শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বিরোদ্ধে মামলা নিয়ে কেন আমরা বিতর্ক করব না ? দলিলতো বলে দেলু শিকদার আর দেলোয়ার হোসেন সাইদীর এক বেক্তি নন।


দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বিরোদ্ধে মামলা নিয়ে কেন আমরা বিতর্ক করব না ? দলিলতো বলে দেলু শিকদার আর দেলোয়ার হোসেন সাইদীর এক বেক্তি নন।





আল্লামা দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর বিরোদ্ধে ইব্রাহিম কুট্টি হত্যার অভিযোগ আনা হয়।



কিন্তু ইব্রাহিম কুট্টি হত্যার বিচার চেয়ে ইব্রাহিম কুট্টি স্ত্রী মামলা করেন ১৬ / ০৭ / ১৯৭২ সালে। ওই মামলার আল্লামা দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর নাম ছিল না। এমন কি বাংলাদেশের কোথাও যোদ্ধঅপরাধী অথবা অন্য কোনো মামলা ছিল না।

বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার আল্লামা দেলওয়ার হোসেন সাঈদীকে ইসলাম ধর্ম অবমাননা মামলায় গ্রেফতার করে।

আমি তথ্য, দলিল ছাড়া শুধু রাজনৈতিক পতি হিংসার কারণে ডান , বাম , লীগ , বি এন পি কোনো দলের কারো শাস্তি হোক সেটা কামনা করতে পারি না , বা চাই না ।

পিরোজ পুর জেলা মুক্তি যোদ্ধা কমান্ড অফিস থেকে প্রকাশিত রাজাকারের লিস্টে দেলু সিকদার নাম আছে , কিন্তু দেলোয়ার হোসেন সাইদী নামে কোনো রাজাকার নাই

আমার প্রশ্ন - এখনো বহু মুক্তি যোদ্ধা জীবিত তারা তো কোনো দিন বলেন নাই দেলোয়ার হোসেন সাইদী সেই দেলু রাজাকার

দেলোয়ার হোসেন সাইদী নামে সব সার্টিফিকেট , তার বাবার নাম , এমন কি তার বোনের বিয়ের কাবিন (১৯৬০ এর পূর্ববর্তী ) সব প্রমান করে সাইদী তাদের বংশ গত নাম , শিকদার নয় ।

জাতীয় সংসদে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বিরোদ্ধে রাজাকার বলার যে বক্তব্য তা বেশ পরিষ্কার - শেখ হাসিনা , খালেদা জিয়া- সবার উপস্তিতিতে জাতীয় সংসদে দেলোয়ার হোসেন সাঈদী বলেছিলেন তাকে রাজাকার প্রমান করতে পারলে তিনি সংসদ সদস্য পদ ছেড়ে দেবেন , আর না পারলে যদি কেও তাকে রাজাকার বলেন তাহলে তার বিরোদ্ধে মান হানি মামলা করবেন , তখন কেন একজন ও জবাব দিলেন না বা প্রমান করলেন না ?

এবার বলতে হয় ১৯৭২ থেকে ১৯৭৩ পর্যন্ত যাদের দালাল আইনে গ্রেফতার করা হয় বা মামলা হয় সেই সব দলিলে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর নাম নাই ।

এমন কি দেলোয়ার হোসেন সাঈদী এই সরকার যখন গ্রেফতার করে তখন পর্যন্ত তার বিরোদ্ধে

যোদ্ধঅপরাধী মামলা ছিল না , থাকে গ্রেফতার করা হয় ইসলাম ধর্ম অবমাননা মামলায় ।এখানে ও একটা বিষয় যে লোক ইসলামী প্রচার , প্রচারণা করেন তাকে ইসলাম ধর্ম অবমাননা মামলায় গ্রেফতার সেটা ও দেখার বিষয় I

প্রখ্যাত , নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের পিতাকে হত্যার অভিযোগ আনা হলো দেলোয়ার হোসেন সাইদীর বিরোদ্ধে - কিন্তু জাফর ইকবাল (সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের ভাই ) নিজে আদালতে যান নাই , এমন কি তিনি এই বিষয়ে কোনো বইয়ে ও লিখেন নাই ।

