বাংলাদেশ মানচিত্রকে ভারতের তাঁবেদারি থেকে বাঁচাতে তিনটি প্লান !! প্রথমে প্লান-এ!! তা বিফল হলে প্লান-বি !! তাও বিফল হলে প্লান-সি
আমাদের নেতারা পরিকল্পনা নেন কিংবা না নেন ভারত যে পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশকে নিয়ে তারা সেই পরিকল্পনার বাহিরে যাবে না !! আর তা হল বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রন করা !! তারা ভুলেও কাঁটাতারের ভেড়া তুলবে না কিন্তু তারা ঠিকই আমাদের শোষণ করবে !! তারা পানিতে মারবে !! অর্থনৈতিক দিক দিয়ে মারবে !! তার জন্য তাদের চাই তাদের মন মত একটি সরকার !![ ভারতের মন মত শাসক না থাকলে বাংলাদেশ হবে সত্যি সোনার বাংলা]
২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে যখন জেনারেল মইন ঘোড়া নিয়ে এল ভারত থেকে তখন থেকেই তাদের পরিকল্পনা একটার পর একটা সফল হচ্ছে !! নির্বাচনের আগে যুদ্ধাপরাধ বিচারের কথা তুলা সেটিও দিল্লি থেকে নিয়েছে হাসিনা !! হাসিনার প্রায় ৫ বছরের শাসনে সব কাজ ভারতের পরিকল্পনার উপর হয়েছে !! ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ বিডিআর গণহত্যা/ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ সাইদির রায়ে গণহত্যা/ ৫ ও ৬ মে আলেমদের গণহত্যা সব ভারতের পরিকল্পনায় হয়েছে !!
সর্বশেষ ৫ ও ৬ মে থেকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমি যুদ্ধ ছাড়া কোন কিছুর চিন্তা করি না !! কারন ভোটের নির্বাচনের যদি রাজনীতি হত তাহলে ভুলেও হাসিনা এই হত্যাকাণ্ড গুলো চালাত না !!
ভারতের পরিকল্পনায় যে বিচার হচ্ছে এবং ফাঁসি দেয়ার পাঁয়তারা হচ্ছে তা যদি সফল হয়ে যায় তাহলে মনে করেন এই দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার মত জীবনউৎসর্গ কৃত নেতা তৈরি হওয়া অনেক সময়ের ব্যাপার [আল্লাহু আলম] তিতুমির,মেজর ডালিমরা সহজে জন্ম নেন না !!
বাংলার বীর সন্তান জিয়ার গড়া দল বিএনপির মধ্যে জীবনউৎসর্গ কৃত নেতা নেই আর কোন দিন জন্মও নিবে না !! [তারেক রহমান যদি দেশে আসে তাহলে আমি আমার এই কথা তুলে নিব, তারেক রহমান আসার নৈতিক সাহস আমি দেখি না]
মেজর জিয়ার স্ত্রী খালেদা জিয়া একজন দেশপ্রেমিক এবং আপোষহীন তা মানলেও তার নিজের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা নাই, দলের চাটুকাররা যা বলে তিনিও তাই করেন। উনার ব্যাপারে আমার এই মত যে উনি জেলে যাবেন তারপরও হাসিনার সাথে আপোষ করবেন না। এবং তাঁকে গ্রেফতার করে বন্দী করাও ভারতের পরিকল্পনার একটা অংশ।
ভারতের পরিকল্পনায় এবং অর্থে দেশে নাস্তিকতা মতবাদে কিছু মুসলিম ঘরের সন্তান যুক্ত হয়েছে। তাদের মূল টার্গেট ইসলাম অবমাননা কর লেখালেখি করা।
ভারতের পরিকল্পনার অংশ হাসিনা পুত্র জয় । সেই এখন তার মায়ের উপদেষ্টা।হাসিনার ব্রেইন ওয়াস হয়েছে প্রাপ্ত বয়সে তার পরিবারের হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে এবং প্রতিশোধের নেশায় !! কিন্তু জয়ের ব্রেইন ওয়াস হয়েছে জন্মলগ্ন থেকে ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব থেকে !! জয়ের বড় হওয়া, জয়ের শৈশব, কৈশোর,থেকে শুরু করে যুবক হয়েছে দেশের বাহিরে নানান চক্রান্তকারীদের নিয়ন্ত্রনে !! তাই হাসিনা থেকে জয় হাজার গুন বেশি ভয়ংকর।
দৃশ্যত আওয়ামীলীগ মনে করে তাদের ক্ষমতায় যাওয়া না যাওয়ায় জামায়াত ফ্যাক্টর কিন্তু ভারত মনে করে তার পরিকল্পিত বাংলাদেশকে তাঁবেদার রাষ্ট্র বানাতে জামায়াতের নেতারা বড় ফ্যাক্টর !! যদি শুধু জামায়াতের রাজনীতি ও ইসলামী রাজনীতি ফ্যাক্টর হত তাহলে ভারতের একটি হুকুমে আওয়ামীলীগ জামায়াতকে সংবিধান বিরুধি গঠনতন্ত্র বলে নিষিদ্ধ করে দিতে পারত !! ইসলামী রাজনীতি বন্ধ করার আগে ভারতকে অবশ্যই সেপাহসালারদের হত্যা করতে হবে ।
তাই যারা বিশ্বাস করেন জামায়াতের নেতারা ছাড়া দেশকে ভারতের তাঁবেদারি করার হাত থেকে মুক্ত করতে নেতৃত্ব দেয়ার মত লোক বর্তমানে নাই এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন ছাড়া দেশে শান্তি স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়, তাহলে তাদের পরিকল্পনায় থাকা উচিৎ,
প্লান-এ হওয়া উচিৎ --- যে কোন মুল্যে জামায়াত নেতাদের নির্দোষ জীবনকে [যা তাদের বিরুধে অপবাদ দেয়া হয়েছে] রক্ষা করা এবং নিরপেক্ষ ব্যাক্তির অধীনে নির্বাচন।
প্লান- বি হওয়া উচিৎ --- নেতাদের হত্যা করলে পুরো দেশকে নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নেয়া এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আমন্ত্রন জানানো যে ক্ষমতা যেন তারা গ্রহণ করে।
প্লান-সি হওয়া উচিৎ --- যদি ভারত সরাসরি নাক গলায় বা তাদের সেনাবাহিনীর আমাদের মানচিত্রে ডুকার চেষ্টা করে, আমাদের সেনাবাহিনী কর্তৃক রাষ্ট্র মেনে না নেয় তাহলে সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করা যা পুরো ভারত উপমহাদেশের [পাকিস্তান-ভারত-বাংলাদেশ] মুসলিমদের সাথে নিয়ে যাতে ভারত বিজয় করা যায় !! [ ইনশাআল্লাহ্]
কোন মন্তব্য নেই: