মাজারপূজা-কবরপুজা এবং পীরবাদের মতো বিদা'তি-শিরিকি কর্ম থেকে আমরা কেন দূরে থাকব? একটু জেনে দেখব কি!!!
আমি বিদা'তি-শিরিক কর্ম নিয়ে লিখি বলে অনেক ভাই আমার উপর বিরক্ত এবং কাছের আপনজনরাও আমার উপর মনোকষ্টে ভুগছেন । তাদের জ্ঞাতারতে জানাতে চাই , আপনি যদি নিজেকে মুসলিম মনে করেন তাহলে ইসলাম আপনাকে যতোটুকু অনুমতি দিয়েছে আপনি তার বেশি যেতে পারেন না , করতে পারেন না । যদি আপনি ভুল করে নিজেকে জিইয়ে রাখার নিমিক্তে জোর করে তা করতে চান তাহলে মনে রাখবেন আল্লাহ তা বরদাশত করবেন না ।আমি শুধুমাত্র যা সত্য তা প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি মাত্র । নিন্মে এই বেপারে আল্লাহ'র এই অধম গোলাম হিসাবে সংক্ষেপে বিস্তারিত আলোচনা দিয়েছি , ইনশাআল্লাহ একটু সময় নিয়ে মনোযোগ সহকারে পড়লে কোনটা সহীহ তা জানতে পারবেন । আল্লাহ আমাদের বুঝে পড়ার তওফিক দান করুন ।
আলহামদুলিল্লাহ! সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ'র এবং সকল কর্ম একমাত্র তার সন্তুষ্টির জন্য । আল্লাহ আমাদের কবুল করুন ।
----------------------------------------------------------------------------------
'' শুধু নিজে শিক্ষিত হলে হবেনা, প্রথমে বিবেকটাকে শিক্ষিত করুন। ''
আমি বিদা'তি-শিরিক কর্ম নিয়ে লিখি বলে অনেক ভাই আমার উপর বিরক্ত এবং কাছের আপনজনরাও আমার উপর মনোকষ্টে ভুগছেন । তাদের জ্ঞাতারতে জানাতে চাই , আপনি যদি নিজেকে মুসলিম মনে করেন তাহলে ইসলাম আপনাকে যতোটুকু অনুমতি দিয়েছে আপনি তার বেশি যেতে পারেন না , করতে পারেন না । যদি আপনি ভুল করে নিজেকে জিইয়ে রাখার নিমিক্তে জোর করে তা করতে চান তাহলে মনে রাখবেন আল্লাহ তা বরদাশত করবেন না ।আমি শুধুমাত্র যা সত্য তা প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি মাত্র । নিন্মে এই বেপারে আল্লাহ'র এই অধম গোলাম হিসাবে সংক্ষেপে বিস্তারিত আলোচনা দিয়েছি , ইনশাআল্লাহ একটু সময় নিয়ে মনোযোগ সহকারে পড়লে কোনটা সহীহ তা জানতে পারবেন । আল্লাহ আমাদের বুঝে পড়ার তওফিক দান করুন ।
আসলে পীর শব্দটা আরবী ভাষার নয়। ফার্সি ভাষা হতে আগত বলে ইসলামিবিদরা মত দিয়েছেন ।
আপনি যদি মনে করেন পীর আপনাকে বেহেশত দিবে তাহলে তা হবে আপনার ভুল , কারন পীর নিজেও জানেনা তিনি বেহেশত পাবে কিনা। অনেক পীর সাহেব নাকি মুরীদদেরকে বলে থাকেন:আমার কাছে মুরীদ হও।তাহলে,আমি তোমাদেরকে আমার হাত ধরে বেহেশতে নিয়ে যাব। অনেকে আছে অগ্রিম ভবিষ্যৎও দিয়ে থাকেন । অনেকে আছে টাকার বিনিময়ে দোয়া দেন ।
আমার প্রশ্ন - যেইখানে পীরসাহেবকে নিজের ব্যাপারে গ্যারান্টি দেওয়ার ক্ষমতা মহান আল্লাহ দেননাই , সেইখানে তিনি এ ধরণের কথা বলার দুঃসাহস কোথায় পেলেন?এইধরনের কথার অনুমতি ইসলাম তাদের কতোটুকু দিয়েছে ?
কিয়ামতের মাঠে পীর সাহেব বলেছেন বলে গুনাহ করেছি এই কথা বলে কি আপনি পার পাবেন ?
কেয়ামতের মাঠে পীর সাহেব কি আপনাকে চেনার ক্ষমতা রাখে ? নাকি বেহেশতের চাবি পীর সাহেবের হাতে ?
