রবিবার, ৩১ মে, ২০১৫

উপার্জন: ইসলামী দৃষ্টিকোণ

উপার্জন: ইসলামী দৃষ্টিকোণ
إن الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وعلى آله وصحبه أجمعين أما بعد :
অর্থ-সম্পদ আল্লাহ তাআলার অন্যতম নিয়ামাত। এ নিয়ামাত অর্জন করার জন্য রয়েছে নানাবিধ ব্যবস্থা। বেঁচে থাকার জন্য কোনো না কোনো পর্যায়ে অর্থসম্পদের প্রয়োজন পড়ে। মানবজীবনে এটি শরীরের রক্তের সাথে তুলনাযোগ্য। জীবনকে স্বার্থক করার ক্ষেত্রে উপার্জন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মানুষ অনেক কিছু করতে চায়কিন্তু উপার্জন তাকে নিয়ন্ত্রণ করে। উপার্জনের উপর নির্ভর করে ব্যক্তির অর্থ-সম্পদ অর্জিত হয়। এটি বাস্তব এবং খুবই প্রয়োজনীয় বিষয়। উপার্জন করার ক্ষেত্রে কী করণীয় রয়েছে এবং কী বর্জন করতে হবে সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে এই প্রবন্ধে। 

মুসলমানের চারিত্রিক গুণাবলী

মুসলমানের চারিত্রিক গুণাবলী



মুসলমানের চারিত্রিক গুণাবলী

ইসলামী শরীয়ত হচ্ছে একটি পরিপূর্ণ জীবন পদ্ধতি যা সকল দিক থেকে সার্বিকভাবে মুসলমানের ব্যক্তিগত জীবনকে গঠন করার ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করেছে এসব দিকের মধ্যে গুনাবলি শিষ্টাচার ও চরিত্রের দিকটি অন্যতম। ইসলাম এদিকে অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করেছে। তাইতো আকীদা ও আখলাকের মাঝে সম্পর্ক স্থাপন করে দিয়েছে, যেমন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, 
"মুমিনদের মধ্যে পরিপূর্ণ ঈমানদার হচ্ছে সে ব্যক্তি, যে তাদের মধ্যে সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী।" [আহমাদ, আবু দাউদ, তিরমিযি ]

আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল : গুরুত্ব ও তাৎপর্য

আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল : গুরুত্ব ও তাৎপর্য

   

আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল : গুরুত্ব ও তাৎপর্য

তাওয়াক্কুল কি?
তাওয়াক্কুল আরবি শব্দ। এর অর্থ হল, ভরসা করা, নির্ভর করা। তাওয়াক্কুল আলাল্লাহ অর্থ হল: আল্লাহ তাআলার উপর ভরসা করা। ইসলামে আল্লাহ তাআলার উপর তাওয়াক্কুল একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি একটি ইবাদত। তাই আল্লাহ তাআলা ব্যতীত অন্য কারো উপর তাওয়াক্কুল করা যায় না। আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো জন্য তাওয়াক্কুল নিবেদন করা যাবে না। মৃত বা জীবিত কোনো ওলীআল্লাহ, নবী-রাসূল, পীর- বুজুর্গের উপর ভরসা করা বা তাওয়াক্কুল রাখা শিরক।

ছহীহ্‌ সুন্নাহ্‌র আলোকে বিতর নামায

ছহীহ্‌ সুন্নাহ্‌র আলোকে বিতর নামায
সূচীপত্র
                                                                     
বিষয়:
ভূমিকা
বিতর নামাযের গুরুত্ব ও ফযীলত 
বিতর নামায কি ওয়াজিব না সুন্নাত?
বিতর নামায ওয়াজিব নয় তার দলীল
বিতর নামাযকে ওয়াজিব বলার পক্ষে দলীল এবং তার জবাব।
বিতর নামাযের সময়
বিতর নামাযের রাকাত সংখ্যা ও তার পদ্ধতি
ক) এক রাকাত বিতর
খ) তিন রাকাত বিতর
মাগরিবের মত তিন রাকাত বিতর পড়া
গ) পাঁচ রাকাত বিতর

বৈধ ও অবৈধ অসীলা ???



