মুমিনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
কুরআনের আয়াত
انى وجهت وجهي للذي فطرالسموت والارض حنيفا وما انا من المشركين(انعام ৭৯)
উচ্চারণ- ইন্নী ওয়াজ জাহ্তু ওয়াজহিয়ালিল্লাযি ফাতারাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানিফাও ওয়ামা আনা মিনাল
মুশরিকিন ।
অর্থ: আমি তো একমুখী হয়ে নিজের লক্ষ্য সেই মহান সত্তার দিকে কেন্দ্রীভূত করছি যিনি যমীন ও আসমান সমূহকে
সৃষ্টি করেছেন এবং আমি কখনো মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত নই। (সুরা-আনআম, আয়াত-৭৯)
قل ان صلاتي و نسكي و محياي و مماتي لله رب العلمين-(انعام- ১৬২)
উচ্চারণ- ক্বুল ইন্না ছালাতি ওয়া নুছুকি ওয়া মাহইয়ায়া ওয়া মামাতি লিল্লাহি রবিব্বল আলামিন।
অর্থ: বল, আমার নামায ,আমার কুরবানী ও আমার জীবন, আমার মরণ, সব কিছুই সারা জাহানের রব আ্ল্লাহর
জন্যেই । ( সুরা-আনয়াম,আয়াত-১৬২)
হাদীস
عن ابي امامة رضي الله تعلى عنه: قال قال رسول الله صلى الله عليه
وسلم من احب لله و ابغض لله و اعطى لله ومنع لله فقد استكمل الايمان(بخاري)
উচ্চারণ- আন আবি উমামাতা (রাঃ) ক্বালা ক্বালা রাসুলুল্লাহ (সঃ) মান আহাব্বা লিল্লাহি ওয়া আবগাদ্বা লিল্লাহি ওয়া
আ’ত্বা লিল্লাহি ওয়া মানাআ লিল্লাহি ফাকাদিস্তাকমালাল ঈমান।
অর্থঃ হযরত আবু উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসুল (স) বলেছেন,যে ব্যক্তির ভালবাসা ও শত্র“তা,দান করা ও না করা নিছক আল্লাহর
সšু‘ষ্টি বিধানের জন্যেই হয়ে থাকে,সে ব্যক্তিই পূর্ণ ঈমানদার। (বুখারী)
عن عباس رضي الله تعلى عنه: قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم
ذاق طعم الايمان من رضي بالله ربا و بالاسلام دينا و بمحمد رسولا-( بخاري و مسلم)
উচ্চারণ- আন আব্বাস (রাঃ) ক্বালা ক্বালা রাসুলুল্লাহ (সঃ) যাকা ত্বয়ামুল ঈমানি মান রাদ্বিইয়া বিল্লাহি রাব্বাও ওয়াবিল
ইসলামি দ্বীনাও ওয়াবি মুহাম্মাদি রাসুলান।
অর্থঃ হযরত আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূরুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন,যে ব্যক্তি পূর্ন আন্তরিকতার সাথে আল্লাহকে রব,
ইসলামকে দ্বীন এবং মুহাম্মদ (স)কে নবী হিসেবে কবুল করেছেন সে ব্যক্তি ঈমানের স্বাদ লাভ করেছেন।
( বুখারী ও মুসলিম)
প্রথম দফাঃ দাওয়াত
কুরআনের আয়াত
يايهاالمدثر-قم فانذر- وربك فكبر- (المدثر- ১-৩)
উচ্চারণ- ইয়া আইয়্যুহাল মুদ্দাস্সির, ক্বুম ফাআনযির, ওয়া রাব্বাকা ফাকাব্বির।
অর্থঃ হে আবৃত শয্যাগ্রহন কারী। উঠ সাবধান কর এবং তোমার রবের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর। (সুরা- মুদ্দাস্সির,আয়াত-১-৩)