তবে আমরা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের মাতার নিজের লিখা একটি বইয়ে দেখলাম তিনি তার স্বামীর হত্যা কারীদের নাম উল্লেখ করেছেন , সেই বইয়ে দেলোয়ার হোসেন সাইদীর নাম নাই ।

কয়েকজন হিন্দুকে হত্যা , ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ আনা হয় দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বিরোদ্ধে - কিন্তু যাদেরকে সাক্ষী করা হলো তাদের মধ্যে

তথ্যের স্বার্থে -

সাক্ষী -

কারণ তদন্তকারী কর্মকর্তা তার জেরায় বলেন যে, পিরোজপুর এলাকার স্থানীয় লোকজন, স্কুল, কলেজে বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠনের কোন ব্যাক্তি বা ছাত্র নিখোঁজ হওয়ার কোন তথ্য তিনি তদন্তকালে পান নাই।

উপরন্তু রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী (পিডব্লিউ)-৮ তার জেরায় জানান যে ঐ দিন সাঈদী পাড়েরহাটে ছিলেন। উক্ত ঘটনাস্থল মেজর জিয়ার বাড়ীর পিছনে হওয়া সত্তেও এই ঘটনা আমার পরম শ্রদ্ধাভাজন মেজর জিয়া ( এখনো জীবিত আছেন ) তার লিখিত বইতে বলেন নাই। উক্ত ঘটনাস্থলে ১৯৭১ সালে কোন বাসষ্টান্ডই ছিলনা।

সংশ্লিট সাক্ষী- ১। আশিস কুমার মন্ডল ২। সুমতী রানী মন্ডল ৩। সমর মিস্ত্রী। ৪৭ দিন সেইফ হাউজে থাকার পরেও তারা সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষী দিতে রাজী না হওয়ায় তাদের কে সাক্ষী হিসাবে আনা হয়নি।

অনুসন্ধান করে দেখা যায় খলিলুর রহমান ১৯৭২ সালে জন্ম গ্রহন করেছে। মাহাবুবুল আলম নিজে ঐ সময় ছাত্র থাকার কথা বলেন তবে কোন ক্লাসের ছাত্র ছিলেন তা বলেন নাই। তবে ১৯৭৬ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন এ কথা বলেন। সে মতে,ঐ সময় অর্থাৎ ১৯৭১ সালে মাহবুবুল আলম ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন। অথচ তিনি একাত্তর সালে তার বয়স ২০ বছর বলে দাবি করেছেন

মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে পিরোজপুর আদালতে দায়ের করা মামলার বাদী মানিক পসারী জবানবন্দিতে বলেছেন, ইবরাহিম কুট্টি তাদের কাজের লোক ছিল।

১৯৭১ সালের ৮ মে পাক হানাদার বাহিনী ও মাওলানা সাঈদীসহ রাজাকার এবং শান্তি কমিটির লোকরা তার বাড়িতে হামলা করে। বাড়ির সবাই পালিয়ে গেলে তারা কাজের লোক ইবরাহিমকে ধরে নিয়ে যায় এবং বাড়িতে আগুন দেয়। ইবরাহিমকে দড়ি দিয়ে বেঁধে পাড়েরহাট বাজারের কাছে ব্রিজের ওপর নিয়ে গুলি করে হত্যা করে পাক সেনারা। এ সময় পাক সেনাদের কানে কানে মাওলানা সাঈদী কি যেন ফিসফিস করে বলছিলেন।

