ট্রাইব্যুনালকে আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে আনার দাবি জানিয়ে জাতিসংঘকে অনুরোধ
২০/৯/২০১৩
বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের লক্ষ্যে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে আনার জন্য জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে। জাতিংসঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কাছে এ অনুরোধ জানিয়ে আজ চিঠি পাঠিয়েছেন যুক্তরাজ্য অল পার্টি পার্লামেন্টারি হিউম্যান রাইটস গ্রুপের সদস্য লর্ড কার্লাইল কিউসি।
চিঠিতে বাংলাদেশের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতিকে হুমকির মুখে রয়েছে আখ্যায়িত করে তিনি এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহনের আবেদন জানান। তিনি বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক দণ্ডদানের কারনে বাংলাদেশে রাজপথে সহিংসতা বাড়ছে।
বিচার হয়ে যাবার পর আইন সংশোধন করা এবং সে আইনের অধীনে দায়ের করা সরকার পক্ষের মৃত্যুদন্ডের আবেদন গ্রহণ করায় উব্দেগ প্রকাশ করে লর্ড কালাইল বলেছেন এটি আন্তর্জাতিক আইনে ন্যায়বিচারের যে মানদণ্ড তা লঙ্ঘিত হয়েছে।
জাতিংসঘ মানবাধিকার বিষযক হাইকমিশনার নেভি পিলে সম্প্রতি সিরিয়া, মিশর এবং ইরাকের উদ্বেগজনক মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য প্রদানকালে বাংলাদেশের নাম বাদ রাখায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন লর্ড কার্লাইল তার চিঠিতে । তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি বর্তমানে চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে।
লর্ড কার্লাইল তার চিঠিতে লিখেছেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ে আমি এ জরুরি চিঠি লিখছি। এর আগে গত ৭ জুন আমি বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির গুরুতর অবনতি বিষয়ে লিখেছিলাম। আমি বিশেষভাবে জোর দিয়ে উল্লেখ করেছিলাম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মানের অবনতি বিষয়ে।
বাংলাদেশের মানবাধিকার বর্তমানে গুরুতর হুমকির মুখে রয়েছে আখ্যায়িত করে চিঠিতে বলা হয় সরকারের সমালোচকরা এখানে নানাভাবে নিগ্রহের শিকার। পক্ষপাতদুষ্ট বিচারক এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত দণ্ডদানের কারনে আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকার বিষয়ে কাজ করে এমন সকলেই সর্বসম্মতভাবে সমালোচনা করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ।
ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রকৃয়ায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন অবশ্যই প্রয়োগের পক্ষে মত দিয়ে তিনি বলেন, চলতি সপ্তাহে আব্দুল কাদের মোল্লা বিষয়ে যে রায় দেয়া হয়েছে তা আরো বিরক্তির বিষয়। সংশোধিত ভূতাপেক্ষ আইন এর অধীনে দায়ের করা মৃত্যুদন্ডের আবেদন গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোট। আসামীকে পুনরায় কোন রিভিউ আপিল আবেদন থেকেও বিরত রাখার কথা বলা হচ্ছে।
জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপ অন আরবিট্রেরি ডিটেনশন থেকে গত বছর বাংলাদেশের এ বিচার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল এ বিচার প্রকৃয়া স্বেচ্ছাচারমূলক এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। কিন্তু জাতিসংঘের এ উদ্বেগের বিষয়টি বাংলাদেশ পুরোপুরি অগ্রাহ্য করেছে। আসামীর পুনরায় রিভিউ আবেদনকে অস্বীকার করার মধ্য দিয়ে আবারো তারা আন্তর্জাতিক আইনী রীতিনীতি লঙ্ঘন করল বলে উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে। ।
আব্দুল কাদের মোল্লার রায়ের বিষয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এ মৃত্যুদন্ডে ন্যায় বিচারের মানদন্ড লঙ্ঘিত হয়েছে। বিচার হয়ে যাবার পর আইন সংশোধন এবং তাকে ভূতাপেক্ষতা প্রদানের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইনে ন্যায় বিচারের মূলভিত্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে বলে তারা বলেছে এবং তাদের এ পর্যবেক্ষন সঠিক বলে মনে করি আমি।
লর্ড কার্লাইল তার চিঠিতে বলেন, দুই নেত্রেীর প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সংলাপের আহবানকে আমি স্বাগত জানাই । তবে শান্তি নিশ্চিত করতে হলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে আনতে হবে। বাংলাদেশের এ সঙ্কটকে স্বীকার করে নেয়া এবং এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আপনার মত হাইকমিশনের সর্বোচ্চ অফিসকে ব্যবহারে এগিয়ে আসতে হবে।
From
The Lord Carlile of Berriew QC CBE
H E Navi Pillay
United Nations High Commissioner for Human Rights
Office of the United Nations High Commissioner for Human Rights (OHCHR) Palais des Nations
CH-1211 Geneva 10
Switzerland
Friday, September 20th 2013
Re: Trials before the International Crimes Tribunal (ICT), Bangladesh
Dear High Commissioner,
I write in relation to an urgent human rights situation in Bangladesh as a member of the All- Party Parliamentary Human Rights Group in the UK Parliament. I wrote to you on June 7 2013 expresses my deep concern about the deteriorating human rights situation in Bangladesh. I specifically highlighted the deterioration of standards at the International Crimes Tribunal. I am disappointed I have yet to receive a reply.
Your recent speech in Geneva contained several welcome statements on securing lasting solutions to violations in Syria, Egypt and Iraq amongst others. Yet you made one startling omission - Bangladesh. It would be useful to understand why Bangladesh was omitted from the many countries mentioned in your speech that faces human rights challenges.
Months from an election those critical of the government face harassment or arrest. International legal and human rights campaigners have universally condemned the locally managed International Crimes Tribunal for its impartial judges and politically motivated sentencing that is fuelling unrest on the streets. The abduction of witnesses and repeated instances of serious prosecutorial and judicial misconduct completely undermine this process.
As I outlined in my letter to you in June, international criminal justice must be 'enforced in a way that is not only complementary to national criminal jurisdictions, but also respectful of international human rights standards and international standards of procedure, fairness and transparency. Any lesser standard would negate the overall goal of securing the peace, security and wellbeing of a nation'.
This week's judgment by the Bangladesh Supreme Court on the case of Abdul Quader Mollah is even more disturbing. The Bangladesh Supreme Court allowed the retrospective application of the death penalty. The Appellant has been prevented from exercising any further appeal.
The Bangladeshi government completely disregarded the deeply held concerns raised by a critical report from the UN Working Group on Arbitrary Detention last year, which described the process as arbitrary and breach of international law. This decision to deny the accused a right of appeal or review is in clear breach of international legal norms and should be roundly condemned.
I strongly agree with Human Rights Watch's assessment of the Mollah judgment ('Bangladesh: Death Sentence Violates Fair Trial Standards', 18th September). They are correct in that to change the law and apply it retroactively post-trial 'offends basic notions of a fair trial under international law.'
Secretary of State Kerry's call for dialogue between Prime Minister Sheikh Hasina and her opponent, Khaleda Zia is welcome. But for lasting peace the International Crimes Tribunal must be placed under international supervision. First this means Commissioners such as yourself must utilise your high office not only to recognize the crisis in Bangladesh but also to speak out about it.
With elections looming, it is for the benefit of Bangladeshis of all political or religious persuasions that human rights and free speech are respected. This is clearly not the case at the moment. I strongly request a reply on this matter.
Yours Sincerely,
The Lord Carlile of Berriew QC CBE
কোন মন্তব্য নেই:
/>