و من احسن قولا ممن دعا الى الله و عمل صالحا و قال انني من المسلمين(حم- السجده- ৩৩)
উচ্চারণ- ওয়ামান আহসানু ক্বাওলাম মিমমান দায়া ইলাল্লাহি ওয়া আমিলা ছালিহাও ওয়া ক্বালা ইন্নানি মিনাল
মুসলিমিন।
অর্থঃ তার কথার চাইতে আর কার কথা উত্তম হতে পারে? যে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকে ,ও নেক আমল করে, এবং বলে
আমি মুসলমানের অন্তভূক্ত ( সুরা- হামীম আস সাজদাহ, আয়াত- ৩৩ )
كنتم خير امة اخرجت للناس تامرون بالمعروف و تنهون عن المنكر ( ال عمران- ১১০)
উচ্চারণ- কুনতুম খাইরা উম্মাতিন উকরিজাত লিননাছি তা’মুরুনা বিল মা’রুফি ওয়া তানহাওনা আনিল মুনকার।
অর্থঃ তোমরাই হলে সর্বোত্তম জাতি, মানব জাতির কল্যাণের জন্যেই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমাদের কাজ হল
সৎ কাজের নির্দেশ দান ও অন্যায় কাজে বাধা দান করা। ( সুরা- আল ইমরান, আয়াত -১১০)
হাদীস
عن عبد الله بن عمر رضي الله تعلى عنه: قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم بلغوا عني ولو اية ( بخاري)
উচ্চারণ- আন আব্দিল্লাহিবনে ওমর (রাঃ) ক্বালা ক্বালা রাসুলুল্লাহ (সঃ) বাল্লিগু আন্নি ওলাউ আয়া।
অর্থঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (স) বলেছেন,আমার পক্ষ থেকে একটি আয়াত
জানলেও তা অপরের কাছে পৌঁছিয়ে দাও । (বুখারী)
عن انس ر ضي الله تعلى عنه: قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم
يسروا ولا تعسروابشروا ولا تنفروا – (بخاري و مسلم)
উচ্চারণ- আন আনাস (রাঃ) ক্বালা ক্বালা রাসুলুল্লাহ (সঃ) ইয়াসসিরু ওয়ালা তুআসসিরু বাশশিরু ওয়ালা তুনাফফিরু
অর্থঃ হযরত আনাস (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,রাসূল (স) বলেছেন,তোমরা দ্বীনের দাওয়াত সহজ করো ,কঠিন করো
না। সুসংবাদ দাও ,বিতশ্রদ্ধ করো না। ( বুখারী,মুসলিম)
দ্বিতীয় দফাঃ সংগঠন
কুরআনের আয়াত
واعتصموا بحبل الله جميعا ولا تفرقوا ( ال عمران- ১০৩)
উচ্চারণ ঃ ওয়া’তাছিমু বিহাবলিল্লাহি জামিআ’ও ওয়ালা তাফাররাকু।
অর্থঃ তোমরা সংঘবদ্ধভাবে আল্লাহর রজ্জুকে আকরে ধর এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়োনা । (সূরা আলে ইমরানে ১০৩)
ان الله يحب اللذين يقاتلون في سبيله صفا كانهم بنيان مرصوص- ( الصف- ৪ )
উচ্চারণঃ ইন্নাল্লাহা ইউহিব্বুল্লাযীনা ইউকাতিলূনা ফী সাবীলিহী ছাফ্ফান কাআন্নাহুম বুনইয়ানুম মারছুছ।
অর্থঃ আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন,যারা তাঁর পথে সারিবদ্ধভাবে লড়াই করে, যেন তারা সীসাগলানো প্রাচীর।(সূরা আস সফঃ৪)