ইব্রাহিমের স্ত্রীর মামলায় সাঈদীর নাম নেই : মানিক পসারীর এ বক্তব্যের জবাবে সাঈদীর আইনজীবীরা আদালতে একটি হত্যা মামলার এজাহারের কপি পেশ করেন। এ এজাহারটি পিরোজপুর সদর থানায় ১৯৭২ সালের ১৬ জুলাই দায়ের করা হয়। নিহত ইবরাহিমের স্ত্রী মমতাজ বেগম এ এজাহার দায়ের করেন। স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে মমতাজ বেগম তার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, আমি ও আমার স্বামী ইবরাহিম কুট্টি আমার বাবার বাড়ি পিরোজপুরের বাদুরা গ্রামে বসবাস করি। ১৯৭১ সালের ১ অক্টোবর আমাদের বাড়িতে (ইবরাহিম কুট্টির শ্বশুর বাড়ি) ভোর রাতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা আমার স্বামীকে হত্যা করে এবং আমাকে জখম করে। হামলাকারী ও ইবরাহিমকে হত্যাকারী হিসেবে মমতাজ বেগম ১৩ জন আসামির নাম উল্লেখ করেছেন। এদের মধ্যে দেলাওয়ার হোসেন কিংবা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী নামে কেউ নেই।

আব্দুল হালিম বাবুলের সাক্ষ্য ও জবানবন্দী আলোচনা করলে বোঝা যায় যে, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই তিনি সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন। তার বক্তব্য মোটেও গ্রহন যোগ্য নয়।এ বিষয়ে তার মামা আব্দুর রাজ্জাক আকন সাঈদী সাহেবের পক্ষে সাক্ষী দিয়ে বলেন যে,তার ভাগ্নে আব্দুল হালিম বাবুল এই ট্রাইব্যুনালে এসে সাঈদী সাহেবের মতো একটি ভাল লোকের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। এই অসত্য সাক্ষ্য দেয়ার কারণে আমার বড় বোন বাবুলের মা ঐ ছেলের ঘর থেকে রাগ করে বেরিয়ে তার দ্বিতীয় ছেলের বাসায় চলে গেছে এবং আমাকে সত্য কথা আদালতে এসে বলার জন্য অনুরোধ করেছে। ৮৫ বছর বয়স এবং অসুস্থ হওয়ার কারণে আমার বোন সাক্ষ্য দিতে আসেনি। সুস্থ থাকলে সে নিজেই আসতো।আব্দুর রাজ্জাক আকন আরো জানান, ১৯৭১ সালে বাবুলের বাড়িতে পাকসেনা, রাজাকাররা যায়নি, কোনো প্রকার লুট হয়নি, কেউ আগুনও দেয়নি।

উমদেপুর হিন্দুপাড়ায় প্রবেশ করে ২ জুন ১৯৭১ তারিখে উমদেপুর হিন্দুপাড়ার ২৫টি বাড়ীঘর পুড়িয়ে দিয়ে বিশাবালীকে গুলি করে হত্যাকরা।

অভিযোগ:---

২ জুন ১৯৭১, পাক সেনাদের সাথে নিয়ে টেংরাখালী গ্রামের মাহবুবুল আলম হাওরাদারের বাড়িতে গমন এবং তার ভাই আব্দুল মজিদ হাওলাদারকে আটক ও নির্যাতন এবং বাড়িতে র্স্বন অলংকার সহ নগদ টাকা লুট ও ভাঙচুর।

অভিযোগ--

যুদ্ধ শুরু হওয়ার ২/৩ মাস পরে একদিন পাক সেনাদের সাথে নিয়ে নলবুনিয়া গ্রামের আজহার আলীর বাড়িতে গমন, সেখানে আজহার আলী ও তার ছেলে সাহেব আলীকে নির্যাতনের পর সাহেব আলীকে পিরোজপুরে প্রেরণ এবং সেখানে তার ছেলেকে গুলি করে হত্যা।

