মুহাম্বাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর রাসূল-এ কথার সাক্ষ্য দেয়া, সালাত কায়েম করা, যাকাত আদায় করা, হজ্জ সম্পন্ন করা ও রমযানের সাওম আদায় করা। (সহীহ আল বুখারী-৮ ও মুসলিম-১১৩)
২. প্রতিটি স্বাধীন, সুস্থ, বালেগ, বুদ্ধিমান ও সামর্থ্যবান মুসলিমের ওপর জীবনে কমপক্ষে একবার কা’বাঘরের হজ্জ আদায় করা ফরয। হযরত ওমার ইবনুল খাত্তাব ও আবু হুরায়রা রাদিয়াআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তারা বলেন:“একবার রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের সামনে খুতবা প্রদান উপলক্ষে বলেছিলেন। লোক সকল! তোমাদের উপর যে হজ্জ অবশ্যই ফরজ করা হয়েছে, তাতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। সুতরাং তোমরা হজ্জ আদায় কর। তখন জনৈক ব্যক্তি প্রশ্ন করলেন, প্রতি বছরই কি আমাদের ওপর হজ্জ আদায় করা ফরয? রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জবাব না দিয়ে চুপ থাকলেন। প্রশ্নকারী তার প্রশ্ন তিনবার পুনরাবৃত্তি করলো। এরপর আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আমি যদি হ্যাঁ বলতাম তবে তোমাদের ওপর প্রতি বছর হজ্জ করা ফরয হয়ে যেতো, যা তোমরা পালন করতে পারতে না। (সহীহ মুসলিম-৩২৫৭)
৩. যে ব্যক্তি ভরন পোষণ জোগানোর পর হজ্জে যাওয়ার সামর্থ রাখে তার উপর আল্লাহ পাক হজ্জকে ফরজ করেছেন। (সহীহ মুসলিম)
৪. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা:) থেকে বর্ণিত এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খেদমতে হাজীর হয়ে নিবেদন করল, হজ্জ কখন ফরজ হয়? রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন যখন পবিত্র মক্কা পর্যন্ত যাতায়াতের পথ খরচ ও যানবাহনের ব্যবস্থা হয়ে যায়। (ইবনে মাজাহ ও তিরমিযী)
অধিকাংশ ফকীহদের মতে শর্তাবলী পুরণ হলে সাথে সাথেই হজ্জ আদায় করা ফরয। সেক্ষেত্রে বিলম্ব করার কারণে গুনাহগার হতে হবে।
খ. হজ্জ পালনকারীদের দায়িত্ব আল্লাহর
১. আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তা’আলা তিন ব্যক্তির দায়িত্ব গ্রহণ করেন: (ক) যে ব্যক্তি আল্লাহর কোন মসজিদের উদ্দেশে বের হয় (খ) যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে জিহাদ করতে বের হয় (গ) যে ব্যক্তি হজ্জের উদ্দেশ্যে বের হয়।
গ. মাবরুর হজ্জের বিনিময় হলো জান্নাত
১.  জাবির (রা:) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, মাবরুর হজ্জের প্রতিদান কেবল জান্নাত। (মুসনাদে আহমদ)
২. হযরত আবু হুরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, এক ওমরাহ হতে অন্য ওমরাহ এ দুয়ের মধ্যে যা কিছু গুনাহ হবে তার কাফফারা। আর মাবরুর হজ্জের বিনিময় জান্নাত ভিন্ন অন্য কিছু নয়। (সহীহ আল সহীহহাদীস নং-১৭৭৩ ও মুসনাদে আহমাদ-২/২৪৬)