আল্লাহ কুরআনে বলেন :
"তাঁর নিকট রয়েছে গায়েবের চাবিসমূহ, এবং এক তিনি ছাড়া এ সম্পর্কে কারও জ্ঞান নেই।”
(সূরা আল আনআম, ৬ : ৫৯)
"আজকে (কিয়ামতের দিন) তোমাদের কেউ কাউকে উপকার কিংবা ক্ষতি করতে পারবে না। আর আমি অপরাধীদেরকে বলব-জাহান্নামের আগুনের স্বাদ গ্রহণ কর দুনিয়ায় যাকে তোমরা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছ। (সুরা সাবা: ৪২)
"সেটি এমন দিন যেদিন কোন নিকটতম প্রিয়জনও কোন নিকটতম প্রিয়জনের কাজে আসবে না। আর তাদেরকে সাহায্যও করা হবে না। (সুরা দুখান:৪১)
আমাদের দেশ বিদা'তে ভরপুর । আমাদের এই অবস্থা থেকে মুক্ত হতে হবে সঠিক ইসলাম জানার মাধ্যমে , যা এখন বাংলাদেশের মুসলিমদের জন্য অতীব প্রয়োজন । বাংলাদেশে এখন অনেক ভণ্ড এবং বিদা'তি পীর রয়েছে যারা আমাদের সঠিক ইসলাম থেকে শধুমাত্র দুরেই রাখতেছেনা বরং আমাদের দেশের সহজ-সরল মানুসগুলোকে মাজারে-পীরের আসরে অনৈতিক কাজে প্রলুব্ধ করে বিদ'তি কর্মে লিপ্ত রেখে তা সমাজে ভাইরাস আকারে ছড়াচ্ছে ।কুরআন হাদিসের কোথাও রাসুল (সাঃ)ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তির নির্দেশ সর্বাবস্থায় বিনাপ্রশ্নে মেনে নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়নি।তাকে অনুসরণ কিংবা তার নির্দেশ বাস্তবায়ন করা যাবে শুধুমাত্র সে সকল ক্ষেত্রে যখন তা কুরআন ও হাদিসের অনুকুলে হয়।আলেমগন-মুহাদ্দিস-ইমামগনকে শ্রদ্ধার সহিত মূল্যায়ন করতে হবে , সম্মান জানাতে হবে যদি তারা আপনাকে সহীহ কুরান ও হাদীস থেকে শিক্ষা দেই ।
আল্লাহ কুরআনে বলেন :
"যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করবে,আল্লাহ তায়ালা তাকে এমন জান্নাতে প্রবেশ করাবেন,যার নিম্নদেশে ঝর্ণাধারাসমূহ প্রবাহমান থাকবে।আর যে মুখ ফিরিয়ে নেবে আল্লাহ তাকে মর্মান্তিক আযাব দেবেন। (সুরা ফাতহ:১৭)
যেমন মনে করেন আপনি দীনের একটা মাসালা বুঝতেছেন না , যার দরুন আপনি জানেন না এইটা কোথায় পাবেন , তখন কোন আলেম থেকে তা জেনে নেওয়ার পর কুরান এবং হাদীস থেকে তার রেফেরেন্স মিলিয়ে নিলেন যখন দেখলেন তা সহীহ তখন তা আমল করলেন । ইনশাআল্লাহ , এইভাবেই আপনি পেয়ে যাবেন কে সত্তিকার অর্থে "আলেম" এবং কে "ভণ্ড" ।অথচ আমরা তা না করে ভণ্ড পীর-মাজার পুজারীদের কথা শুনে নিজেকে বিদা'তি কর্মে লিপ্ত রেখে একেই তো নিজে আল্লাহ'র হুকুম ঠিকভাবে পালন করতেছিনা ,উল্টো ইসলামকে বিকৃত করার মাধ্যমে ধ্বংস করতেছি । আমাদের ভুলে গেলে হবেনা যে , প্রত্যেককে তার নিজ নিজ কর্মের ব্যাপারে জবাবদিহি নিজ থেকেই দিতে হবে ।
আল্লাহ তায়ালা বলেছেন:
”তোমরা যদি না জেনে থাক তাহলে জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞাসা কর।”(সুরা নাহল:৪৩)
"সেদিন এমন একটি দিন যখন কারও জন্য কোন কিছু করার সাধ্য থাকবে না। ফায়সালার ভার সেদিন একমাত্র আল্লাহ তায়ালার হাতেই থাকবে। (সুরা ইনফিতার:১৯)
আমরা আমাদের বিবেগকে একটু খাটিয়ে ভাবলেই দেখি যে, রাসুল(সঃ) কে আল্লাহ দুনিয়ায় সরবচ্ছ কমতা দিয়েছেন , রাসুল(সঃ) এর জীবন কর্ম এর সাথে এই সমস্ত ভণ্ড পীরগুলোর চলা চরিত্র কেমন মিল ?