অনুবাদকের কথা

সকল প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য, দুরুদ এবং সালাম বর্ষিত হোক মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর, তাঁর পরিবার পরিজন এবং সকল সাহাবীর  উপর।
অতঃপর আল সুলাইল ইসলামিক সেন্টার (অসীলা) নামক পুস্তিকাটি বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করার কর্মসূচী গ্রহণ করলে, বাংলায় অনুবাদের দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়, বইটি আদ্দোপান্ত পড়ে এর যথাযথ গুরুত্ব অনুভব করি, কেননা ভারত উপমহাদেশে এরকম একটি বই অত্যন্ত প্রয়োজন, কারণ সেখানে বিশেষ করে আমাদের বাংলাদেশে বহু জায়গায় শির্ক এবং বিদআতের মত গুরুতর অপরাধমূলক কাজ-কর্ম ব্যাপক হারে চলছে। বহু লোক অন্ধ অনুকরণ এবং কুপ্রবৃত্তির বশবর্তী হয়ে এ ধরনের মারাত্মক অপরাধে লিপ্ত অথচ তাদের অনেকেই জানে না যে, তা কুরআন হাদীস সম্মত নয় বরং কুরআন এবং হাদীস এর কঠোর নিন্দা করে তা বর্জন করার নির্দেশ দিয়েছে।

শনিবার, ৩০ মে, ২০১৫

As-Sirat Mission: পরকালীন প্রস্তুতি

হাদীসে কুদসী


□□□ আবূ সা'ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত । নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জান্নাতবাসীরা জান্নাতে এবং জাহান্নামীরা জাহান্নামে প্রবেশ করবে । অতঃপর আল্লাহ তা'আলা মালাকদের বলবে, যার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণও ঈমান আছে, তাকে জাহান্নাম হতে বের করে আনো । তারপর তাদের জাহান্নাম হতে এমন অবস্থায় বের করা হবে যে, তারা (পুড়ে) কালো হয়ে গেছে । অতঃপর তাদের বৃষ্টিতে বা হায়াতের নদীতে নিক্ষেপ করা হবে । ফলে তারা সতেজ হয়ে উঠবে, যেমন নদীর তীরে ঘাসের বীজ গজিয়ে উঠে । তুমি কি দেখতে পাও না সেগুলো কেমন হলুদ বর্ণের ও ঘন হয়ে গজায় ? -[বুখারীঃ ২২, ৪৫৮১; মুসলিমঃ ১৮৪]

জাতীয় পরিচয়পত্র (ন্যাশনাল আইডি কার্ড) এর ছবি পরিবর্তন তথ্য পরিবর্তন ও নতুন ভোটার হোন অনলাইনে (এক্সক্লুসিভ)

কেমন আছেন সবাই ? আজকের পোস্ট বাংলাদেশের ১০ কোটি জাতীয় পরিচয়পত্র (ন্যাশনাল আইডি কার্ড) ধারী ও ১৮ বৎসর বয়সী ভোটার হবার উপযুক্ত সকল নাগরিকের জন্য । বাংলাদেশে যত জাতীয় পরিচয়পত্র (ন্যাশনাল আইডি কার্ড) আছে ৯৯% ছবি অস্পষ্ট ও ২০% জাতীয় পরিচয়পত্রে তথ্য ভুল রয়েছে, আমি আজ আপনাদের দেখাবো কিভাবে ঘরে বসেই অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র বা ন্যাশনাল আইডি কার্ডের বিস্তারিত ডিটেইলস দেখতে পারবেন, ছবি পরিবর্তন, ঠিকানা পরিবর্তন, ভুল সংশোধন ও তথ্য হালনাগাদ করতে পারবেন ও কিভাবে অনলাইনে নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন ফরম পূরণ করা যাবে ।
এই পোস্টটি পড়ে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের বিস্তারিত দেখে নিন এবং ফেসবুকে শেয়ার করে বন্ধুদের অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ছবি পরিবর্তন তথ্য পরিবর্তন ও নতুন ভোটার হবার বিস্তারিত নিয়মকানুন জানিয়ে দেন ।

আজকে দেখাবো অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্রের কি কি পরিবর্তন আপনি নিজেই করতে পারবেন ?

বিপদের বন্ধু নেক আমল


 একদিন তিন বন্ধু নিশ্চিন্ত মনে ঠান্ডা বাতাস খেয়ে মনের আনন্দে পথ চলিতেছিল। হঠাৎ দিনের আবহাওয়া পরিবর্তন হয়ে খুব মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। বৃষ্টি থেকে বাঁচা যায় এ ধরনের কোন বস্তু তাদের সাথে ছিলনা। তখন তাদের এক জন দেখতেপেল একটি পাহাড়ী গর্ত। তাই দেরী না করে সবাই গর্তে ঢুকেগেল। কিছুক্ষন পর আকস্মাৎ একটি পাথর এসে তাদের গর্তের মূখ একেবারে বন্ধ করে দিল। তখন তারা সবাই কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়লো। এখন বের হবে কি ভাবে? তারা তিন বন্ধু মিলে খুব চেষ্টা করলো, কিন্তু এতো বড় পাথরটাকে সরানো সম্ভব হল না। তারা চিন্তায় পড়ে গেলো, এ মহা বিপদ থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যায়? পাথর সরাতে না পারলে এগুহায় তাদের মৃত্যু অনবিার্য।