৩. আবু দারদা (রা:) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন; এক ওমরাহ হতে আরেক ওমরাহ-এর মধ্যবর্তী গুনাহের কাফফারা এবং কবুল হজ্জের একমাত্র বিনিময় হলো জান্নাত। (সহীহ মুসলিম)
৪. হযরত বিবি উম্মে সালমা (রা:) বলেন : আমি রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি : যে ব্যক্তি বায়তুল মাকদাস হতে (মক্কার) বায়তুল হারামের দিকে হজ্জ বা ওমরাহর ইহরাম বাঁধে, তার পূর্বের বা পরের গুনাহ মাফ করা হবে। অথবা তিনি বলেছেন, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। 
৫. রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি: বিশুদ্ধ মকবুল একটি হজ্জ পৃথিবী ও পৃথিবীর মধ্যকার সব বস্তু থেকে উত্তম। বেহেশত ছাড়া আর কোন কিছুই এর বিনিময় হতে পারে না। (সহীহ আল বুখারী ও মুসলিম)
ঘ. হজ্জ গুনাহমোচন করে
১. হযরত আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত; রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য হজ্জ করলো, অতঃপর অশ্লীলতা এবং গুনাহের কাজ পরিহার করলো সে যেন সে দিনের মতো নিষ্পাপ অবস্থায় (নিজ ঘরে) ফিরে আসলো যে দিন তার মা তাকে জন্ম দিয়েছিল। (সহীহ আল বুখারী-১৪২৪)
২. আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি : যে ব্যক্তি হজ্জ করে, তার মধ্যে বাজে কথা বলে না এবং কোন গুনাহর কাজও করে না, সে নিজের গুনাহ থেকে এমনভাবে মুক্ত ও পবিত্র হয়ে ফিরে যায়, যেন তার মা তাকে (এখনই) প্রসব করেছেন।
৩. ওমরাহর জন্য ও বড় সওয়াবের ওয়াদা রয়েছে। হাদীসে আছে হজ্জ এবং ওমরাহ উভয় গুনাহগুলোকে এমন ভাবে দূর করে দেয়, যেমন আগুন লোহার মরিচাকে দূর করে দেয়।
৪.হযরত আমর বিন আল-আস হতে বণিত; রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ইসলাম গ্রহণ যেমন অতীত জীবনের গুনাহসমূহ নিশ্চিহ্ন করে দেয়; তেমনি হজ্জ পালন অতীতের সব পাপ মোচন করে দেয়। (বায়হাকী)
৫. হযরত আমর ইবনুল আস (রা:) বর্ণনা করেন রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, হে আমর কেউ যদি ইসলামে দীক্ষিত হয়! তবে ইতোপূর্বে কৃত তার সকল গুনাহ মাফ হয়ে যায়। আর হিজরত দ্বারা ইতোপূর্বে কৃত সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যায়। তেমনি হজ্জ ইতোপূর্বে কৃত সমস্ত গুনাহ শেষ করে দেয়। (সহীহ মুসলিম)
ঙ. হজ্জ ও ওমরাহকারী হলো আল্লাহর প্রতিনিধি
১. আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা:) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, আল্লাহর পথের মুজাহিদ এবং হজ্জ ও ওমরাহকারী হলো আল্লাহর প্রতিনিধি। তারা যদি আল্লাহকে ডাকে আল্লাহ তাদের ডাকে সাড়া দেন। আর তারা যদি গুনাহ মাফ চায় আল্লাহ তাদের গুনাহ মাফ করে দেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ)