কখনও ভেবে দেখেছেন কি রাসুল(সঃ) পরিচালিত জীবন এবং এই সকল ভণ্ডপীরদের পরিচালিত জীবনের মধ্যে কতোটুকু তফাৎ ?
এদের বিলাসিতা জীবন পরিচালন কি আপানার মনে কোন প্রশ্ন জন্ম দেইনা ?
এরা কতোটুকু সহিহভাবে কুরআন-সুন্নাহ অনুসরণ করছে ? আপনি কখনও কুরআন-হাদীস খুলে তা মিলিয়ে দেখেছেন কি ?
এইসকল পীর কি আপনাকে জান্নাত দিতে পারে,নাকি রাসুল(সঃ)এর সহিহ সুন্নাত এবং পরিপূর্ণ জীবন বিধান 'আল-কুরাআন" আপনাকে জান্নাত দিবে ?
মাজারে সিজদা দেওয়া , গানের আসর জমিয়ে গাঁজাখানার আড্ডা এগুলো কি রাসুল(সঃ) এর সুন্নাহ'র মধ্যে পড়ে ?
নিজেকে প্রশ্ন করুন আপনি কি সঠিক পথে আছেন কিনা ?
আপনার লক্ষ্য জান্নাত কিনা / এই পথ অবলম্বন করে আপনি জান্নাত পাবেন কিনা ?
আল্লাহ তা'আলা পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেন ;
“হে পয়গম্বর! আপনি মুশকদেরকে জিজ্ঞেস করুন যে, বল তো কে তোমাদেরকে আসমান জমিন থেকে রুযী দেন? এবং কে তোমাদের কান ও চোখের মালিক? তাছাড়া কে জীবিতকে মৃতের ভেতর থেকে বের করেন এবং কে মৃতকে জীবিতের মধ্য থেকে বের করেন? কে করেন কর্মসম্পাদনের ব্যবস্থাপনা? তারা পরিস্কার বলবে যে, মহান আল্লাহ।(সূরা ইউনুস-৩১)
মনে রাখবেন :
আল্লাহ'র পক্ষ থেকে আপনাকে দেওয়া জ্ঞান সম্পন্ন উন্নত মস্তিস্কই হচ্ছে আপনার " পীর " , যা দিয়ে আপনি মহাগ্রন্থ আল-কুরান ও সহীহ হাদীস নির্ভুলভাবে অন্বেষণ করবেন । পীর/মাজারে মৃত বেইক্তি আপনাকে বেহেশত দিতে পারবেনা। আপনার কর্মই আপনাকে জান্নাত দিবে যদি তা সহীহ হয় এবং আল্লাহ'র সন্তুষ্টিতে হয় ।তাই বলি , সহীহভাবে ইসলাম অন্বেষণ করুন এবং আল্লাহ'র ভয়ে কাতর হয়ে সঠিকভাবে তা পালন করুন । ইনশাআল্লাহ জান্নাত-ই হবে আমাদের আসল ঠিকানা ।নিশ্চয়ই আল্লাহ মহান এবং দয়ালু ।
আল্লাহ তায়ালা বলেছেন:
"যারা আল্লাহ ও তার রাসূলের হুকুম মেনে চলে,আল্লাহকে ভয় করে এবং তাঁর নাফরমানী করা থেকে দূরে থাকে,ওরাই সফলকাম। (সুরা নুর: ৫২)
@কবর-মাজার পুজা প্রসঙ্গ@
>>আল্লাহ ছাড়া কাউকে সেজদা করা সুষ্পষ্ট হারাম। কুরআনের অসংখ্য আয়াত ও হাদিসে নববী দ্বারা যা দিবালোকের ন্যয় পরিস্কার। একথা মনে হয় অন্ধ পীর ও মাজারপূজারী ছাড়া সকল মুসলমানরাই জানে।
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন,
"সাবধান ! তোমাদের পূর্বের যুগের লোকেরা তাদের নবী ও নেককার লোকদের কবর সমূহ মসজিদ (সিজদার স্থান) হিসেবে গন্য করতো। তবে তোমরা কিন্তু কবর সমূহকে সিজদার স্থান বানাবে না। আমি এরূপ করতে তোমাদের নিষেধ করে যাচ্ছি" ।
<p>[মুসলিম, ১০৭৭]</p>
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আরও বলেন,
"তোমরা স্বীয় ঘরকে কবর বানিয়োনা। (অর্থাৎ কবরের ন্যায় ইবাদত-নামায, তেলাওয়াত ও যিকির ইত্যাদি বিহীন করনা।) এবং আমার কবরে উৎসব করোনা।(অর্থাৎ বার্ষিক, মাসিক বা সাপ্তাহিক কোন আসরের আয়োজন করনা। তবে হ্যাঁ আমার উপর দুরূদ পাঠ কর। নিশ্চয় তোমরা যেখানেই থাক না কেন তোমাদের দুরূদ আমার নিকট পৌঁছে থাকে।(আল্লাহ তায়ালার ফেরেশতারা পৌঁছিয়ে দেন।)”
(সুনানে আবু দাউদ: হাদিস নং-২০৪৪/৪০)
@কবরের সামনে বাতি প্রজ্জ্বলন করাকে হারাম সাব্যস্ত করে রাসূলে কারীম সাঃ ইরশাদ করেন-
“হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত যে, আল্লাহর নবী সাঃ অভিশম্পাত করেছেন (বেপর্দা) কবর যিয়ারতকারীনী মহিলাদের উপর, এবং সেসব লোকদের উপর যারা কবরকে মসজিদ বানায় (কবরকে সেজদা করে) এবং সেখানে বাতি প্রজ্জ্বলিত করে।
(জামি তিরমীযী-২/১৩৬)
@আল্লাহ ছাড়া কারো নামে মান্নত বা কুরবানী করা যায়না। কারণ মান্নত ও কুরবানী হচ্ছে ইবাদত। আর ইবাদত আল্লাহ ছাড়া কারা জন্য করা জায়েজ নয়। অথচ আমরা পীরের নামে ,মৃত বেইক্তির নামে মান্নত করি :( ।
মহান রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন-
“আপনি বলুনঃ আমার নামায, আমার কুরবানী এবং আমার জীবন ও আমার মরণ বিশ্ব প্রতিপালক আল্লাহর জন্যই। তাঁর কোন অংশিদার নেই। আমি তা-ই করতে আদিষ্ট হয়েছি এবং আমিই প্রথম আনুগত্যশীল।
(সূরা আনআম-১৬২-১৬৩)
"আর তার (মুশরেকরা) আল্লাহ ভিন্ন এমন কতিপয়ের ইবাদত করে, যারা তাদের কোন অপকারও করতে পারেনা এবং তাদের কোন উপকারও করতে পারেনা, ও তারা বলে-এরা হল আল্লাহ তায়ালার কাছে আমাদের সুপারিশকারী। (হে রাসূল!) আপনি বলে দিন, তোমরা কি আল্লাহ তায়ালাকে এমন বিষয়ের সংবাদ দিচ্ছ যা আছে বলে তিনি (নিজেও) জানেন না, না আসমানে না জমিনে! তিনি তাদের শিরকী কার্যকলাপ হতে পবিত্র ও অনেক ঊর্দ্ধে "
(সূরা ইউনুস-১৮)
উল্লেখিত কুরআন ও হাদিসের বিবরণ মোতাবিক কবর ও মূর্তিপূজার সাযুজ্যতার মাধ্যমে আমরা সহজেই অনুমান করে নিতে পারি আমাদের দেশের ভন্ড মাজারপূজারী ও কবরপূজারীরা কি পরিমাণ শিরকী কর্মকান্ডে লিপ্ত।আল্লাহ আমাদের সঠিক জ্ঞান অন্বেষণ করে সঠিক পথে চলে আল্লাহ-রাসুল(সঃ) মোহাব্বত অর্জন করার তাওফিক দান করুন ।
নিম্মে সংগৃহীত কিছু প্রশ্ন উত্তরের মাধ্যমে এর সমাধান করার চেষ্টা করেছি এবং প্রত্যেক উত্তরের জন্য কুরআন এবং সুন্নাহ থেকে দলীল দেয়ার চেষ্টা করেছি।
প্রশ্ন ১: আল্লাহ তায়ালা আমাদের কেন সৃষ্টি করেছেন?
উত্তরঃ যেন আমরা এক মাত্র আল্লাহর ইবাদত করি এবং তাঁর সাথে কোন শিরক না করি।
কুরআনের দলীলঃ “আমার এবাদত করার জন্যই আমি মানব ও জিন জাতি সৃষ্টি করেছি।” (সুরা যারিয়াতঃ ৫৬)
হাদীসের দলীলঃ “বান্দার উপর আল্লাহর হক হচ্ছে তাঁর ইবাদত করা এবং তাঁর সাথে কোন শিরক না করা।”
(বুখারী ও মুসলিমের মিলিত হাদীস)
প্রশ্ন ২: যদি আমরা আল্লার সাথে শিরক করি তাহলে কি আল্লাহ ক্ষমা করবেন?
উত্তরঃ না, আল্লাহ মুশরিক (শিরককারী)কে কখনই ক্ষমা করবেন না।
কুরআনের দলীলঃ “নিশ্চয় যে ব্যক্তি আল্লাহ্র সাথে অংশীদার স্থির করে, আল্লাহ্ তার জন্যে জান্নাত হারাম করে দেন। এবং তার বাসস্থান হয় জাহান্নাম” (সুরা মায়িদাঃ৭২)
হাদীসের দলীলঃ “যে ব্যক্তি ঐ অবস্থায় মারা যায় যে, সে আল্লাহর সাথে শিরক করত, তবে তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। (মুসলিম)
প্রশ্ন ৩: শিরকের সাথে কোন আমল করলে কি কোন লাভ হবে?