আপনার সন্তানকে সালাতের নির্দেশ দিন


আপনার সন্তানকে সালাতের নির্দেশ দিন

আব্দুল্লাহ ইবন উমর রাদিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিততিনি বলেনরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমি বলতে শুনেছিতিনি ইরশাদ করেন,
أَلاَ كُلُّكُمْ رَاعٍ وَكُلُّكُمْ مَسْؤُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ فَالإِمَامُ الَّذِي عَلَى النَّاسِ رَاعٍ وَهْوَ مَسْؤُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ وَالرَّجُلُ رَاعٍ عَلَى أَهْلِ بَيْتِهِ وَهْوَ مَسْؤُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ وَالْمَرْأَةُ رَاعِيَةٌ عَلَى أَهْلِ بَيْتِ زَوْجِهَا وَوَلَدِهِ وَهِيَ مَسْؤُولَةٌ عَنْهُمْ وَعَبْدُ الرَّجُلِ رَاعٍ عَلَى مَالِ سَيِّدِهِ وَهْوَ مَسْؤُولٌ عَنْهُ أَلاَ فَكُلُّكُمْ رَاعٍ وَكُلُّكُمْ مَسْؤُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ.

তওবা : কেন ও কিভাবে ?


তওবা : কেন ও কিভাবে

আলেমগণ বলেনসকল প্রকার পাপ, অপরাধ থেকে তাওবা করা ওয়াজিব তথা অবশ্য করণীয়
তওবা শব্দের আভিধানিক অর্থ ফিরে আসা
পরিভাষায় তওবা হল : যে সকল কথা ও কাজ মানুষকে আল্লাহর নৈকট্য থেকে দূরে সরিয়ে দেয় তা থেকে ফিরে এসে ঐ সকল কথা ও কাজে লেগে যাওয়া, যা দিয়ে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায় ও তাঁর অসন্তুষ্টি থেকে বেঁচে থাকা যায়
এক কথায় পাপ-কর্ম থেকে ফিরে এসে সৎকাজে প্রবৃত্ত হওয়া

সন্তানের হক ?

সন্তানের হক



সন্তানের হক
إن الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وعلى آله وصحبه أجمعين أما بعد :
আল্লাহ তা‘আলা মানব জীবনকে সন্তান-সন্তুতির মাধ্যমে ভারসাম্যপূর্ণ এবং আকর্ষণীয় করেছেন। পারিবারিক জীবনে সন্তান-সন্ততি কতবড় নিয়ামত তা যার সন্তান হয়নি তিনি সবচেয়ে বেশি উপলব্ধি করে থাকেন। যাদেরকে আল্লাহ রাববুল আলামীন সন্তান দান করেছেন তাদের উপর এক মহান দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। পিতা-মাতার জন্য সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হবে যদি সন্তানকে আদর্শবান রূপে গড়ে না তুলতে পারেন। কেননা আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 
«مَا مِنْ مَوْلُودٍ إِلاَّ يُولَدُ عَلَى الْفِطْرَةِ فَأَبَوَاهُ يُهَوِّدَانِهِ ، أَوْ يُنَصِّرَانِهِ ، أَوْ يُمَجِّسَانِهِ»
প্রতিটি নবজাতক তার স্বভাবজাত দ্বীন ইসলামের ওপর জন্ম গ্রহণ করে। অতঃপর তার মা-বাবা তাকে ইয়াহূদী, নাসারা অথবা অগ্নিপূজক হিসেবে গড়ে তোলে [সহীহ বুখারী: ১৩৫৮]। 