হাদীস
عن الحارث العشعاري ر ضي الله تعلى عنه: قال قال رسول الله صلى الله عليه انا امركم بخمس الله امرني بهن بالجماعة والسمع والطاعة والهجرة والجهاد في سبيل الله وانه من خرج من الجماعة قيد شبرفقد خلع ربقة الاسلام من عنقه الا ان يراجع ومن دعا بدعوى الجا هلية فهو من جثي جهنم وان صام و صلى وزعم انه مسلم ( احمد و ترمذي)
উচ্চারণঃ আন হারিসিল আশয়ারি (রাঃ) ক্বালা ক্বালা রাসুলুল্লাহ (সঃ) আন আমরুকুম বিখামসিন আল্লাহু আমারানি বিহিন্না
বিল জামাআিতি ওয়াস সাময়ি ওয়াত্তাআতি ওয়াল হিজরাতি ওয়াল জিহাদি ফি সাবিলিল্লাহি ওয়া ইন্নাহু মান খারাজা
মিনাল জামাআতি ক্বিদা শিবরিন ফাক্বাদ খালাআ রিবক্বাতাল ইসলামি মিন উনুক্বিহি ইল্লা আইং ইউরা জিআ
ওয়ামান দাআ বিদা’ওয়াতি জাহিলিয়্যাতি ফাহুয়া মিন জুছাই জাহান্নামা ওয়া ইন ছমা ওয়া ছল্লা ওয়াজাআমা
আন্নাহু মুসলিম ।
অর্থঃ হারেস আল আশআরী (রা) হতে বর্ণিত । তিনি বলেন ঃ রাসূলূল্লাহ (স) বলেছেন , আমি তোমাদেরকে পাঁচটি কাজের নির্দেশ দিচ্ছি, আল্লাহ আমাকে এ গুলোর নির্দেশ দিয়েছেন -১)জামায়াত বদ্ধ বা দলদ্ধ হবে।২)নেতার আদেশ মন দিয়ে শুনবে ৩)তার আদেশ মেনে চলবে ৪)হিজরত করবে অর্থাৎ আল্লাহর অপছন্দনীয কাজ বর্জন করবে এবং ৫) আল্লাহর পথ জিহাদ করবে । যে ব্যক্তি জামায়াত বা সংগঠন ত্যাগকরে এক বিঘত পরিমাণ দূরে সরে গেল, সে যেন নিজের কাঁধ থেকে ইসলামের রশি বা বাঁধন খুলে ফেললো, যতক্ষণ না সে সংগঠনে ফিরে আসবে । আর যে ব্যক্তি জাহেলিয়াতের নিয়ম-নীতির দিকে লোকদেরকেআহবান জানাবে সে জাহান্নামের জ্বালানী হবে, যদিও সে রোযা রাখে , নামাজ পড়ে এবং নিজেকে মুসলমান বলে দাবি করে। (আহমাদ,তিরমিযী)
তৃতীয় দফাঃ প্রশিক্ষণ
কুরআনের আয়াত
اقرا باسم ربك الذي خلق- خلق الانسان من علق-اقرا و ربك الاكرم- الذي علم بالقلم-علم الانسان ما لم يعلم- ( العلق-১-৫)
উচ্চারণঃ . ইকরা বিসমি রাব্বিকাল্লাযী খালাক। খালাকাল ইনসানা মিন আলাক। ইকরা ওয়া রাব্বুকাল আকরামুল্লাযী
আল্লামা বিলকালাম। আল্লামাল ইনসানা মালাম ইয়া’লাম।
অর্থ:- পড়–ন! আপনার প্রভূর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট বাঁধা রক্তপিন্ড থেকে। পাঠ
করুন, আপনার প্রতিপালক মহামহিমান্বিত, যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানতো
না। (আলাক-১-৫)
كما ارسلنا فيكم رسولا منكم يتلوا عليكم ايتنا و يزكيكم و يعلمكم الكتاب والحكمة و يعلمكم مالم تكونوا تعلموان ( البقرة- ১৫১)
উচ্চারণঃ কামা আরসালনা ফিকুম রাসুলাম মিনকুম ইয়াতলু আলাইকুম আয়াতিনা ওয়া ইউযাক্কিকুম ওয়া