২. অন্য বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, হজ্জ ও ওমরাহকারীরা হলো আল্লাহর প্রতিনিধি। তারা আল্লাহর ডাকে সাড়া দেন আর আল্লাহও তাদের প্রার্থনা কবুল করেন। (মুসনাদে বাযযার)
৩. হযরত আবু হুরায়রা (রা:) রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন: হজ্জ ওমরাহকারীরা হচ্ছে আল্লাহর দাওয়াতী যাত্রীদল। অতএব তারা যদি তাঁর নিকট প্রার্থনা করেন তবে তিনি তা কবুল করেন এবং যদি ক্ষমা চান তবে তিনি তাদেরকে ক্ষমা করে দেন। (ইবনে মাজাহ-২৮/৮৩)
চ. সর্বোত্তম আমল হজ্জ
১.আবু হুরায়রা (রা:) থেকে বলতে শুনেছি তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো, সর্বোত্তম আমল কোনটি? তিনি বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন। জিজ্ঞাসা করা হলো, এরপর কী? বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদ করা। বলা হলো এরপর? তিনি বললেন, মাবরুর হজ্জ। (সহীহ আল বুখারী-১৪২২)
২. উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা (রা:) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমরা জিহাদকে সর্বোত্তম আমল মনে করি। তাহলে আমরা (নারীরা) কি জিহাদ করব না? নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, না। তোমাদের জন্য উত্তম জিহাদ হলো মাবরুর হজ্জ। (সহীহ আল বুখারী)
৩. সর্বোত্তম আমল কী এ ব্যাপারে এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন। উত্তরে বললেন, অদ্বিতীয় আল্লাহর প্রতি ঈমান, ও তারপর মাবরুর হজ্জ যা সকল আমল থেকে শ্রেষ্ঠ। সূর্য উদয় ও অস্তের মধ্যে যে পার্থক্য ঠিক তারই মত। (মুসনাদে আহমাদ-৪/৩৪২)
৪. অন্য এক হাদীসে এসেছে, উত্তম আমল কি এই মর্মে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো। উত্তরে তিনি বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান। বলা হল, তারপর কী? তিনি বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদ। বলা হল তারপর  কোনটি? তিনি বললেন, মাবরুর হজ্জ।
৫. রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে হজ্জ গুনাহ এবং অন্যান্য খারাবি থেকে পবিত্র হবে, তার পুরষ্কার বেহশত ছাড়া অন্য কিছুই নয়। হজ্জ অতি উত্তম ইবাদত।
৬. মাবরুর হজ্জ ঐ হজ্জকে বলা হয় যে হজ্জের সাথে কোন গুনাহের কাজের সংমিশ্রণ হয় না। (ফিকহুস সুন্নাহ-১/৫২৭)
ছ. জেহাদের মর্যাদা
১. উম্মে সালমা (রা:) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, হজ্জ হলো প্রত্যেক দুর্বলের জিহাদ। (সুনানে ইবনে মাজাহ)
২. হযরত আবু হুরায়রা (রা:) বলেন : রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি হজ্জ, ওমরাহ অথবা আল্লাহর রাস্তায় জেহাদের নিয়তে বের হয়, অতঃপর ঐ পথে মারা যায়, তার আমলনামায় গাজী, হাজী বা ওমরাহকারীর সওয়াব লেখা হয়। (বায়হাকী)