উত্তরঃ না, কোন লাভই হবে না বরং অপূরণীয় ক্ষতি হবে।
কুরআনের দলীলঃ “যদি তারা শেরেকী করত, তবে তাদের কাজ কর্ম তাদের জন্যে ব্যর্থ হয়ে যেত।” (সুরা আন্ আমঃ ৮৮)
হাদীসের দলীলঃ “যে ব্যক্তি এমন কোন আমল করবে যাতে আমার সাথে অন্যকে শরিক করে, তখন তাকে এবং তার শিরকী আমল আমি পরিত্যাগ করি।” (মুসলিম, হাদীসে কুদছি)
প্রশ্ন ৪: আমরা কিভাবে আল্লাহর ইবাদত করব?
উত্তরঃ যেভাবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাঃ) হুকুম করেছেন, সেভাবে।
কুরআনের দলীলঃ “তাদেরকে এছাড়া কোন নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর এবাদত করবে, নামায কায়েম করবে এবং যাকাত দেবে। এটাই সঠিক ধর্ম।” (সুরা বাইয়েনাহঃ ৫)
হাদীসের দলীলঃ “যে ব্যক্তি এমন কোন আমল করে যা আমাদের (অনুমোদিত) শরিয়াত সম্মত নয়, তা বাতিল বলে গণ্য হবে।” (মুসলিম)
প্রশ্ন ৫: আল্লাহ তায়ালা কেন রাসূলদের প্রেরণ করেছেন?
উত্তরঃ একমাত্র তাঁরই ইবাদত করতে এবং তাঁর সাথে শরিক করা হতে নিষেধ করতে।
কুরআনের দলীলঃ “ আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই রাসূল প্রেরণ করেছি এই মর্মে যে, তোমরা আল্লাহর এবাদত কর এবং তাগুত থেকে নিরাপদ থাক।” (সুরা নাহলঃ৩৬)
হাদীসের দলীলঃ “প্রত্যেক নবী একে অন্যের ভাই আর তাঁদের দ্বীনও এক, অর্থাৎ প্রত্যেক রাসূলই তাওহীদের দাওয়াত দিয়েছেন।” (বুখারী ও মুসলিম)
প্রশ্ন ৬: আল্লাহ তায়ালার ইবাদতে একত্ববাদ (তাওহীদ) কি?
উত্তরঃ প্রতিটি ইবাদত একমাত্র তাঁরই জন্য করা যেমন, দু’আ করা, মানত করা, হুকুম মানা, আইন মানা।
কুরআনের দলীলঃ “আর জেনে রেখো তিনি ব্যতীত আর কোন মা’বুদ নাই। অর্থাৎ আল্লাহ ব্যতীত কোন মা’বুদ নাই।” (সুরা মুহাম্মাদঃ ১৯)
হাদীসের দলীলঃ “সর্ব প্রথম তুমি তাদের লা-ইলাহার সাক্ষ্য দিতে বলবা অর্থাৎ একমাত্র তাঁর একত্ববাদের (তাওহীদের) দাওদাত দিবে।” (বুখারী ও মুসলিমের মিলিত হাদীস)
প্রশ্ন ৭: বড় শিরক কি?
উত্তরঃ তা হচ্ছে ইবাদতের কোন অংশ আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্য নির্দিষ্ট করা। যেমন, পীব-ফকিরের কিছু চাওয়া, পীরের নামে মানত করা, সওয়াবের আশায় পীরের বাড়ীতে গমন করা, আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো আইন গ্রহন করা ইত্যাদি।
কুরআনের দলীলঃ “(হে নবী) বলুনঃ আমি তো আমার রবের ইবাদত করি আর তাঁর সাথে কোন শিরক করি না।” (সুরা জ্বীনঃ ২০)
হাদীসের দলীলঃ “সবচেয়ে বড় পাপ হচ্ছে আল্লাহর সাথে শিরক করা।” (বুখারী)
প্রশ্ন ৮: শিরক কি বর্তমানে বিদ্যমান আছে?
উত্তরঃ হ্যাঁ, খুবই বেশী পরিমাণে বিদ্যমান আছে।
কুরআনের দলীলঃ “অনেক মানুষ আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে এবং সাথে সাথে শিরকও করে।” (সুরা ইউসুফঃ ১০৬)
হাদীসের দলীলঃ “ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত ঘটবে না যতক্ষণ পর্যন্ত আমার উম্মতের একদল মুশরিক না হয়ে যায় এবং তারা মূর্তি, গাছ, পাথরের পূজা না করে।” (সহীহ্, তিরমিযি)
প্রশ্ন ৯: আল্লাহ ছাড়া কোন পীর-আওলিয়ার নিকট দু’আর হুকুম কি?