ইসলামে দাওয়াতের গুরুত্ব ও তার ফলপ্রসূ পদ্ধতি –

দাওয়াত মুমিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মিশন। পৃথিবীতে যতজন নবী এবং রাসূল আগমন করেছেন তাঁদের সকলেরই মিশন ছিল দাওয়াত। দাওয়াত দানের মাধ্যমেই তারা অন্ধকারাচ্ছন্ন সমাজে আলোর ফল্গুধারা প্রবাহিত করেছেন। কুরআন ও হাদিসে অসংখ্যবার দাওয়াতের গুরুত্বের কথা উঠে এসেছে। আলোচনা হয়েছে এর গুরুত্ব এবং ফলপ্রসূ পদ্ধতি নিয়ে। নিম্নে এ ব্যাপারে আলোকপাত করা হলো :
দাওয়াত কী?
দাওয়াত শব্দটি আরবি ‘দাআ’ শব্দ থেকে নেয়া হয়েছে। এর আভিধানিক অর্থ হলো ডাকা, আহবান করা, আমন্ত্রণ জানানো ইত্যাদি। ইংরেজিতে ঈধষষ বলা হয়।
ইসলামী শরিয়তের পরিভাষায় ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির জন্য মানবজাতিকে আল্লাহর দাসত্ব ও ইসলামী জীবনবিধানের দিকে আহবান করাকে দাওয়াত বলা হয়। ইসলামী জীবনবিধান প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে দাওয়াতের ভূমিকা অনস্বীকার্র্য। ইসলামী আন্দোলনের সফলতা সঠিকরূপে দাওয়াত উপস্থাপনের ওপর অনেকাংশে নির্ভর করে থাকে।
ইসলামে দাওয়াতের সূচনা
হ    মানুষ সৃষ্টির শুরু থেকে যুগে যুগে নবী-রাসূলগণ মানুষকে আল্লাহর দিকে আহবান করেছেন।
হ    পৃথিবীতে আগত কোনো কওমকে নবুওয়ত থেকে বঞ্চিত করা হয়নি।
হ    সকল নবীগণ মানুষের সামনে একই দাওয়াত পেশ করেছেন। আর তা হচ্ছেÑ “আল্লাহর দাসত্ব করা এবং তাগুতকে অস্বীকার করা।”
হ    আল্লাহর একচ্ছত্র প্রভুত্ব ও নবীদের নিরঙ্কুশ নেতৃত্ব মানার আহবানই ছিল নবী ও রাসূলগণের প্রথম ও শেষ দায়িত্ব।

কুরআন-হাদিসের আলোকে সুদের ক্ষতি-অপকার-কুপ্রভাব


ভূমিকা

এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই যে, সুদ, সুদের অপকারিতা ও তার ভয়ঙ্কর পরিণতি সম্পর্কে বেশি বেশি আলোচনা হওয়া দরকার। কারণ যে সুদী কারবার করে সে আল্লাহ ও তদীয় রাসূলের বিরুদ্ধে যেন যুদ্ধ ঘোষণা করে। আর কোনো মুসলমান এমনটি কল্পনাও করতে পারে না। তাই এ থেকে দূরে থাকতে প্রতিটি মুসলমানের জন্য সুদের বিধান ও তার প্রকার-প্রকরণ জানা অপরিহার্য।

কোরআন ও সুন্নাহর দৃষ্টিকোণে স্বপ্ন ও তার ব্যাখ্যা



কোরআন ও সুন্নাহর দৃষ্টিকোণে স্বপ্ন ও তার ব্যাখ্যা


এ বইটি সংকলনে যে সকল গ্রন্থের সাহায্য নেয়া হয়েছে

أهم المراجع لهذا الكتاب :
1-       الرؤيا وما يتعلق بها – للشيخ عبد الله بن جار الله الجار الله
2-       تفسير الأحلام -  للإمام محمد بن سيرين رحمه الله
3-       القواعد الحسنى في تأويل الرؤى – للشيخ عبد الله بن محمد السدحان
4-       مقدمة ابن خلدون
5-       إعلام الموقعين - للإمام ابن القيم رحمه الله
6-       تيسير الكريم الرحمن في تفسير كلام المنان للشيخ عبد الرحمن السعدي – رحمه الله

বুধবার, ২৭ মে, ২০১৫

নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলাম

নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলাম



ভূমিকা

সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ তাআলার যিনি আমাদের জন্য দ্বীনকে করেছেন পরিপূর্ণআর আমাদের জন্য সম্পন্ন করেছেন তার অসংখ্য ও অগণিত নেয়ামতসমূহ এবং এ উম্মত তথা মুসলিম জাতিকে বানিয়েছেন সমগ্র উম্মতের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম উম্মত। আমাদের থেকেই একজনকে রাসূল হিসেবে আমাদের কল্যাণের জন্য প্রেরণ করেছেনযিনি আমাদের নিকট আল্লাহ তাআলার আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করেনআমাদের কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেন এবং আমাদের আত্মাকে পরিশুদ্ধ ও সংশোধন করেন। আর সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক সে মহামানবের উপরযাকে সমগ্র জগতবাসীর জন্য রহমতস্বরূপ দুনিয়াতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং নির্বাচন করা হয়েছে নেক আমলকারীদের জন্য আদর্শস্বরূপ। আরও সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক তার সমগ্র পরিবারবর্গ ও সাথী সঙ্গীদের উপরযারা নবীগণের পর দুনিয়াতে সর্বোচ্চ সম্মানের অধিকারী। আমীন।

নারী শিক্ষা সম্পর্কে ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি ?

