দুঃখ কে পিছনে পেলে সুখের সন্ধানে ....................
সুখ ! সুখ ! বললে সুখ আসেনা ,দুঃখ ছাড়া যেমন মানুষ পাওয়া যায়না ঠিক তেমন দুঃখ ছাড়া প্রকৃত সুখও উপলব্ধি করা যায়না । প্রকৃত সুখ সেই খুজে নিতে পারে যে অপরের দুঃখ এবং নিজের দুঃখকে সুখে পরিণত করতে পারে । আর সবকিছু নির্ভর করে নিজের উৎকৃষ্ট বিবেগের উপর ! যারা আপরের সুখ দেখে ঈর্ষান্বিত হয় , তারা কখনও প্রকৃত সুখের ছোয়া পাইনা । যারা অপরকে ভালবাসতে জানেনা , অপরের দুঃখ বুঝতে চেষ্টা করেনা তাদের দুঃখও কেউ বোঝার চেষ্টা করেনা । চলার পথে দেখা যায় অনেকে আমাদের ভুল বোঝে , তার একমাত্র কারন আমরা অপরকে না বুঝে নিজেকে সবসময় অপরের থেকে বড় করে দেখি !! যদি না আমরা চলিত জীবনে নিজেকে আরও সংযত না রাখি তাহলে সুখ নামক সোনার হরিন আমাদের জীবনে আলাউদ্দিনের চেরাগের রুপ ধারন করবে ।
চলমান বাস্তব জীবনের আবহমান কিছু নথিকথা , যা আমাদের সুন্দর চলার পথের প্রধান অন্তরায় !! অহংকার-প্রতিহিংসা থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ দূরে নিজেকে রাখা (অতি গুরুত্বপূর্ণ).
চলমান বাস্তব জীবনের আবহমান কিছু নথিকথা , যা আমাদের সুন্দর চলার পথের প্রধান অন্তরায় !! অহংকার-প্রতিহিংসা থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ দূরে নিজেকে রাখা (অতি গুরুত্বপূর্ণ).
পরনিন্দা-গীবত থেকে নিজেকে দূরে রেখে অপরের বিপদে সহযোগিতা করা । মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করা । পরিস্কার অন্তর ব্যতিত লোক দেখান কাজ থেকে নিজেকে দূরে রাখা (চোখ বন্ধ করে একটু ভাবলেই বোঝা যায় যে , এই সুখ চিরস্তায়ী থাকেনা ,কারন এই অন্তরের কোন উপকারিতা নাই ) . অপরের দোষ দেখার আগে দোষটা নিজের মধ্যে উপলব্ধি করা । চোগলকরি চিন্তা থেকে সম্পূর্ণ দূরে থাকা. রাগ কে সংযত করা ( অতি গুরুত্বপূর্ণ) . মানবজীবনে বিয়ে হল আলাদা দুটি জীবনের নতুন পথ চলার শুরু। এই পথ মসৃণ করার জন্য দুজনকেই এগিয়ে আসতে হবে। দুই পরিবারেরর ভিন্ন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে বেড়ে ওঠা দুজন মানুষের মধ্যে যত গভীর ভালোবাসা এবং পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ তৈরি হবে সে দম্পতি ততো সুখী হবে। আমরা সুখের সন্ধান করে ফিরি, সুখী হওয়ার জন্য আমাদেরই উদ্যোগী হতে হবে।
তবেই পেতে পারি সুখের সন্ধান। বিয়ের মাধ্যমে নতুন সম্পর্কের তৈরি হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পারির্পাশ্বিক পরিবেশ থাকে অচেনা। অনেক অপরিচিত অভ্যাস আয়ত্বে আনতে হয়। আর বৌ টিকে তো মানিয়ে নিতে হয় সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিবেশের সঙ্গে। একে তো নতুন জায়গা, তারপর তার প্রতি সবার প্রত্যাশা মেটাতে অনেক সময় হিমশিম খেতে হয়। এখানে স্বামী যদি তার স্ত্রীর প্রতি