উত্তরঃ তাদের নিকট দু’আ করা শিরক এর অন্তর্ভূক্ত।
কুরআনের দলীলঃ “আর আল্লাহর সাথে অন্য কোন মা’বুদের নিকট দু’আ করো না, তাহলে আযাবে নিপতিত হবে।” (সুরা আশ্ শুআরাঃ ২১৩)
হাদীসের দলীলঃ “যে এ অবস্থায় মারা যায় যে, সে আল্লাহর সাথে অন্য কোন মা’বুদের নিকট দু’আ করত, তাহলে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।” (বুখারী)
প্রশ্ন ১০: দু’আ কি ইবাদতের শামীল?
উত্তরঃ অবশ্যই ইবাদতের শামীল।
কুরআনের দলীলঃ “আর তোমাদের রব বলেন আমার নিকট দু’আ করো; অবশ্যই আমি কবুল করব।” (সুরা গাফিরঃ ৬০)
হাদীসের দলীলঃ “দু’আ হচ্ছে ইবাদত।” (সহীহ্ তিরমিযি)
প্রশ্ন ১১: মৃত ব্যক্তিরা, মৃত পীর-আওলীয়ারা কি তাদের নিকট কৃত দু’আ শুনতে পায়?
উত্তরঃ মৃতরা কখনই শুনতে পায় না।
কুরআনের দলীলঃ “নিশ্চয়ই তুমি মৃতদের শ্রবণ করাতে পারবে না।” (সুরা নামলঃ৮০)
হাদীসের দলীলঃ “আল্লাহ তায়ালার কিছু সংখ্যক মালাইকা (ফিরিশতা) আছেন যারা দুনিয়াতে ঘুরে বেড়ায় আমার উম্মতের তরফ হতে তারা আমাকে সালাম পৌছায়।” (সহীহ্, আহমদ)
প্রশ্ন ১২: আমরা কি বিপদে মৃত ব্যক্তিদের অথবা পীর-আওলীয়াদের বা অনুপস্থিত ব্যক্তিদের নিকট সাহায্য চাইব?
উত্তরঃ না, অবশ্যই তাদের নিকট সাহায্য চাইব না, বরং একমাত্র আল্লাহর নিকট সাহায্য চাইব।
কুরআনের দলীলঃ “যখন তোমরা তোমাদের রবের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করছিলে, তখন তিনি তোমাদের সাহায্য করেন।” (সুরা আনফালঃ ৯)
হাদীসের দলীলঃ “হে চিরঞ্জিব, হে চিরস্থায়ী, তোমার রহমতের অছিলায় সাহায্য প্রার্থনা করি।” (তিরমিযি)
প্রশ্ন ১৩: পীর-আওলীয়াদের নিকট সাহায্য চাওয়া কি জায়িয?
উত্তরঃ না, জায়িয নয়।
কুরআনের দলীলঃ “নিশ্চয়ই আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি ও তোমারই নিকট সাহায্য চাই।” (সুরা ফাতিহাঃ ৫)
হাদীসের দলীলঃ “যদি কোন কিছু চাও, তবে আল্লাহর নিকট চাও। যদি সাহায্য চাও তবে একমাত্র তার নিকটই চাও।” (তিরমিযি)
প্রশ্ন ১৪: পীরের নামে মানত করা কি জায়িয?
উত্তরঃ সম্পূর্ণ নাজায়িয।
কুরআনের দলীলঃ “হে আমার রব আমার পেটে যে বাচ্চা আছে তা তোমার নামে উৎসর্গ করছি।” (সুরা আল ইমরানঃ ৩৫)
হাদীসের দলীলঃ “যে ব্যক্তি আল্লাহর আনুগত্যের জন্য মানত করে সে যেন তা পূর্ণ করে, আর যে তার বিরুদ্ধে পাপাচরণে মানত করে সে যেন তা হতে বিরত থাকে।” (বুখারী)
প্রশ্ন ১৫: পীরের নামে যবেহ্ করা কি জায়িয?
উত্তরঃ এটা শিরক। আল্লাহ ছাড়া কারো নামে যবেহ করা জায়িয নয়।
কুরআনের দলীলঃ “আর তোমার রবের সালাত আদায় কর আর যবেহ (কুরবানী) কর।” (সুরা কাওছারঃ ২)
হাদীসের দলীলঃ “যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে যবেহ্ করে তার উপর আল্লাহর লা’নত (অভিশাপ)।” (মুসলিম)
প্রশ্ন ১৬: কোন ভবিষ্যৎ বর্ণনাকারী পীরের কথা কি বিশ্বাস করা যায়?