প্রকাশিত অভিযোগ গুলোর

সমর্থনে রাষ্ট্রপক্ষ সাধারণভাবে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী-১ হতে 12 পর্যন্ত, মাহবুবুল আলম হাওলাদার হতে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী-১২ এ কে এম এ আউয়ালের বক্তব্যের উপর নির্ভরশীল। এছাড়াও তদন্তকারী কর্মকর্তা তার তদন্তকালে মানিক পশারী ও আলমগীর পশারীর বাড়ির হতে পোড়া কাঠ ও টিন জব্দ করেছে এবং বিভিন্ন পত্রিকা ও Associates of Palkistan Army in 1971 by Samsul Arefin নামক বইটি দাখিল করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী-১ মাহবুবুল আলম হাওলাদারেরে জবান বন্দী অনুযায়ী তিনি ৭ মে ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। সে ২ মে এর ঘটনারও প্রত্যক্ষদর্শী। তার উপস্থিতিতেই মানিক পশারীর বাড়ীর আলামত জব্দ করা হয়। তার জবানবন্দী অনুযায়ী ১৯৭১ সালে তার বয়স ছিল ২০ বছর। সে সুন্দর বনের মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পের গোয়েন্দা ছিলেন। সে জেরায় স্বীকার করে ১৯৭১ সালে সে ছাত্র ছিল। ১৯৭৬ এস এস সি পরিক্ষা দিয়েছে।

1. রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী-১ মাহবুবুল আলম হাওলাদারের এস এস সি রেজিস্ট্রেশন কার্ড অনুযায়ী তার জন্ম ১৯৫৯ সালে। তার পিঠে পিঠী বড় বোনের জন্ম ১৯৫৭ সালে। কাজেই ১৯৭১ সালে তার বয়স ২০ বছর থাকা গ্রহন যোগ্য নয়। সে জেরায় স্বীকার করে যে তার বাড়ী লুট ও তার বড়ভাইকে নির্যাতনের ঘটনা সে নিজে দেখে নাই। তার বাড়ী লুটের ঘটনা প্রকাশ্য দিবালোকে হওয়া সত্তেও রাষ্ট্রপক্ষ কোন প্রত্যক্ষ্যদর্শী সাক্ষী হাজির করতে পারে নি। তিনি এও স্বীকার করেছেন যে মানিক পশারীর বাড়ীর আলামত ৮ই মে জব্দ করা হয়েছে। অথচ প্রদর্শনী-২ ও ৩ অনুযায়ী মানিক পশারী ও আলমগীর পশারীর বাড়ির আলামত জব্দ করা হয় ১৮-৮-২০১০ তারিখে।

2. মাহবুবুল আলম হাওলাদার দাবী করেন ২ জুন ১৯৭১ তারিখে পাক আর্মি তার বাড়ীতে যাওয়ার ঘটনা সাক্ষী খলিলুর রহমান তাকে জানান। অথচ নথিপত্রে পাওয়া যায় খলিলুর রহমানের জন্ম ১৯৭২ সালে।

3. তিনি দাবী করেন সাক্ষী মিজানুর রহমান তালুকদার তাকে ২০-০৭-২০১০ তারিখে তদন্ত সংস্থার অফিসে নিয়ে যান অথচ সাক্ষী মিজানুর রহমান জেরায় বলেন ২০-০১-২০১০ পূর্বে তিনি তদন্তসংস্থার অফিসে যান নাই।

1. ইহা ছাড়াও মাহবুবুল আলম হাওলাদার জেরায় স্বীকার করেন যে পিরোজপুর কোর্টে তার দাখিল করা মামলায় তার ভাইকে নির্বাচনের কথা বলেন নি। তিনি ২০০৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর নিকট সাহায্যের আবেদনে তার বাড়ি লুটপাট ও ভাংচুরের কথা বলেন নি। বরং তার ভাইদের কতৃক তার বাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন। কাজেই আদালতে তার বক্তব্য কোন ভাবেই গ্রহন যোগ্য নয়।

রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী-২ রুহুল আমীন নবীন ৭ ও ৮ মে এবং ২১ জুনের ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শী দাবী করে সাক্ষ্য প্রদান করলেও জেরা ও জবানবন্দী পর্যালোচনায় দেখা যায় যে ৮ মে রৈজুদ্দিন পশারী, সৈজুদ্দিন পশারী ও মানিক পশারীর ৭/৮ টি ঘর লুটপাট করার পর পুড়িয়ে ভস্মীভুত করা হয়। কিন্তু মানিক পশারীর বক্তব্য অনুযায়ী মানিক পশারী, আলমগীর পশারী ও চান মিয়া পশারীর কাচারী ও গোলা ঘর ছাড়া চিথলিয়া গ্রামের অন্য কোন বাড়ী- ঘর পোড়ানো হয় নাই। মানিক পশারীর বাড়ী বিকাল ৩টায় পোড়ানো হয় বলা হলেরও রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষী-২ রুহুল আমীন নবীন তার জেরায় বলেন তিনি মানিক পশারীর বাড়ীতে বেলা ১১টায় আগুন দেখেছেন পাড়েরহাট থেকে। ২ ঘন্টা পর তিনি নিজে গিয়ে ঘটনা দেখেন। তিনি পাড়েরহাটে উপস্থিত থাকলেও মাখনলাল সাহার দোকান লুটের ঘটনা দেখেন নাই।

2. তিনি (রুহুল আমীন নবীন) সুলতান তালুকদারের দোকান দখল করে পাঁচ তহবিলের গোডাউন স্থাপনের কথা বললেও আইও তার জেরায় বলেন ১৯৭১ সুলতান তালুকদার পাড়েরহাটের কোন দোকানের মালিক ছিলেন না। রুহুল আমীন নবীন, মাহবুবুল আলম হাওলাদার, মাহতাব উদ্দিন হাওলাদার এবং আরো অনেক সাক্ষী দাবী করেন যে সাঈদী সাহেব পাড়েরহাটের দোকান ভেঙে তার শ্বশুর বাড়ীতে নিয়া যান। এবং যুদ্ধ শেষ হলে নবীন এবং অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা উদ্ধার করে তাকে ফিরিয়ে দেন। আইও জেরায় বলেন যে মদন সাহা যুদ্ধের সময় দেশ ত্যাগ করে ভারতে যাবার পর আর ফেরত আসে নাই। তাহলে তাকে বাড়ী কিভাবে ফেরত দিলেন?

3. তিনি যুদ্ধের সময় ২১ জুন সুন্দরবনের বগী ও শরনখোলা ক্যাম্পের রসদ সংগ্রহের জন্য পারেরহাটে আসেন অথচ তার কেনা মালের পরিমান ২৫/৩০ সের। এ ছাড়া তিনি সাঈদীর বিরুদ্ধে পিস কমিটির সদস্য নুরুল হক মৌলভীর নিকট অভিযোগ দেন ইহাও বিশ্বাস যোগ্য নয়।

1. রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী-৩ মিজানুর রহমান তালুকদার তার জবানবন্দীতে বলেন- মুলত তিনি তার জবানবন্দীতে কোন ঘটনা দেখার কথা বলেন নাই কেননা তিনি ১৭ /১৮ ই মে পর্যন্ত পারেরহাটেই ছিলেন না। এছাড়া তিনি সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে যে সমস্ত বক্তব্য দিয়েছেন তা আই ও এর কাছে বলেন নাই। তিনি মুলত তার ভাই আব্দুল মান্নান তালুকদারকে ধরেনিয়ে নির্যাতন করা এবং চরখালী গ্রামে লুটপাটের কথা বলেছেন। উক্ত ২টি বিষয়ে কোন অভিযোগ গঠন হয়নি। উপরন্তু মান্নান তালুকদারকে এই কারণে নির্যাতন করা হয় যেন তিনি মিজানুর রহমান তালুকদারকে আর্মি দের নিকট তুলে দেন। অথচ মান্নান তালুকদার স্বাধীনতার পুরো সময় বিনা বাধায় পায়ে হেটে অফিস করেছেন। উক্ত মিজান তালুদকদার নাম মাত্র মূল্যে মোহাম্মদ পুরে ফ্ল্যাট পেয়েছেন তাই তাকে বিশ্বাস করা যায় না।

2. রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী-৪ সুলতান আহমেদ তালুকদার কোন ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী নয় যদিও তিনি তার জবানবন্দীতে ঘটনার আংশিক প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেছেন। বিশাবালীকে তার সামনে হত্যা করে হলেও হত্যা কারী কে তার নাম বলতে পারেন নাই।