৩. হযরত আয়েশা (রা:) থেকে বর্ণিত হাদীস: তিনি বলেন, আমি প্রশ্ন করলাম- হে আল্লাহ রাসূল মহিলাদের ওপর কি জিহাদ ফরয? তিনি জবাবে বললেন, হ্যাঁ, তাদের ওপর এমন জিহাদ ফরয যাতে কিতাল ((রক্তপাত) নেই, আর তা হলো হজ্জ ও ওমরাহ। ইমাম আহমদ-২৫৩২২, ইবনে মাজাহ-২৯০১-এর দ্বারা জীবনে একবার ওমরাহ করাও ফরয় হওয়ার দলিল দিয়েছেন।
জ. অন্যান্য সওয়াব
১. হযরত আয়েশা (রা:) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,“আল্লাহ আরাফাহ’র দিন এতো সংখ্যক মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন যা অন্য কোন দিন দেন না। এদিন আল্লাহ তা’আলা নিকটবর্তী হন ও আরাফাহ ময়দানে অবস্থানরত হাজীদেরকে নিয়ে তিনি ফেরেশতাদের সাথে গর্ব করেন ও বলেন - ‘ওরা কী চায়?’ (সহীহ মুসলিম-১৪৮) 
২. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা:) বলেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কোনো মুমিন যখন ইহরামের হালতে দিন কাটাবে তখন সূর্য তার সব গুনাহ নিয়ে অস্ত যাবে। আর কোনো সহীহ মুসলিম যখন আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হজ্জের তালবিয়া পাঠ করবে তখন তার ডানে-বামে পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত সবকিছু তার পেস্যা দেবে। (জামে তিরমিযি হাদিস-৮১০; তারগির, হাদিস-১৭০৩) 
৩.    রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ক্বাবা গৃহের উপর প্রত্যহ একশত বিশটি রহমত নাযিল হয়। ষাটটি তাওয়াফকারীদের জন্য, চল্লিশটি নামাজ আদায়কারীদের জন্য এবং বিশটি দর্শকদের জন্য।
৪.    রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি মক্কা থেকে পাঁয়ে হেঁটে হজ্জব্রত পালন করে পুনরায় মক্কায় ফিরে আসেন তাঁর প্রতি কদমে হারাম শরীফের সওয়াবের সাতশত সওয়াব লেখা হয় এবং হারাম শরীফের প্রতিটি সওয়াবের পরিমাণ হচ্ছে লাখ গুণ।
৫. সাহল বিন সা’দ (রা:) হতে বির্ণিত; রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কোন মুসলমান যখন তালবিয়া (লাব্বাইকা................) বলে তখন তার ডান ও বাম পার্শ্বে প্রতিটি পাথর, গাছ ও বালুকণা তার সাথে তালবিয়া পড়তে থাকে, যতদূর পর্যন্ত তার কণ্ঠস্বর পৌঁছে। (তিরমিযি)
ঝ. হজ্জ ও ওমরাহ দারিদ্রতা দূর করে
১. রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যিনি হজ্জ করেন তিনি কখনো দরিদ্র হন না। (সহীহ মুসলিম)
২. হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা:) বলেন: রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, হজ্জ ও ওমরাহ এক সাথে করো। কেননা এ দু’টি ইবাদত দারিদ্রতা ও গুনাহদূর করে, যেভাবে হাপর লোহা ও সোনা-রূপার ময়লা দূর করে। কবুল হজ্জের সওয়াব জান্নাত ছাড়া আর কিছু নয়। (তিরমিযি ও নাসায়ী)