উত্তরঃ না, কোন পীরের ভবিষ্যৎবাণী বিশ্বাস করা শিরক।
কুরআনের দলীলঃ “(হে নবী) বলুনঃ আসমান ও জমীনের গায়িবের খবর আল্লাহ ছাড়া কেউ জানের না।” (সুরা নামলঃ ৬৫)
হাদীসের দলীলঃ “যে ব্যক্তি কোন গণক বা ভবিষ্যৎ বর্ণনাকারী ব্যক্তির নিকট গমন করে এবং সে যা বলে তা বিশ্বাস করে, তবে সে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তাকে যেন অস্বীকার করল।” (সহীহ্, আহমদ)
প্রশ্ন ১৭ঃ সুস্থতা লাভের জন্য তাবিজ বা এই জাতীয় জিনিস ব্যবহার করা কি জায়িয?
উত্তরঃ এগুলোর অনেক কিছুই শিরকের অন্তর্ভূক্ত।
কুরআনের দলীলঃ “আর যদি তোমাকে কোন খারাবী স্পর্শ করে, তবে তা দূর করার ক্ষমতা তিনি ছাড়া অন্য কারো নেই।” (সুরা আন’আমঃ ১৭)
হাদীসের দলীলঃ “যে ব্যক্তি কোন তাবিজ ব্যবহার করল সে যেন শিরক করল।” (সহীহ্, আহমদ)
প্রশ্ন ১৮: কোন পীর আউলিয়ার অছিলা করে দু’আ করার কি প্রয়োজনীয়তা আছে?
উত্তরঃ না, কোন পীর বা আউলিয়ার অছিলা করে দু’আ করার প্রয়োজন নেই।
কুরআনের দলীলঃ “আর যদি বান্দা আপনাকে আমার সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করে, তবে বলুন, আমি অতি নিকটে, দু’আকারীর দু’আর জবাব দেই যখন সে আমাকে ডাকে।” (সুরা বাকারাহঃ ১৮৬)
হাদীসের দলীলঃ “নিশ্চয় তোমরা এমন জাতকে ডাকছো, যিনি সর্বশ্রোতা ও অত্যন্ত নিকটে এবং তিনি তোমাদের সাথে আছেন। অর্থাৎ ইলমের দ্বারা তিনি তোমাদের দেখেন ও কথা শ্রবণ করেন।” (মুসলিম)
প্রশ্ন ১৯: আল্লাহ তায়ালা কুরআন মাজীদকে কেন অবতীর্ণ করেছেন?
উত্তরঃ এটি এজন্য অবতীর্ণ করা হয়েছে, যেন তার উপর আমল করা হয়।
কুরআনের দলীলঃ “তোমাদের রবের তরফ হতে যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তাকে অনুসরণ কর।” (সুরা আ’রাফঃ ৩)
হাদীসের দলীলঃ “কুরআন তিলাওয়াত করতে থাক, আর তার উপর আমল করতে থাক, তার দ্বারা অর্থ উপার্জন করো না, বেশি বেশি আয়ের লোভও করো না।” (আহ্মদ, সহীহ্)
প্রশ্ন ২০: আমরা কি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের কথার উপর কোন পীর, ইমাম, আউলিয়া বা মণিষীদের কথাকে অথবা তাদের রচিত বই পুস্তককে প্রাধান্য দিব?
উত্তরঃ না, অবশ্যই আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের কথার উপর এক বিন্দু পরিমাণ কাউকে প্রাধান্য দেয়া জায়িয নয়, বরং আল্লাহর হুকুমের সম্পূর্ণ পরিপন্থি।
কুরআনের দলীলঃ “হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর কাউকে প্রাধান্য দিবে না।” (সুরা হুজরাতঃ ১)
হাদীসের দলীলঃ “আল্লাহর বিরুদ্ধাচারণের কারো কোন আনুগত্য চলবেনা। একমাত্র ভাল কাজেই আনুগত্য চলবে।” (বুখারী ও মুসলিম)
প্রশ্ন ২১: যদি আমাদের মধ্যে মতবিরোধ হয় তখন কি করব?
উত্তরঃ তখন আল্লাহর কিতাব (কুরআন) ও সহীহ্ সুন্নাহর প্রতি প্রত্যাবর্তন করব।
কুরআনের দলীলঃ “যদি তোমাদের কোন ব্যাপারে মতবিরোধ হয় তখন আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের দিকে প্রত্যাবর্তন কর।” (সুরা নিসাঃ ৫৯)
হাদীসের দলীলঃ “তোমাদের মধ্যে আমি দুটো জিনিস রেখে যাচ্ছি, যদি তা আঁকড়ে ধর, তাহলে কখনো গোমরাহ্ হবেনা, তা হল আল্লাহর কিতাব ও তাঁর রাসূলের সুন্নাহ।” (মালিক, সহীহ)
প্রশ্ন ২২: দ্বীনের (ধর্মের) মধ্যে কি বিদআতে হাসানাহ আছে?