1. তিনটি চুরি মামলার আসামী সুলতান আহমদ হাওলাদার রাষ্ট্রপক্ষের চতুর্থ সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে। কলা চুরির মামলায় পিরোজপুর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত জেল দেন সুলতান আহমদকে। পিরোজপুর জজ আদালত সেই সাজা বহাল রাখেন। হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে মামলাটি।

1. এছাড়া সুলতান আহমদের বিরুদ্ধে ট্রলার চুরির দায়ে অপর দু’টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে বরিশালে।

2. সাঈদীর আইনজীবীদের জেরায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী-৫ মাহতাব উদ্দিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে কাঠ চুরির অভিযোগের বিষয়টি বের হয়ে আসে। জেরার সময় প্রশ্নের মাধ্যমে মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী আদালতকে জানান, মাহতাব উদ্দিন ও তার অন্য ভাইয়েরা মিলে টেংরাটিলার শাহাদাত হোসেনের বাড়ি থেকে বিপুল কাঠ চুরি করে। পরে পুলিশের সহায়তায় তার বাড়ি ঘেরাও করে সে কাঠ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত কাঠ মামলার বাদি ও এক নম্বর সাক্ষী মাহবুবুল আলম হাওলাদারের জিম্মায় রাখা হয়। পরে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে সে কাঠ শাহাদাত হোসেনকে ফেরত দিয়ে বিষয়টি সুরাহা করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী-৬ মানিক পশারী জবানবন্দীতে বলেন ৮ মে বেলা ৩ টার সময় পাক আর্মি ও রাজাকাররা তার বাড়ীতে গিয়ে লুটপাট ও অগ্নিংযোগ করে ও তার ফুফাতো ভাই মফিজ পশারি ও তার কাজের লোক ইব্রাহিম কুট্রিকে ধরে নিয়ে যায়। কুট্রিকে হত্যা করে ও মফিজ কে ক্যাম্পে নিয়ে নির্যাতন করে। মফিজ পরে পালায়ে আসে। তার বাড়ীর আগুন দেবার ঘটনা তিনি বাড়ির পাশের জঙ্গলে লুকায়ে দেখেছেন। তিনি আরো জানান ১৮-৮-২০০৯ তারিখে তার বাড়ী থেকে আলামত জব্দ হয়েছে।

3. জেরায় পাওয়া যায় তিনি যে টিভি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তাতে তিনি বলেন তার বাড়ী পোড়ার কোন চিহ্নই ছিলনা। তিনি বলেন তার ভাই আলমগীর পশারী তার থেকে ৩০ বছরের ছোট। তাহলে বোঝা গেল ১৯৭১ সালে তার বাড়ি পোড়া তো দুরের কথা তার বাড়ী থাকাই অবাস্তব।

একই ভাবে সাক্ষী ১১- আব্দুল জলিলের জবানবন্দীও বিশ্বাস করা যায় না। কেননা তিনিও ১৯৭১ সালে আলমগীর পশারির বাড়ী পুড়তে দেখেছেন। মানিক পশারির ঘটনা দেখার দাবী আরো অযৌক্তিক হইয়ে যায় যখন দেখা যায় যে বাসুদেব মিস্ত্রি বলেন মানিক পশারীর বাড়ীর সকল সদস্য সকাল ৮টার সময় বাড়ী ছেড়ে চলে যায়। আলামত জব্দের কাহিনী তুলনা মূলক বিচারে দেখা যায় যে প্রদর্শনী-২ ও ৩ অনুযায়ী আলামত উদ্ধার হয়েছে বেলা ১১টার সময় চিথলিয়া মানিক পশারীর বাড়ী থেকে। তার জেরায় বলেন যে ১৮ তারিখে তিনি ১২টা ৫৫ মিনিটের পুর্বে ঐ গ্রামে যান নাই। তাই আলামত উদ্ধারের কাহিনী কল্পনা প্রসুত।