নারী শিক্ষা সম্পর্কে ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি



নারী শিক্ষা সম্পর্কে ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি

জ্ঞানার্জনের কোনো বিকল্প ইসলামে নেই। সুতরাং ইসলাম জ্ঞানের আলোকবর্তিকা দিকে দিকে ছড়িয়ে দিতে শুরু করে। ফলে ইসলাম জ্ঞান-বিজ্ঞানে অগ্রসর হতে থাকে। ইসলামের প্রাথমিক যুগে জ্ঞানচর্চার যে প্রবাহ শুরু হয়, নারীরাও সেখানে শামিল হয়েছিল। পরবর্তীতে আববাসীয় ও উমাইয়্যা যুগে নারী শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটে।[1]
ইসলাম নারী-পুরুষের মধ্যে কোনো পার্থক্য না করে উভয়কে সমভাবে জ্ঞানার্জনের আদেশ দিয়েছে। কুরআনের নির্দেশও তাই। কুরআন সকল পাঠককেই আদেশ করছে পড়তে[2], চিন্তা-গবেষণা করতে[3], অনুধাবন করতে[4], এমনকি বিশ্ব প্রকৃতির মাঝে লুক্কায়িত বিভিন্ন নিদর্শন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে। নবীর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাছে প্রথম যে ওহী নাযিল তার প্রথম শব্দ ছিল ‘ইকরা’ অর্থাৎ পাঠ কর। 

শয়তানের প্রবেশপথ -----

শয়তানের প্রবেশপথ 



শয়তানের প্রবেশপথ (পর্ব:১)

আল্লাহ তাআলা যখন তার নবী আদম আ.-কে সৃষ্টি করেছেন, তিনি আদমকে সেজদা করতে ফেরেশতাদের হুকুম করেন। অত:পর সব ফেরেশতা সেজদায় অবনমিত হল একমাত্র ইবলিস ছাড়া, সে ছিল জিনদের অন্তর্ভুক্ত। সে তার প্রভুর নির্দেশ অমান্য করল, এবং অস্বীকার ও অহংকার প্রদর্শন করল। এবং সে ছিল কাফেরদের অন্তর্ভুক্ত। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন,
قَالَ يَا إِبْلِيسُ مَا مَنَعَكَ أَنْ تَسْجُدَ لِمَا خَلَقْتُ بِيَدَيَّ أَسْتَكْبَرْتَ أَمْ كُنْتَ مِنَ الْعَالِينَ. قَالَ أَنَا خَيْرٌ مِنْهُ خَلَقْتَنِي مِنْ نَارٍ وَخَلَقْتَهُ مِنْ طِينٍ. قَالَ فَاخْرُجْ مِنْهَا فَإِنَّكَ رَجِيمٌ. وَإِنَّ عَلَيْكَ لَعْنَتِي إِلَى يَوْمِ الدِّينِ. قَالَ رَبِّ فَأَنْظِرْنِي إِلَى يَوْمِ يُبْعَثُونَ. قَالَ فَإِنَّكَ مِنَ الْمُنْظَرِينَ. إِلَى يَوْمِ الْوَقْتِ الْمَعْلُومِ. قَالَ فَبِعِزَّتِكَ لَأُغْوِيَنَّهُمْ أَجْمَعِينَ. إِلَّا عِبَادَكَ مِنْهُمُ الْمُخْلَصِينَ. قَالَ فَالْحَقُّ وَالْحَقَّ أَقُولُ. لَأَمْلَأَنَّ جَهَنَّمَ مِنْكَ وَمِمَّنْ تَبِعَكَ مِنْهُمْ أَجْمَعِينَ. ﴿ص : ৭৫-৮৫﴾

মঙ্গলবার, ২৬ মে, ২০১৫

ঘরে বসেই ৬৮ টি দেশের ভিসা চেক করুন

১। তানজানিয়া www.tanzania.go.tz
২। কাতার http://www.moi.gov.qa/site/english
৩। কুয়েত www.moi.gov.kw
৪। পাকিস্তান http://www.moitt.gov.pk/
৫। সৌদি আরব http://www.moi.gov.sa/