ইউআল্লিমুকুমুল কিতাবা ওয়াল হিকমাতা ওয়া ইউআল্লিমুকুম মা লাম তাকুনু তা’লামুন।
অর্থ:- যেমন আমি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের জন্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছি যিনি তোমাদের কাছে আমার
বাণী সমুহ পাঠ করবেন এবং তোমাদের পবিত্র করবেন তোমাদের শিক্ষা দিবেন কিতাব ও হিকমাত ,আর
এমন বিষয় শিক্ষা দিবেন যা তোমরা জানতেনা ।(বাক্বারা -১৫১ )
হাদীস
عن عبد الله بن عمر رضي الله تعلى عنه: قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان من خياركم احسنكم اخلاقا-( بخاري و مسلم)
উচ্চারণঃ আন আব্দিল্লাহিবনে ওমর (রাঃ) ক্বালা ক্বালা রাসুলুল্লাহ (সঃ) ইন্না মিন খিইয়ারুকুম আহসানুকুম আখলাক্বা
অর্থ:- হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (স) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি-ই
সর্বোত্তম যে চরিত্রের দিক দিয়ে উত্তম। ( বুখারী,মুসলিম)
عن ابي هريرة رضي الله تعلى عنه: قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم تعلموا الفرائض والقران و علموا الناس فاني مقبوض (بخاري و مسلم)
উচ্চারণঃ আন আবি হুরায়রাতা (রাঃ) ক্বালা ক্বালা রাসুলুল্লাহ (সঃ) তায়াল্লামুল ফারাইদ্বা ওয়াল কুরআনা ওয়া ইল্লিমুন নাসা
ফাইন্নি মাকবুদ্ব
অর্থঃ - আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ (স) এরশাদ করেন ,তোমরা ফারায়েয ও কুরআন শিক্ষা কর এবং
মানুষকে তাহা শিক্ষা দাও। কেননা আমাকে অতি সত্তর উঠিয়ে নেয়া হবে। ( বুখারী,মুসলিম)
চতুর্থ দফা ঃ ইসলামী শিক্ষা আন্দোলন ও ছাত্র সমস্যা
কুরআনের আয়াত
قرا باسم ربك الذي خلق-خلق الانسان من علق-اقرا و ربك الاكرم- اللذ
علم بالقلم-علم الانسان ما لم يعلم-( العلق-১-৫)
উচ্চারণঃ . ইকরা বিসমি রাব্বিকাল্লাযী খালাক। খালাকাল ইনসানা মিন আলাক। ইকরা ওয়া রাব্বুকাল আকরামুল্লাযী
আল্লামা বিলকালাম। আল্লামাল ইনসানা মালাম ইয়া’লাম।
অর্থ:- পড়–ন! আপনার প্রভূর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট বাঁধা রক্তপিন্ড থেকে। পাঠ
করুন, আপনার প্রতিপালক মহামহিমান্বিত, যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানতো
না। (আলাক-১-৫)
الرحمن- علم القران – خلق الانسان -علمه البيان – ( الرحمن - ১-৪)
উচ্চারণঃ আর রাহমান। আল্লামাল কোরআন। খালাক্বাল ইনসান। আল্লামাহুল বায়ান।
অর্থ:- পরম করুনাময় আল্লাহ এ কুরআনের শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন। এবং তাকে কথা শিক্ষা দিয়েছেন।
(আর-রাহমান-১-৪)
হাদীস
عن ابن عباس رضي الله تعلى عنه: قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم فقيه واحد اشد على الشيطان من الف عابد ( ترمذي و ابن ما جه)