4. সাক্ষী মফিজ উদ্দিন পশারী ট্রাইবুনালে সাক্ষ্য দানকালে নিজেকে প্রত্যক্ষদর্শী দাবী করলেও তিনি পিরোজপুর আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট দেয়া জবান বন্দীতে বলেন, ইব্রাহিম কুট্টি কিভাবে কোথায় মারা যান তা তিনি দেখেন নি। সুতরাং মানিক পশারীর বাড়ীর যে ঘটনার বর্ননা দেয়া হয়েছে তার কোন প্রত্যক্ষ্যদর্শী সাক্ষী নাই। ঘটনা বাণোয়াট।

5. ডিফেন্স প্রদর্শনী থেকে দেখা যায় যে ইব্রাহিম কুট্টিকে নলবুনিয়ায় তার শশুর বাড়ীতে হত্যা করা হয়। এবং ঐ সময়ই সাহেব আলীকে ধরে পিরোজপুর আর্মি ক্যাম্পে নিয়ে যায় এবং হত্যা করে। এই ঘটনার অভিযোগকারী আর কেউ নয় ইব্রাহিম কুট্রির স্ত্রী মমতাজ বেগম এই বিষয়ে ৭২ সালে একটি মামলা করে এজাহার দায়েরের পর চার্জশিট হলেও কোথাও সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ ছিলনা। বিশাবালীর ভাই সুকাবালীকে সরকার অপহরন করে নিয়ে যায়।

যুদ্ধচলাকালে সাঈদী প্রভাব খাটিয়ে পারেরহাটসহ অন্য গ্রামের ১০০-১৫০ জন হিন্দুকে ইসলাম ধর্মে রূপান্তর করে। তাঁদের মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে বাধ্য করা হতো।

এক্ষেত্রে যারা নিজেদেরকে জোরপূর্বক ধর্মান্তরের দাবী করেন তার কেউ সংশ্লিষ্ট মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জিন কে চেনেন না। এ ছাড়াও তদন্তকারী কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট মসজিদের কোন মুসল্লিকে সাক্ষী করেন নাই।

রাজাকার লিষ্টেও অনেক কুখ্যাত রাজাকারদের নাম নাই। এই তালিকা তদন্তকারী কর্মকর্তা যাচাইয়ের দাবি করলেও জেরায় জানা যায় ১৭-০৮-২০১০ তারিখে তিনি এই তালিকাটি পিরোজপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের নিকট থেকে যাচাই করেন। অথচ অন্য এক জায়গায় বলেন তিনি ১৮-৮-২০১০ তারিখে সর্ব প্রথম পিরোজপুরে যান। যশোরে পালিয়ে থাকার বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের ডকুমেন্ট থেকে ৪ ধরনের কথা পাওয়া যায়: ১। রওশনের বাড়ীতে ছিলেন। ২। যশোর কালেক্টরের রশিদ মিয়ার বাড়ীতে ছিলেন। ৩। খুলনায় ছিলেন ৪। ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত সাউথখালীতে পালিয়ে যায়। (পিরোজপুর এসবি রিপোর্ট)৫। সৌদি আরবে পালিয়ে যায়।

ডিফেন্স বক্তব্য- ১৯৭৩ সালে ঢাকার আর্মানি টোলা মাঠে তাফসির করেন। ১৯৭৪ সালে মতিঝিলের পি এন্ড টি কলোনী মাঠে তাফসির করেন। ১৯৭৫ সালে তাকে সরকার গ্রেপ্তার করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি হজ্জ করেন। নিজ ঠিকানা থেকে পাসপোর্ট ও করেন। রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী-১০ তার জেরায় বলেন যে সকাল বেলা তিনি মানিক পশারীর বাড়িতে আগুন দেখেন। সাঈদীর পক্ষের সাক্ষী সুখরঞ্জন বালীকে ট্রাইব্যুনালের গেট থেকে অপহরণ সুখরঞ্জন বালী নামে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষের একজন সাক্ষীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গেট থেকে অপহরণ করে ডিবি পুলিশের লোকজন। তিনি ছিলেন মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের তালিকাভুক্ত সাক্ষী। ৫ নভেম্বর সোমবার তিনি এসেছিলেন ট্রাইব্যুনালে মাওলানা সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দিতে। সাক্ষ্য দিতে আসার সময় ট্রাইব্যুনালের প্রবেশপথে তাকে ডিবি পুলিশের লোকজন ধরে নিয়ে যায়। মাওলানা সাঈদী পক্ষের আইনজীবীরা এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন সাক্ষীকে ধরে নিয়ে পুলিশের গাড়িতে তোলার সময় তাকে থাপ্পড় মেরেছে ডিবি পুলিশের লোকজন। সুখরঞ্জন বালী রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী ছিলেন