৩. ইবনে মাসউদ (রা:) হতে বর্ণিত এক হাদিসে এসেছে, তোমরা পর পর হজ্জ ও ওমরাহ আদায় করো। কেননা তা দারিদ্রতা ও পাপকে সরিয়ে দেয় যেমন সরিয়ে দেয় কামারের হাপর লৌহ-স্বর্ণ-রূপার ময়লাকে। আর হজ্জে মাবরুর সওয়াব তো জান্নাত ভিন্ন অন্য কিছু নয়। (সহীহ ইবনে খুজাইমাহ-৪/১৩০)
৪. হযরত ইবনে ওমর (রা:) হতে বর্ণিত; রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, কোন হাজীর সাথে সাক্ষাতের সময় তাকে সালাম দেবে, মোসাফাহ করবে, তোমার মাগফিরাতের জন্য দোয়া করতে বলবে। কেননা হাজীগণ ক্ষমাপ্রাপ্ত। (তিরমিযি)
৫. হযরত আয়েশা (রা:) হতে বর্ণিত; রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ফিরিশতাগণ যানবাহনে আরোহী হাজীদের সাথে মোসাফাহ করেন এবং পদচারী হাজীদের সাথে আলিঙ্গন করেন। (মিশকাত)
ঞ. সামর্থ থাকা সত্ত্বেও হজ্জ পালন না করার পরিণতি
১. হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্তকবাণী উচ্চারণ করে বলেছেন, যে ব্যক্তি পূর্ণ সামর্থ থাকা সত্ত্বেও হজ্জ করল না, বা হজ্জকে উপেক্ষা করল, সে ইয়াহুদি হয়ে মরল না নাসারা হয়ে মরল তাতে আল্লাহ তায়ালার কোন কিছু আসে যায় না। (তিরমিযি)
২. রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেন, “যার কোন প্রকাশ্য অসুবিধা নেই, কোন যালিম বাদশাও যার পথ রোধ করেনি এবং যাকে কোন রোগ অসমর্থ করে রাখেনি এতদসত্ত্বেও সে যদি হজ্জ না করে মারা যায় তাহলে সে ইয়াহুদী বা খ্রিষ্টান হয়ে মরতে পারে।” (দায়েমী)
৩. হযরত ওমর ফারুক (রা:) এ ব্যাখ্যায় বলেছেন: সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যারা হজ্জ করে না তাদের ওপর জিযিয়া কর আরোপ করতে ইচ্ছে হয়; কারণ তারা, মুসলমান নয়।
সুতরাং হাদীসের শিক্ষাই হচ্ছে হজ্জ ফরজ হওয়ার পর কেউ কোন ওযর ব্যতিত হজ্জ পালন না করে মারা গেলে সে ইসলামের গন্ডি থেকে বেরিয়ে গেল। একথা প্রমাণিত হলো যে, ইসলামে হজ্জ অবহেলা করার কোন বিষয় নয় এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যিযিয়ার বিষয়টি আরো গুরুত্বপূর্ণ। হজ্জ ফরজ হওয়ার পর হজ্জ না করলে সহীহ মুসলিম থাকারই সুযোগ থাকবে না। হজ্জ পালন করা মহান আল্লাহর নির্দেশ। হজ্জ পালন করার মাধ্যমে যেহেতু আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ আদায় করা হয়ে থাকে, সেহেতু এর মাধ্যমে তাঁর সন্তুুষ্টি অর্জনও ত্বরান্বিত হয়। আর তাঁকে সন্তুষ্ট করতে পারলে পরকালীন মুক্তি অর্জন অবশ্যই সম্ভব হবে।
শরীয়তের দৃষ্টিতে হজ্জের বিধান 
* ক্ষমতা ও সামর্থ্যবান লোকদের জন্য জীবনে একবার হজ্জ করা ফরজ। 
* হজ্জ পরিত্যাগকারীর প্রতি ভর্ৎসনা করা হয়েছে।
* হজ্জ ফরয হওয়ার পর অবহেলা করা চরম দুর্ভাগ্যের বিষয়। এহেন লোকদের প্রতি হাদিস শরীফে কঠোর শাস্তির ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে। জীবনের কোন নিশ্চয়তা নাই। সুতরাং অনতিবিলম্বে তা আদায় করা কর্তব্য। 