ইন্টারনেট ঈমান, আখলাক ও বিবেক-বুদ্ধির পরীক্ষা

ইন্টারনেট ঈমান, আখলাক ও বিবেক-বুদ্ধির পরীক্ষা



এই পৃষ্ঠাগুলো ইন্টারনেট এবং ইন্টারনেটের শুভ ও কল্যাণকর ব্যবহার কীভাবে সম্ভব সে বিষয়ে কিছু ধারণার সন্নিবেশ। আশা করি এ প্রবন্ধে নিম্নবর্ণিত পয়েন্টগুলোর প্রতি আলোকপাত করতে সক্ষম হব:

১- ইন্টানেট একটি পরীক্ষা।
২- কীভাবে ইন্টারনেটের সদ্ব্যবহার সম্ভব।
৩- শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ থেকে সতর্কতা।
৪- সময় নির্দিষ্টকরণ ও উদ্দেশ্য নির্ণয়।
৫- শেষ ফলাফলের প্রতি দৃষ্টি।

আল-কোরআন ও সুন্নাহ হতে সংকলিত শরীয়তসম্মত উপায়ে ঝাড়-ফুঁক

শরীয়ত সম্মত উপায়ে ঝাড়-ফুঁক করার শর্তাবলী

১- ঝাড়-ফুঁক হতে হবে আল্লাহর কোরআন অথবা, তাঁর নামসমূহ  অথবা তাঁর গুনাবলীসমূহ দ্বারা
২- ঝাড়-ফুঁক হতে হবে আরবী বা অন্য যে কোনো ভাষায়, যার অর্থ জানা যায়
৩- এ কথায় দৃঢ় বিশ্বাস রাখতে হবে যে, (রোগ চিকিৎসায়) ঝাড়-ফুঁকের কোনোই ক্ষমতা নাই, বরং রোগ শিফা’র সকল ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলারই
৪- ঝাড়-ফুঁক যেন হারাম অবস্থায় না হয় অর্থাৎ নাপাক অবস্থায় অথবা, কবর বা পায়খানায় বসে ঝাড়-ফুঁক করা যাবে না


অনুবাদকের ভূমিকা
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেছিলেন যে, কিয়ামত এর পূর্বে ৩০ এর মত মিথ্যুক লোক নবুওয়াতের দাবী করবে, তাঁর সে ভবিষ্যদ্বাণীর প্রমাণ আমরা দেখতে পাই গোলাম আহম্মেদ কাদিয়ানীর নবুওয়াতের দাবীর মাঝ দিয়ে। আমাদের দেশের আলেমগণ অনেক আগ থেকেই বিভিন্ন ভাবে তার দাবীর অবৈধতা প্রমাণ করেছিলেন, এবং এক সময় আলেমরা সবাই তার বিরুদ্ধে এজমা, বা ঐক্যমত পোষণ করে অমুসলিম ভন্ড নবুওয়াতের দাবীদার বলে তার ফেৎনা কে সাময়িক ভাবে রুদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। অনেকে তার সাথে বিতর্কে গিয়েছিলেন এবং তাকে বিতর্কেও হারিয়েছিলেন, মনে পড়ে কাজী দানভিল্লা অমৃতসরী সাহেবের সাথে তার তর্কের কথা, ভন্ড তার নবুওয়াতের সমর্থনে দলীল হিসাবে কুরআনে করিমের সূরায় ছফ-এর() শদ্ব দ্বারা দলীল নিলে কাজী সাহেব বললেন তোমার নাম তো গোলাম আহমদ এখানে বলা হয়েছে আহমদ, অর্থাৎ তুমি আহমদের গোলাম, আহমদ নও, তখন সে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ভাবে আরবী ব্যাকরণের নিয়ম অনুসারে নামের প্রথম অংশ যেখানে উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ তা ত্যাগ করে বলে উঠল, আমার নামের শেষাংশই নয়,

পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার

পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার

“তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর এবং তার সাথে কাউকে শরীক কর না আর পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার কর।” (সূরা নিসাঃ ৩৬)।