গত ২৩ অক্টোবর এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার অবতারণা হয়। গণেশচন্দ্র সাহা নামে রাষ্ট্রপক্ষের এক সাক্ষী সাক্ষ্য দেন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষে। তিনি ১৯৭১ সালে পিরোজপুরে বর্বরোচিত হত্যার শিকার ভাগীরথী সাহার ছেলে। গণেশচন্দ্র সাহা শুধু যে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী,তাই নয়। যে ১৫ জন সাক্ষীর জবানবন্দী তাদের অনুপস্থিতিতে ট্রাইব্যুনাল সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করেছেন,সেই ১৫ জনেরও একজন তিনি। যে ভাগীরথীকে হত্যায় সহযোগিতার অভিযোগ মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে,সেই ভাগীরথী সাহার ছেলে এসে সাক্ষ্য দিলেন মাওলানা সাঈদীর পক্ষে। তিনি স্পষ্ট ভাষায় আদালতকে জানান, মাওলানা সাঈদী তার মাকে মারেননি।

পসারি নামক একজন লোক ছিলেন সরকার পক্ষের সাক্ষী - নিরীহ ভদ্র লোক নিজে সংবাদ পত্র , টিভি তে বক্তব্য দিলেন তিনি সাইদীর বিরোদ্ধে মিথ্যা সাক্ষী দেবেন না , পরে দেখলাম ওই লোক যখন সাইদীর পক্ষে সাক্ষী দিতে আদালতে এলেন , দিন দুপরে লোকটাকে আদালত প্রাঙ্গন থেকে সাদা পোশাকধারী পুলিশ উঠিয়ে নিয়ে গেলো, আজ জানা গেলো না ভদ্র লোকটা জীবিত না আর ফিরে আসবে না

এতে কি প্রমান করে ? আমরা শান্ত এবং নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে বিচার করতে পারি নিজের বিবেক বুদ্ধি দিয়ে

তদন্ত কর্ম কর্তার বক্তব্য যদি সাক্ষী হয় তাহলে একজন তদন্ত কর্মকর্তা যা ইচ্ছে তাই লিখে অন্যের সব কথা কি করে প্রমান করতে পারে ? কিন্তু কয়েকজন মানুষের বক্তব্য নিজে দিলেন , সাক্ষী হাজির করলেন না

তাই আবেগ দিয়ে কারো ফাসি , শাস্তি দাবী করব কার সার্থে ? কেন নিরপরাধ কে অপরাধী করব ?

সরকার একবার উদ্দ্যোগ নিলেন সার্টিফিকেট জালিয়াতি কি না তা দেখার জন্যে , কিন্তু তাও প্রমান করতে পারেন নাই -- তাহলে সব মিলিয়ে কি বলব >

সরকার বাদী , আর আসামী দের সাক্ষী তবে সেই দেলু শিকদার আর দেলোয়ার হোসেন সাইদী আলাদা ২ জন মানুষ , পিরোজ পুর জেলা মুক্তি যোদ্ধা কমান্ড অফিস থেকে প্রকাশিত তথ্য মতে রাজাকার দেলু শিকদার দেশ স্বাধীনের পর পরি মুক্তি যুদ্ধারা হত্যা করেন ---

এই লিখাটি কষ্ট করে পড়ার জন্যে বিনম্র শ্রদ্ধা , ও সম্মান জানাই 



কোন মন্তব্য নেই:

Comment here />

Widget ByBlogger Maruf
Widget ByBlogger Maruf