উচ্চারণঃ - আন ইবনে আব্বাস (রাঃ) ক্বালা ক্বালা রাসুলুল্লাহ (সঃ) ফাক্বীহুন ওয়াহিদুন আশাদ্দু আলাশ শাইত্বানে মিন
আলফি আবিদিন
অর্থঃ হযরত আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন একজন ফকীহ অর্থাৎ দ্বীনের গভীর জ্ঞানী (বুৎপত্তিশালী ) ব্যক্তি শয়তানের পক্ষে এক হাজার আবেদের তুলনায় বেশী ক্ষমতাবান । ( তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ )
عن انس ر ضي الله تعلى عنه: قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم
من خرج في طلب العلم فهو في سبيل الله حتى يرجع ( دارمى)
উচ্চারণ- আন আনাস (রাঃ) ক্বালা ক্বালা রাসুলুল্লাহ (সঃ) মান খারাজা ফি ত্বালাবুল ইলমি ফাহুয়া ফি সাবিলিল্লাহ হাত্তা ইয়ারজিয়ু
অর্থঃ হযরত আনাস (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,রাসূল (স) বলেছেন,যে ব্যাক্তি ইলম অন্বেষনে বের হয় সে প্রত্যাবর্তন না
করা পর্যন্ত আল্লাহর পথেই থাকে ।
عن انس ر ضي الله تعلى عنه: قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم
طلب العلم فريضة على كل مسلم والمسلمات (ابن ما جه)
উচ্চারণ- আন আনাস (রাঃ) ক্বালা ক্বালা রাসুলুল্লাহ (সঃ) ত্বালাবুল ইলমি ফারিদ্বাতুন আলা কুল্লি মুসলিমিও ওয়াল মুসলিমাতি
অর্থঃ হযরত আনাস (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,রাসূল (স) বলেছেন: প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর উপর ইলমে দ্বীন শিক্ষা
করা ফরজ ( ইবনে মাজাহ )
পঞ্চম দফা ঃ ইসলামী সমাজ বির্নিমাণ
কুরআনের আয়াত
كتب عليكم القتال وهو كره لكم و عسى ان تكرهوا شيئا وهو خير لكم – و عسى ان تحبوا شيئا وهو شر لكم – والله يعلم و انتم لا تعلمون – ( البقرة - ২১৬ )
উচ্চারণ- কুতিবা আলাইকুমুল ক্বিতাল ওয়াহুয়া কুরহুল্লাকুম ওয়া আছা আনতাকরাহু শাইয়াও
ওয়াহুয়া খাইরুল্লাকুম ওয়া আছা আন তুহিব্বু শাইয়ান ওয়াহুয়া শারলুল্লাকুম , ওয়াল্লাহু
ইয়া’লামু ওয়া আনতুম লা তা’লামুন।
অর্থঃ জিহাদ তোমাদের উপর ফরজ করা হয়েছে, আর তা তোমাদের অসহ্য মনে হচ্ছে ,কোন জিনিস তোমাদের
অসহ্য মনে হল ,অথচ তাহাই তোমাদের জন্যে কল্যানকর । পক্ষান্তরে ইহাও হতে পারে যে কোন জিনিস
তোমাদের ভাল লাগল অথচ তাহাই তোমাদের জন্যে খারাপ। প্রকৃত ব্যাপার তো আল্লাহ ই জানেন , যা
তোমরা জাননা । ( বাক্বারা -২১৬)
يا يهاالذين امنوا هل ادلكم على تجارة تنجيكم من عذاب اليم – تومنون بالله و رسوله و تجاهدون في سبيل الله باموالكم و انفسكم ذالكم خير لكم ان كنتم تعلمون-( صف- ১০-১১ )
