▬▬▬▬۩۞۩▬▬▬▬
হে মানব জাতি! পৃথিবীতে যে সমস্ত হালাল ও পাক জিনিস রয়েছে সেগুলো খাও এবং শয়তানের দেখানো পথে চলো না। সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। {আল বাকারাহঃ ১৬৮ }
হে ঈমানদারগণ! যদি তোমরা যথার্থই আল্লাহর ইবাদাতকারী হয়ে থাকো, তাহলে যে সমস্ত পাক-পবিত্র জিনিস আমি তোমাদের দিয়েছি সেগুলো নিশ্চিন্তে খাও এবং আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। {আল বাকারাহঃ ১৭২ }
শয়তান তো চায় মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও হিংসা-বিদ্বেষ সৃষ্টি করতে এবং আল্লাহর স্মরণ ও নামায থেকে তোমাদের বিরত রাখতে। তাহলে তোমরা কি এসব থেকে বিরত থাকবে? {আল মায়েদাহঃ ৯১}
এক লোক আমাকে বলে মদ খাওয়া নাকি আল্লাহ্ হারাম বলে নাই । উনি আমাকে মাশা আল্লাহ্ করে মুখস্ত করা "সূরা আল মায়েদার" এই আয়াতটি পড়ে শুনিয়ে দিলেন। হে ঈমানদারগণ! এ মদ, জুয়া, মূর্তি পূজার বেদী ও ভাগ্য নির্ণায়ক শরসমূহ এ সমস্তই হচ্ছে ঘৃণ্য শয়তানী কার্যকলাপ। এগুলো থেকে দূরে থাকো, আশা করা যায় তোমরা সফলতা লাভ করবে। {আল মায়েদাহঃ ৯০}
এবার প্রশ্ন করা যায় শয়তানের কাজ কি হালাল না হারাম ?আসলে আল্লাহ্ তায়ালা কুরআনে মানবজাতিকে হালাল বা হারাম বলতে শাস্তির ভয় দেখিয়ে নিষেধ করেছেন।
যেহেতু, আল্লাহ্ বলছেন শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু সেহেতু শয়তান কি আমাকে জান্নাতের রাস্তা দেখিয়ে দেবে ?
আসলে খামোখা বাহানা না ধরে আল্লাহ্ যে জিনিস আমাদের খেতে না করেছেন এটা কি হতে পারে? হারাম না হালাল?
না,হালাল বা হারামের সংজ্ঞাই আপনি জানেন না ? না ,ভান করছেন ?আল্লাহ্ আমাদেরকে হেদায়াত দান করুন ।
এবার রসুল(সাঃ) এর কিছু হাদিস দেখে যাক...
* হযরত আবু হুরায়রা বর্ণিত অন্য এক হাদীসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন,
“যে ব্যক্তি ব্যভিচার করে অথবা মদ পান করে, আল্লাহ তার কাছ থেকে ঈমান ঠিক এমনভাবে কেড়ে নেন, যেমন কোন মানুষ তার মাথার উপর দিয়ে জামা খুলে থাকে”।
* হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু থেকে বর্ণিত হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন;
“কোন ব্যভিচার ব্যভিচারের সময়ে মুমিন অবস্থায় ব্যভিচার করে না। কোন চোর চুরির সময় মুমিন অবস্থায় চুরি করে না। কোন মদখোর মদ খাওয়ার সময় মুমিন অবস্থায় মদ পান করে না, কোন লুন্ঠনকারী লুন্ঠন করার সময় মুমিন অবস্থায় লুন্ঠন করে না”। [বুখারি,মুসলিম ও আবু দাউদ]
* রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন,
“যে ব্যক্তি মদ খাওয়া অবস্থায় মারা যায় আল্লাহ তাকে গাওতা নামক ঝর্ণার পানি পান করাবেন। গাওতা হল ব্যভিচারীণী নারীদের যোনিদেশ থেকে নির্গত পুঁজ ও দূষিত তরল পদার্থের ঝর্ণা যা জাহান্নামে প্রবাহিত থাকবে। এরপর তা মদপান করা অবস্থায় মারা যাওয়া লোকদের পান করানো হবে। [আহমদ]
এবার আপনার বিবেচনায় রাখলাম মদ হারাম না হালাল ?
পোস্টটি কাউকে হেয় করার জন্যে নয়। নিজের ব্যক্তিগতভাবে জানার ইচ্ছে হল তাই কুরআন হাদিসের আলোকে জানতে চেষ্টা করলাম।সর্বশেষ বলি আল্লাহ্ যেন আমাকে এই ব্যভিচার থাকে রক্ষা করে। আমীন।।।
----------------------------------------------------------------------------------
'' শুধু নিজে শিক্ষিত হলে হবেনা, প্রথমে বিবেকটাকে শিক্ষিত করুন। ''
'' শুধু নিজে শিক্ষিত হলে হবেনা, প্রথমে বিবেকটাকে শিক্ষিত করুন। ''
ভালো লিখেছেন ...
উত্তরমুছুন