দীর্ঘ দিন সীমাহীন কষ্ট ও অবর্ণনীয় যাতনা সহ্য করে মা সন্তানকে গর্ভে ধারণ করেন। মায়ের পেটে সন্তান যতই বৃদ্ধি পেতে থাকে তার কষ্টের মাত্রা ততই বাড়তে থাকে। মৃত্যু যন্ত্রনা পার হয়ে যখন সন্তান ভূমিষ্ট হয় তখন এ নবজাতককে ঘিরে মায়ের সব প্রত্যশা এবং স্বপ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে। এই নবজাতকের ভিতর সে দেখতে পায় জীবনের সব রূপ এবং সৌন্দর্য। যার ফলে দুনিয়ার প্রতি তার আগ্রহ এবং সম্পর্ক আরো গভীরতর হয়। পরম আদর-যত্নে সে শিশুর প্রতিপালনে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে। নিজের শরীরের নির্যাস দিয়ে তার খাবারের ব্যাবস্থা করে। নিজে কষ্ট করে তাকে সুখ দেয়। নিজে ক্ষুর্ধাত থেকে তাকে খাওয়ায়। নিজে নির্ঘূম রাত কাটায় সন্তানের ঘুমের জন্য। মা পরম আদর আর সবটুকু ভালোবাসা দিয়ে সন্তানকে ঘিরে রাখে সর্বক্ষণ। সন্তান কোথাও গেলে আল্লাহর নিকট দুআ করে যেন তার সন্তান নিরাপদে ঘরে ফিরে আসে। সন্তানও যে কোন বিপদে ছুটে আসে মায়ের কোলে। পরম নির্ভরতায় ভরে থাকে তার বুক। যত বিপদই আসুক না কেন মা যদি বুকের সাথে চেপে ধরে কিংবা স্নেহ মাখা দৃষ্টিতে একবার তাকায় তাহলে সব কষ্ট যেন নিমিষেই উধাও হয়ে যায়। এই হল মা।

জেনে নিন: নামজারি, পর্চা, দাগ, খতিয়ান, মৌজা, তফসিল, দাখিলা, DCR,…..দলিল কাকে বলে?

     

             


জেনে নিন: নামজারি, পর্চা, দাগ, খতিয়ান, মৌজা, তফসিল, দাখিলা, DCR,…..দলিল কাকে বলে?

নামজারি কাকে বলে?
ক্রয়সূত্রে/উত্তরাধিকার সূত্রে অথবা যেকোন সূত্রে জমির নতুন মালিক হলে নতুন মালিকের নাম সরকারি খতিয়ানভুক্ত করার প্রক্রিয়াকে নামজারী বলা হয়।
জমা খারিজকাকে বলে?
যৌথ জমা বিভক্ত করে আলাদা করে নতুন খতিয়ান সৃষ্টি করাকে জমা খারিজ বলে। অন্য কথায় মূল খতিয়ান থেকে কিছু জমির অংশ নিয়ে নতুন জোত বা খতিয়ান সৃষ্টি করাকে জমা খারিজ বলে।

জমি রেজিস্ট্রেশনের নিয়ম, সবার জেনে রাখা দরকার


                   জমি রেজিস্ট্রেশনের নিয়ম, সবার জেনে রাখা দরকার

বাংলাদেশে প্রযোজ্য সম্পত্তি হস্তান্তর (সংশোধন) আইন ২০০৪ এর ৫৪এ ধারা অনুসারে অস্থাবর সম্পত্তির বিক্রয় চুক্তি হবে লিখিত ও রেজিস্ট্রিকৃত। সুনির্দিষ্ট প্রতিকার (সংশোধন) আইন ২০০৪ এর ২১এ ধারার বিধান অনুসারে আদালতের মাধ্যমে চুক্তি বলবতের দুই শর্ত হলোঃ
  • লিখিত ও রেজিস্ট্রিকৃত বায়না ব্যতীত চুক্তি প্রবলের মামলা আদালতের মাধ্যমে বলবৎ করা যাবে না।
  • বায়নার অবশিষ্ট টাকা আদালতে জমা না করলে মামলা দায়ের করা যাবে না।

সোমবার, ২৫ মে, ২০১৫

মুসলমানের আদব বা শিষ্টাচার



মুসলমানের আদব বা শিষ্টাচার

ইসলাম এমন কিছু উন্নত শিষ্টাচার, সুন্দর স্বভাব ও বৈশিষ্ট্যের উপর মুসলিম সন্তানদের গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করেছে, যেটা মুসলিম প্রজন্মের শিক্ষা প্রশিক্ষণ, লালন-পালন ও তাদের চরিত্র বিনির্মাণে ভূমিকা পালন করে থাকে। কথা কাজের ক্ষেত্রে উন্নত পন্থা অবলম্বন, সৎ স্বভাব গ্রহণ ও ঘৃণিত তথা মন্দ স্বভাব পরিত্যাগে নির্দেশনা দিয়ে থাকে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতের জন্য আদব তথা শিষ্টাচারের সকল দিকগুলোই বর্ণনা দিয়েছেন। এমনকি যুদ্ধের ময়দানের শিষ্টাচার কি হবে, তাও বলে দিয়েছেন। তিনি তাদেরকে যুদ্ধের সময় নারী-শিশু এবং যে সকল বৃদ্ধ যুদ্ধ করে না তাদেরকে হত্যা করতে নিষেধ করেছেন। বারণ করেছেন গির্জা ও আশ্রমে আশ্রয় গ্রহণকারী পাদ্রী, ধর্মযাজক ও সন্নাসী এবং শষ্যক্ষেত্রে চাষাবাদরত চাষীকে হত্যা করতে। এবং মৃতের দেহ বিকৃত করতে ও নিষেধ করেছেন। এমনিভাবে আরো অনেক আদব রয়েছে।