উচ্চারণ- ইয়া আইয়্যুহাল্লাযিনা আমানু হাল আদুল্লুকুম আলা তিজারাতিন তুনজিকুম মিন আযাবিন আলিম, তু’মিনুনা বিল্লাহি
ওয়া রাসুলিহী ওয়া তুজাহিদুনা ফি সাবিলিল্লাহি বিআমওয়ালিকুম ওয়া আনফুসিকুম যালিকুম খাইরুল্লাকুম
ইনকুনতুম তা’লামুনা।
অর্থঃ হে ঈমানদানগণ আমি কি তোমাদেরকে এমন এক ব্যবসার কথা বলবনা যা তোমাদের কে ভয়াবহ শাস্তি থেকে
রেহাই দিতে পারে ? তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের উপর ঈমান আনয়ন কর ও আল্লাহর রাহে তোমাদের
জান মাল কুরবান করে জিহাদ করবে, এটাই তোমাদের জন্যে সর্বোত্তম যদি তোমরা তা অনুধাবন করতে
পার ( ছফ-১০-১১)
হাদীস
عن ابي ذر ر ضي الله تعلى عنه: قال قلت يا رسول الله صلى الله عليه وسلم اي الاعمال افضل؟ قال الايمان باالله والجهاد في سبيل الله– (بخاري)
উচ্চারণ- আন আবু যর (রাঃ) ক্বালা ক্বুলতু ইয়া রাসুলুল্লাহ (সঃ) আইয়ুল আ’মালু আফদ্বালু? ক্বালা আল ইমানু বিল্লাহি ওয়াল জিহাদু
ফি সাবিলিল্লাহি।
অর্থঃ হযরত আবি যর (রা) হতে বর্ণিত।তিনি বলেন আমি রাসুল(সঃ) কে জিজ্ঞাস করলাম হে আল্লাহর নবী কোন আমলটি
আল্লাহর নিকট সবচেয়ে উত্তম? তিনি বললেন আল্লাহর উপর ইমান আনা ও তার পথে জিহাদ করা। (বুখারী ও মুসলিম)
عن ابي هريرة رضي الله تعلى عنه: قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم
من مات ولم يغزوا ولم يحدث به نفسه مات على شعبة النفاق –( مسلم)
উচ্চারণঃ আন আবি হুরায়রাতা (রাঃ) ক্বালা ক্বালা রাসুলুল্লাহ (সঃ) মান মাতা ওয়ালাম ইয়াগযু ওয়ালাম ইউহাদ্দিছ বিহী নাফসাহু
মাতা আলা শু’বাতিন নিফাক ।
অর্থঃ -আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ (স) এরশাদ করেন , যে ব্যক্তি জিহাদে অংশ গ্রহন করলনা কিংবা জিহাদ
সম্পর্কে চিন্তা ভাবনা ও করলনা আর এই অবস্থায় মৃত্যু বরণ করল ,সে যেন মুনাফিকের মৃত্যু বরণ করল। ( মুসলিম)
আখিরাত সম্পর্কে
কুরআনের আয়াত
فمن يعمل مثقال ذرة خير يره – و من يعمل مثقال ذرة شريره- (الزلزال- ৭,৮ )
উচ্চারণঃ ফামাইং ইয়ামাল মিছকালা যাররাতিন খাইরাইং ইয়ারা, ওমাইং ইয়ামাল মিছকালা যাররাতিন শাররাইং ইয়ারা।
অর্থ:- অনন্তর যে ব্যক্তি বিন্দু ভাল পরিমান আমল করবে, সে তা দেখতে পাবে। আর যে ব্যক্তি বিন্দু পরিমান বদ আমল করবে, সেও
তা দেখতে পাবে। (যিলযাল-৭,৮)
بل تئثرون الحيوة الدنيا والاخرة خير وابقي – ( ألاعلى-১৭ )
উচ্চারণঃ বাল তুছেরুনাল হায়াতাধদুনিয়া ওয়ালাখেরাতু খাইরু ওয়াবকা।
অর্থ:-বরং তোমরা পার্থিব জীবনকে প্রধান্য দাও, অথচ আখিরাত বহুগুনে উত্তম ও স্থায়ী। (আলা-১৭)
হাদীস