উপরে উল্লেখিত কোরআন, হাদীস ও শরীয়তের দৃষ্টিতে বক্তব্য অত্যন্ত স্পষ্ট। তাই হজ্জ পালনেচ্ছু প্রতিটি ব্যক্তিরই উচিত পবিত্র হজ্জের এই ফজিলতসমূহ পরিপূর্ণভাবে পাওয়ার জন্য প্রাণান্তকর চেষ্টা করে যাওয়া। হজ্জ কবুল হওয়ার সকল শর্ত পূর্ণ করে সমস্ত পাপ বা গুনাহ থেকে মুক্ত থেকে আত্মনিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে হজ্জ পালন করা।
হজ্জ ফরয হওয়ার শর্ত ৮টি : ১) মুসলমান হওয়া  ২) বালেগ হওয়া। ৩) বুদ্ধিমান হওয়া  ৪) স্বাধীন হওয়া  ৫) হজ্জের সময় হওয়া  ৬) সম্পদশালী হওয়া (হজ্জ আদায় করার মত সামর্থ যোগ্য) ৭) সুস্থ থাকা ৮) যাতায়াতের পথ নিরাপদ হওয়া ।
মাসআলা
১. কারও যদি আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকে, কিন্তু তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হন-এমতাবস্থায় তিনি কাউকে দিয়ে বদলি হজ্জ করাবেন।
২. মক্কা মুকাররমাহ ও তার আশে পাশে-যেমন জেদ্দা, তায়েফ প্রভৃতি এলাকায় চাকুরি বা ব্যবসার উদ্দেশ্যে যারা আসবেন তাদের ওপর হজ্জ ফরয। নিজ নিজ সময় ও সুবিধা মতো তারা এ দায়িত্ব পালনে বাধ্য থাকবেন ।
৩. সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আবদুল আজিজ আ’ল শেখের মতে-কোন বয়স্কা মহিলার সঙ্গে যদি মাহরাম না থাকে, এমতাবস্থায় বিশ্বস্ত মহিলাদের সাথে তিনি হজ্জ করতে পারবেন। তবে শর্ত হলো তার সফরের নিরাপত্তার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হবে।
হজ্জ তিন প্রকার 
১) হজ্জে ইফরাদ    
২)  হজ্জে কেরান    
৩)  হজ্জে তামাত্তু
১। হজ্জে ইফরাদ  : হজ্জের সাথে ওমরাহ না করে শুধু হজ্জ করাকে ইফরাদ হজ্জ বলে।
* মীকাত থেকে শুধু হজ্জের নিয়তে (বর্ণিত নিয়মে) ইহরাম বাঁধুন।
* মক্কা শরীফ পৌঁছে তাওয়াফে কুদুম (আগমনী তাওয়াফ) করুন।
* ইচ্ছা করলে এ তাওয়াফের পর সায়ী করুন। সে ক্ষেত্রে হজ্জের ফরজ-তাওয়াফের পর আর সায়ী করতে হবে না।
* তাওয়াফ ও সায়ী করার পর চুল ছাঁটবেন না।
* তাওয়াফে কুদুমের পর ইহরাম অবস্থায় হজ্জের অপেক্ষায় থাকুন।
* ৮ যিলহজ্জ একই ইহরামে মিনা-আরাফাহ গমন ও হজ্জের যাবতীয় কাজ সম্পাদন করা।
বি: দ্র: ইফরান হজ্জ পালনকারীকে কুরবানী করতে হয়না। তাই ১০ যিলহজ্জ কংকর নিক্ষেপের পর মাথা মুন্ডন করে হজ্জ থেকে হালাল হয়ে যান।
২। হজ্জের ক্বিরান : ওমরাহর সাথে যুক্ত করে একই ইহরামে ওমরাহ ও হজ্জ আদায় করাকে ক্বিরান হজ্জ বলে।
ক্বিরান হজ্জ দু’ভাবে আদায় করা যায়। 
এক. ১-১) মীকাত থেকে এহরাম বাঁধার সময় হজ্জ ও ওমরাহ উভয়টার নিয়ত করে ইহরাম বাঁধুন।
১-২) মক্কায় পৌঁছে প্রথমে ওমরাহ ও সায়ী আদায় করুন। তবে এরপর চুল ছাঁটবেন না।
১-৩) ইহরাম অবস্থায় মক্কায় অবস্থান করুন। 