আন্তরিক ও সহানুভূতিশীল হয় তাহলে স্ত্রীর জন্য সবার সঙ্গে মানিয়ে নিতে সুবিধা হবে। একই সাথে দুজনের মধ্যে চমৎকারভাবে সম্পর্কের শুরু হবে। নতুন সম্পর্ক সুখময় করতে প্রথমে একে অপরকে ভালোভাবে জানতে হবে। > এই সম্পর্ক শুরুর মাধ্যমে জীবনে কিছু পরিবর্তন আসবে, এগুলো ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেখতে হবে. অনেক সময় দুই পরিবারের খাবার দুই ধরনের হয়। এক্ষেত্রে বৌয়ের সমস্যা হতে পারে। স্বামীকে বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে।
আমাদের সবার সব আচরন, ভালো লাগবে এমন কথা নেই। তবে কোনো বিষয় অপছন্দ হলেও ঠাণ্ডা মাথায় আলোচনা করা উচিৎ । নিজেদের বিষয়ে অন্যকে নাক গলাতে দেবেন না। এতে সমস্যা না কমে বরং বেড়ে যাবে । যেটুকু সময় দুইজন থাকবেন অহেতুক বিষয় টেনে এনে অশান্তি তৈরি করবেন না। স্বামী বা স্ত্রীর অতীত স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত টানাহেচরা করা একদমই ঠিক কাজ নয়. একজন অন্যের পছন্দ সম্পর্কে জানুন। প্রিয়জনকে মাঝে মাঝে তার পছন্দের জিনিস উপহার দিন। প্রতিদিন ঘরের রান্না না খেয়ে দুজন মিলে বেড়িয়ে পড়ুন । কিছুক্ষণ ঘুরে পছন্দের দোকানে খেয়ে নিন । স্ত্রী যদি আপনার পছন্দের কোনো খাবার রান্না করে , সেই রান্না যেমনই হোক প্রশংসা করুন।
স্ত্রীর সবধরনের প্রয়োজনীয়তা স্বামীকে নিজের বিবেগ দিয়ে উপলব্ধি করতে হবে । স্ত্রীর আপনজনদের বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে এতে একটি ভাল সম্পর্কের উন্নতি দৌড় গতিতে হয় । স্বামীর বিপদে স্ত্রীই হতে পারে বিপদের সবচাইতে বড় পরম বন্ধু । স্ত্রীর উৎসাহ-ভালবাসা হতে পারে স্বামীর সাফল্লের অগ্রিম ৫০ ভাগ সফলতা । বিবাহের মনে রাখতে হবে স্বামীর ক্যারিয়ারের মাত্র শুরু, তাকে সাহস এবং সময় দিলে সেও সুপ্রতিষ্ঠিত হবে । স্বামীর ঘরের প্রতিটা সদস্যকে নিজের ঘরের সদস্যদের মত ভাবতে হবে ,শ্বশুর- শাশুড়িকে নিজের বাবা-মায়ের মতো শ্রদ্ধা করতে হবে ।
সংসার সুখের হওয়ার জন্য স্ত্রীর অগ্র ভুমিকা বেশি থাকে , আর এতে স্ত্রীকে সবদিক দিয়ে স্বামীকে মানসিকভাবে সহযোগিতা করতে হয় । সবশেষে যদি বলি ; সুখের খোঁজ নেওয়ার জন্য রাজপ্রাসাদে যেতে হয়না , একটা ছোট খুঁড়ে ঘরেও সুখ পাওয়া যায় যদি সুখের প্রয়োজন অনুভব করা হয় । মনে রাখা উচিত, আপোস এবং ক্ষমা এই দুটি বিষয় যদি আমরা সংসার জীবনে চর্চা করতে পারি তবে, নতুন ছোট সংসারটিকে সুখের স্বর্গে পরিণত করতে পারবো। ইসলামের সুশীতল ছায়ায় থাকলে সুখ কখনও উড়াল দেয় না। বর্তমানে আমাদের বাস্তব জীবনে একমাত্র ইসলামী সুশাসন- ই দিতে পারে দুঃখের আড়ালে প্রকৃত সুখের সন্ধান , কারন ইসলাম হচ্ছে একটি সম্পুন্ন পরিচালিত জীবন ব্যবস্থা , কুরআন এবং সুন্নাহ হচ্ছে যার ধারক ও বাহক !!!
কোন মন্তব্য নেই:
/>