عن عبد الله بن عمر رضي الله تعلى عنه: قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من سره ان ينظر يوم القيامة كانه رأىْالعين فليقر اذا الشمس كورت اذا السماء انفطرت اذا السماء انشقت-( ترمذي – و احمد)
উচ্চারণ- আন আব্দিল্লাহিবনে ওমর (রাঃ) ক্বালা ক্বালা রাসুলুল্লাহ (সঃ)
অর্থঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (স) বলেছেন
ঈমান
১. হুদাললিল মুত্তাকীন, আল্লাযীনা ইফমিনুনা বিলগাইবি ওয়া ইউকীমুনাছ ছালাতা ওয়া মিম্মা রাযাকনাকুম ইউনফিকুন।
অর্থ:- সেইসব মুত্তাকীর জন্য হেদায়াত, যারা অদৃশ্যে ঈমান আনে, নামায কয়েম করে এবং আমি তাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি তা থেকে খরচ করে। (বাকারা-১.৩)
২. ইয়াআউহাল্লাযীনা আমানুদখুলু ফিসসিলমি কাফফাতান ওয়া লা তাত্তাবিয়ু খুতুওয়াতিশ শাইতানি ইন্নাহু লাকুম আদুউেম মুবীন।
অর্থ:- হে ঈমানদারগন! তোমরা পুরোপুরি ইসলামে প্রবেস করো এবং শয়তানের অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য দুশমন। (বাকারা-২০৮)
৩. ইন্নামাল মুমিনুনাল্লাযীনা আমানু বিল্লাহি ওয়া রাসুলিহী।
অথ:-মুমিন মুত তারাই আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি যাদের দৃঢ় ঈমান রয়েছে।(সূরা নূর-৬২)
তাকওয়া
১. ইন্না আকরামাকুম ইনদাল্লাহি আতকাকুম ইন্নাল্লাহা আলিমু খাবির।
অর্থ:- নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট তোমাদের যেই ব্যক্তি অধিক সম্মানিত যিনি তোমাদের মধ্যে সর্বাধিক খোদাভীরু। নিঃসন্দেহে আল্লাহ সব কিছু জানেন এবং সব বিষয়ে অবহিত। (হুজরাত-১৩)
২. ইয়া আয়্যুহাললাযীনা আমানুত্তাকুল্লাহা ওয়ালামিনু বিরাসুলিহি।
অর্থ:- হে ঈমানদার লোকেরা আল্লাহকে ভয় কর এবং রাসুল-এর প্রতি ঈমান আন। (হাদীদ-২৮)
৩. ইন্নাল্লাযিনা ইয়াখসাওনা রাব্বাহুম বিলগাইবে লাহুম মাগফেরাতু ওয়াজরু কাবির।
অর্থ:- যারা নিজেদের অদৃশ্য আল্লাহকে ভয় করে, নিশ্চয়ই তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও অতিবড় মুফল। (মলুক-১২)
বাইয়াত
১. লাকাদ রাদিয়াল্লাহু আনিল মুমিনীনা ইয ইয়ুবায়িনাকা তাহ্তাশ্ শাজারাহ।
অর্থ:- হে রাসুল! আল্লাহ মুমিনদের উপর সন্তুষ্ট হয়েছে যখন তারা গাছের নীচে আপনার নিকট বাইয়াত হচ্ছিল। (ফাতহ-১৮)
২. বালা মান আওফা বিআহদিহী ওয়াত্তাকা ফাইন্নাল্লাহা ইয়ুহিব্বুল মুত্তাকীন।
অর্থ:- যে ব্যক্তি তার ওয়াদা পূর্ণ করবে এবং তাকওয়ার নীতি অবল্বন করবেন, সে আল্লাহ পাকের প্রিয়ভাজন হবে। আর নিশ্চতভাবে আল্লাহ পাক মুত্তাকীদের ভালবাসেন।
(আল-ইমরান-৭৬)
পর্দা
১. ওয়াল্লাযীনা হুম লিপুরুজিহিম হাফিযুন।
অর্থ:- তারা তাদের লজ্জাস্থানের হেফাযত করে। (ম’মিনুন-৫)