উত্তরঃ না, দ্বীনের (ধর্মের) মধ্যে বিদআতে হাসানাহ্ বলে কোন জিনিস নেই। কিছু আছে “মাসলাহাতিল উম্মাহ” যা তা দ্বীনের জন্য ও মানুষের জন্য সহায়ক কিন্তু দ্বীনের মধ্যে নয়।
কুরআনের দলীলঃ “আজ তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণতা দিলাম, আমার নিয়ামত তোমাদের উপর পূর্ণ করলাম, আর ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন (জীবন ব্যবস্থা) হিসেবে মনোনীত করে তার উপর রাজী হয়ে গেলাম।”(সুরা মায়িদাঃ ৩)
হাদীসের দলীলঃ “ওহে! সমস্ত ধরনের (নতুন আবিষ্কার) বিদআতের ব্যাপারে সাবধান, কারণ দ্বীনের প্রতিটি নতুন সংযোজনই বিদআত, আর প্রতিটি বিদআতই গোমরাহী (পথভ্রষ্টা)।” (সহীহ্, আবু দাউদ)
প্রশ্ন ২৩: দ্বীনের মধ্যে বিদআত কি?
উত্তরঃ ইসলামের নামে ঐ সমস্ত কাজ যাতে শরীয়াতের কোন সহীহ্ দলীলা নেই।
কুরআনের দলীলঃ “আর তাদের কি কোন শরীক আছে যারা তাদের জন্য ঐ নতুন দ্বীনের প্রবর্তন করেছে, যার ব্যাপারে আল্লাহর সম্মতি নেই।”(সুরা শুরাঃ ২১)
হাদীসের দলীলঃ “যারা আমাদের হুকুমের মধ্যে এমন কোন নতুন কথার প্রবর্তন করবে, যা আমাদের কথা নয়, তবে তা পরিত্যক্ত।” (বুখারী ও মুসলিম)।
প্রশ্ন ২৪: ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন আইন মানার অনুমতি আছে কি?
উত্তরঃ না, বরং অন্য আইনের উপর চলা, তাকে সঠিক মনে করা বা বিকল্প মনে করা শিরক।
কুরআনের দলীলঃ “আর যারা আল্লাহ কর্তৃক অবতীর্ণ বিধান দ্বারা বিচার করবে না তারা কাফির।” (সুরা মায়িদাঃ ৪৪)
হাদীসের দলীলঃ “যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের শাসকগণ আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী শাসন না করবে, আর আল্লাহ প্রদত্ত বিধানের কোন্টা গ্রহণ করবে, কোন্টা ছেড়ে দিবে, আল্লাহ তায়ালা তাদের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি করে দিবেন।” (ইবনে মাজাহ্)
বিজ্ঞ পাঠক পাঠিকার কাছে আমার আবেদন-আপনারা শান্ত মস্তিস্কে একটু ভেবে দেখুন, আমাদের দেশে মাজার পূজা আর কবর পূজার নামে মুসলমানদের কিভাবে মুশরিক বানানো হচ্ছে সুপরিকল্পিতভাবে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের কবর পূজা ও মাযার পূজা এবং পীর পূজা করে মুশরিক হওয়া থেকে হিফাযত করুন।
ভন্ড পীরদের কারণে সঠিক ও হকপন্থী আলেমগনকে খারাপ বলা মোটেও উচিত নয়, কারন উনারা আমাদের কাছে সরবচ্ছ শ্রদ্ধার পাত্র । তাই , অবশ্যয় উনাদের মূল্যায়নের সহিত সম্মান দিতে হবে।
আল্লাহ তায়ালা আমাকে , আপনাকে, সঠিক দ্বীন ইসলামের জ্ঞান অর্জন করে কুরআন সুন্নাহ্ মোতাবেক চলার জন্য ঈমান দান করুন , শয়তানের সবধরনের ছত্রছায়া থেকে রক্ষা করুন এবং আল্লাহ তায়ালা আমাদের হকপন্থী আলেম ও বাতিল ভন্ড পীর চিনার তৌফিক দিয়ে ঈমান আমল হিফাযত করার তাওফিক দান করুন,আমীন।
সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া আশহাদু আল্লাহ ইলাহা ইল্লা আনতা, আসতাগফিরুকা ওয়া আতুবু ইলাইক।
----------------------------------------------------------------------------------
'' শুধু নিজে শিক্ষিত হলে হবেনা, প্রথমে বিবেকটাকে শিক্ষিত করুন। ''
কোন মন্তব্য নেই:
/>