বিবাহের কতিপয় সুন্নাত সমূহ



বিবাহের কতিপয় সুন্নাত সমূহ

যে সকল ভাইয়েরা/বোনেরা বিবাহ উপযুক্ত বা যাহারা বিবাহ নিয়ে ভাবছেন তাদের অথবা যারা অভিবাবক আছেন তারা জেনে নিন:

বিবাহের কতিপয় সুন্নত সমূহঃ

(১) মাসনূন বিবাহ সাদা সিধে ও অনাড়ম্বর হবে, যা অপচয়, অপব্যয়, বেপর্দা ও বিজাতীয় সংস্কৃতি মুক্ত হবে এবং তাতে যৌতুকের শর্ত বা সামর্থের অধিক মহরানার শর্ত থাকবেনা। (তাবারানী আউসাত, হাদিস নং- ৩৬১২)

বিয়ের অপর নাম প্রশান্তি, উচ্ছ্বাস আর দয়া

বিয়ের অপর নাম প্রশান্তি, উচ্ছ্বাস আর দয়া



বিয়ের অপর নাম প্রশান্তি, উচ্ছ্বাস আর দয়া

কিশোর বয়স থেকে বিয়ের ব্যাপারে আমার একটা প্রশ্ন ছিলো মনে, সেই প্রশ্নটা যাদের করেছিলাম, তাদের উত্তর কিছু খুবই নিম্নমানের। তাই আদতে আমার কৌতুহল নিবৃত্ত হয়নি। প্রশ্নটি ছিলো, দু’জন মোটামুটি অপরিচিত মানুষ কীভাবে সারাটা জীবন একসাথে কাটিয়ে দিতে পারে? মোটামুটি অপরিচিত বললাম এই কারণে যে, বিয়ের আগে থেকে আসলে তেমন একটা জানাজানি একদমই সম্ভব না। একসাথে থাকতে গেলে তখন টের পাওয়া যায় যে অনেকে অনেক ছোট-ছোট বিষয়েই বিরক্ত হয়। আর তার উপরে যখন একটা বয়স পরে অনেকের শরীরে রোগবালাই ভর করে, তখন তো অপরজন অপার ভালোবাসায় আর যত্নে তার দেখাশোনা করেন — এমনটাই বা কী করে সম্ভব?

কল্যাণকর কাজে উদ্বুদ্ধকারী কতিপয় হাদীস

কল্যাণকর কাজে উদ্বুদ্ধকারী কতিপয় হাদীস



কল্যাণকর কাজে উদ্বুদ্ধকারী কতিপয় হাদীস

সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্ল্লামের প্রতি দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক। 
সওয়াব অর্জনের ক্ষেত্র অনেক এবং ভাল ও উত্তম কাজের প্রতিদান বিরাট।
قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى الله ُعَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فِيْمَا يَرْوِىْ عَن رَّبِّهِ عَزَّ وَجَلَّ قَالَ: إِنَّ اللهَ كَتَبَ الحَْسَنَاتِ وَالسَّيِّئَاتِ ثُّمَّ بَيَّنَ ذَلِكَ فَمَنْ هَمَّ بِحَسَنَةٍ فَلَمْ يَعْمَلْهَا كَتَبَهَا الله ُلَهُ حَسَنَةً كَامِلَةً. رواه البخاري-৬০১০ ، ومسلم- ১৮৭
"নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মহান প্রতিপালক থেকে বর্ণনা করেন: তিনি বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা ভাল ও মন্দ উভয়টিকে লিপিবদ্ধ করেন। অতঃপর তিনি এভাবে বর্ণনা করেছেন : 'যে ব্যক্তি কোন ভাল কাজ করার ইচ্ছা করে অথচ তা এখনও বাস্তবে পরিণত করেনি, তার জন্য আল্লাহ নিজের কাছে একটি পূর্ণাঙ্গ সওয়াব লিপিবদ্ধ করেন।" [বুখারী ৬০১০, মুসলিম ১৮৭ (২৪৬)]

Widget ByBlogger Maruf
Widget ByBlogger Maruf