২. ওয়া র্কানা ফী বুইয়ুতিকুন্না ওয়া লা তাবাররায্না তাবাররুজাল জাহিলিয়্যাতাল উ’লা।
অর্থ:- আর তোমরা নিজেদের ঘরে অবস্থান কর। পূর্বতন জাহেলী যুগের মত সেঁজে-গুজে নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়িও না। (আহযাব-৩৩)
আনুগত্য
১. ইয়া আইয়ৃহালল্লাযিনা আমানু আতীউল্লাহা ওয়া আতীউর রাসুলা ওয়া উলিল আমরে মিনকুম।
অর্থ:- হে মুমিরগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর, রাসুলের আনুগত্য কর এবং তোমাদের মধ্য থেকে যে উলিল আমর তার আনুগত্য কর। (নিসা-৫৯)
২. ইয়া আইয়ৃহালল্লাযিনা আমানু আতীউল্লাহা ওয়া আতীউর রাসুলা ওয়ালা তুবতিলু আমালাকুম।
অর্থ:- হে মুমিরগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর, রাসুলের আনুগত্য কর। তোমাদের আমলসমুহ বরবাদ করোনা। (মুহাম্মদ-৩৩)
৩. ওয়া আতিউল্লাহা ওয়া আতিউররাসুলা লায়াল্লাকুম তুরহামুন।
অর্থ:- এবং আল্লাহ ও রাসুলের হুকুম মেনে নাও, যাতে দয়া করা হয়।
(আল-ইমরান-১৩২)
মুমিনের গুণাবলী
১. ইন্নামাল ম’মিনুনা ইখওয়াতুন।
অর্থ:- মুমিদের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে যে, তারা একে অপরের ভাই। (হুজরাত-১০)
২. লা ইয়াত্তাখিযিল ম’মিনীনাল কাফিরীন আওলিয়া মিন দুনিল ম’মিনীনা।
অর্থ:- মুমিদের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে যে, তারা মুমিন ছাড়া কাফেরদেরকে কখনো নিজেদের বন্ধু পৃষ্ঠপোষক বানায় না। (আল ইমরান-২৮)
তাওহীদ
১. আল্লাহু লাইলাহা ইল্লাহুয়া হুয়াল হাইয়ুল কাইয়ুম।
অর্থ:- তিনি আল্লাহ! তিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। তিনি চিরঞ্জীন চিরস্থায়ী। (বাকারা-২৫৫)
২. ওয়া ইলাহুকুম ইলাহুয়া হিদু-লা ইলাহা ইল্লাহুয়া রাহমানির রাহিম।
অর্থ:- তোমদের ইলাহ এক ও একক ইলাহ। সেই রহমান ও রাহীম ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। (বাকারা-১৬৩)
৩. কুল ইন্নামা হুয়া ইলাহুয়া হিদু।
অর্থ:- আপনি ঘোষণা করে দিন, তিনি এক ও একক ইলাহ। (আনয়াম-১৯)
রিসালাত
১. ওয়ামা মুহাম্মাদু ইল্লা রাসুলু ফাদখালাত মিন কাবলিহির রুসুল।
অর্থ:- মুহাম্মদ একজন রাসুল ব্যতীত কিছু নন। তাঁর পূর্বেও অনেক রাসূল বিগত হয়েছেন। (আল-ইমরান-১৪৪)
২. ইন্না কানামিনাল মুরছালিন, আলা ছেরাতেম মুছতাকিম।
অর্থ:- নিঃসন্দেহে আপনি রসূলগণের অন্যতম। এবং সরল পথের উপর আছেন। (ইয়াছিন-২,৩)
৩. ওয়া আরসালনাকা ইন্নাসি রাসুলা, ওয়া কাফা বিল্লাহি সাহিদা।
অর্থ:- আর আমি আপনাকে সমস্ত মানুষের জন্য রাসুলরুপে প্রেরণ করেছি এবং আল্লাহই সাক্ষী হিসেবে যথেষ্ট। (নিসা-৭৯)
ইলমুল কুরআন .
কোন মন্তব্য নেই:
/>