১-৪) ৮ যিলহজ্জ একই ইহরামে মিনা-আরাফাহ গমন ও হজ্জের যাবতীয় কাজ সম্পাদন করা।
দুই. ২-১) মীকাত থেকে শুধু ওমরাহর নিয়তে ইহরাম বাঁধুন। 
২-২) পবিত্র মক্কায় পৌঁছার পর তাওয়াফ শুরু করার পূর্বে হজ্জের নিয়ত ওমরাহর সাথে যুক্ত করে নেন।    
২-৩) ওমরাহর তাওয়াফ ও সায়ী শেষ করুন, তবে এরপর চুল ছাঁটবেন না।
২-৪) ইহরাম অবস্থায় হজ্জের অপেক্ষায় থাকুন।
২-৫) ৮ যিলহজ্জ একই ইহরামে মিনা-আরাফাহ গমন ও হজ্জের যাবতীয় কাজ সম্পাদন করা।
২-৬) মক্কাবাসীদের জন্য ক্বিরান হজ্জ নেই। যেহেতু তারা হারামের সীমানার ভেতরে অবস্থান করছেন, সেহেতু তাদের ক্বিরান হজ্জ করতে হয় না।
বি: দ্র: ক্বিরান হজ্জ পালনকারীদের কুরবানী করতে হয়। তাই ১০ যিলহজ্জ কংকর নিক্ষেপের পর কুরবানী করে মাথা মুন্ডন করে হজ্জ থেকে হালাল হয়ে যান।
৩। হজ্জে তামাত্তু : এ হজ্জের জন্য পৃথকভাবে প্রথমে ওমরাহ ও পরে হজ্জ আদায় করাকে তামাত্তু হজ্জ বলে। 
তামাত্তু হজ্জ তিনভাবে করা যায়।
এক. ১-১. তামাত্তু হজ্জ পালনকারীগণ মীকাত থেকে প্রথমে ওমরাহর ইহরাম বাঁধুন।
১-২. মক্কায় পৌঁছে প্রথমে ওমরাহর তাওয়াফ ও সায়ী আদায় করুন।
১.৩. তারপর মাথা মুন্ডন করে হজ্জ থেকে হালাল হয়ে যান। 
১-৪. হজ্জের আগ পর্যন্ত স্বাভাবিক জীবন যাপন করুন।
দুই. ২-১. তামাত্তু হজ্জ পালনকারীগণ মীকাত থেকে প্রথমে ওমরাহ’র ইহরাম বাঁধুন।
২-২. মক্কায় পৌঁছে প্রথমে ওমরাহর তাওয়াফ ও সায়ী আদায় করুন।
২-৩. তার পর মাথা মুন্ডন করে হজ্জ থেকে হালাল হয়ে যান। 
২-৪. হজ্জের আগ পর্যন্ত স্বাভাবিক জীবন যাপন করুন।
২-৫. হজ্জের পূর্বে মদীনা যিয়ারত সেরে নেয়া।
২-৬. মদীনা থেকে মক্কায় আসার পথে আবায়ে আলী নামক জায়গা থেকে ওমরাহর নিয়তে ইহরাম বেঁধে মক্কায় আসা।
২-৭. ওমরাহ আদায় করে হালাল হয়ে যাওয়া।
২-৮. হজ্জের আগ পর্যন্ত স্বাভাবিক জীবন যাপন করুন।
তিন. ৩-১. ইহরাম না বেঁধে সরাসরি মদীনা গমন করা।
৩-২. যিয়ারতে মদীনা সেরে মক্কায় আসার পথে আবায়ে আলী নামক জায়গা থেকে ওমরাহর নিয়তে ইহরাম বেঁধে মক্কায় আসা।
৩-৩. ওমরাহ আদায় করে হালাল হয়ে যাওয়া।
৩-৪. হজ্জের আগ পর্যন্ত স্বাভাবিক জীবন যাপন করুন।
৩-৫. হারামের সীমানার ভেতরের অধিবাসীদের জন্য তামাত্তু হজ্জ নেই।
৮ যিলহজ্জহজ্জের ইহরাম বেঁধে মিনা-আরাফাহ গমন ও হজ্জের যাবতীয় কাজ সম্পাদন করুন
বি: দ্র: তামাত্তু হজ্জ পালনকারীদের কুরবানী করতে হয়। তাই ১০ যিলহজ্জ কংকর নিক্ষেপের পর কুরবানী করে মাথা মুন্ডন করে হজ্জ থেকে হালাল হয়ে যান। 
                       ----------------------------------------------------------------------------------
                     '' শুধু নিজে শিক্ষিত হলে হবেনা, প্রথমে বিবেকটাকে শিক্ষিত করুন। ''
Widget ByBlogger Maruf
Widget ByBlogger Maruf