আল্লাহ যদি দুনিয়াতে কোন কিছু ঘটাতে চান তাহলে পারিপার্শ্বিকতাকে এমনভাবে পরিবর্তন করে দেন যাতে তা ঘটতে বাধ্য হয়। ইদানীংকালে পৃথিবীর চলমান ঘটনাবলি নিয়ে একটু চিন্তা করলেই পরিষ্কার বোঝা যায় যে আল্লাহ মুস
আল্লাহ যদি দুনিয়াতে কোন কিছু ঘটাতে চান তাহলে পারিপার্শ্বিকতাকে এমনভাবে পরিবর্তন করে দেন যাতে তা ঘটতে বাধ্য হয়। ইদানীংকালে পৃথিবীর চলমান ঘটনাবলি নিয়ে একটু চিন্তা করলেই পরিষ্কার বোঝা যায় যে আল্লাহ মুসলিম উম্মাহকে বিজয়ের জন্য প্রস্তুত করছেন।
কুরআন ও হাদিসে মুসলিম উম্মহার বিজয়ের ব্যপারটা এত বার এসেছে যে, বিজয়ের আমাদের ইয়াকিন থাকা দরকার। এই ব্যপারে মনের মধ্যে এতটুকুও সন্দেহ অথবা অবিশ্বাস থাকা উচিত হবেনা কারণ এর পক্ষে কুরআন এবং হাদিসের দলিল অত্যন্ত মজবুত।
- আমি উপদেশের পর যবুরে লিখে দিয়েছি যে, আমার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাগণ অবশেষে পৃথিবীর অধিকারী হবে। (২১-১০৫)
- আমার রাসূল ও বান্দাগণের ব্যাপারে আমার এই বাক্য সত্য হয়েছে যে,অবশ্যই তারা সাহায্য প্রাপ্ত হয়। (৩১:১৭১-১৭২)
- মূসা বললেন তার কওমকে, সাহায্য প্রার্থনা কর আল্লাহর নিকট এবং ধৈর্য্য ধারণ কর। নিশ্চয়ই এ পৃথিবী আল্লাহর। তিনি নিজের বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা এর উত্তরাধিকারী বানিয়ে দেন এবং শেষ কল্যাণ মুত্তাকীদের জন্যই নির্ধারিত রয়েছে। (৭:১২৮)
এই আয়াতগুলো থেকে বোঝা যায়, মুসলিমরা সাময়িক ভাবে পরাজিত হতে পারে তবে শেষ বিজয় হবে মুসলিমদেরই। কারণ আল্লাহর সাহায্য এবং ওয়াদা তাদের জন্যই।
--
কাফেররা দুনিয়া থেকে আল্লাহর নুর তথা ইসলামকে নিভিয়ে দিতে চায়। আল্লাহর রসুলের রিসালাতের বানীকে মুছে দিতে চায়।
- তারা তাদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহর নূরকে নির্বাপিত করতে চায়। কিন্তু আল্লাহ অবশ্যই তাঁর নূরের পূর্ণতা বিধান করবেন, যদিও কাফেররা তা অপ্রীতিকর মনে করে। (৯:৩২)
আপনাকে অবাক হয়ে যেতে হবে যদি একটু ভেবে দেখেন তারা কি পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে। কাফেরদের আল্লাহ দুনিয়াতে কম সম্পদ দেননি, তাদের হাতে আছে বৃহৎ সব ইকনমি, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, তেল গ্যাস, খনিজ সম্পদ। আর এর সবই তারা ব্যয় করছে ইসলামকে ধ্বংস করার কাজে।
তারা নিয়ন্ত্রণ করে পৃথিবীর সকল টিভি রেডিও, সকল শক্তিশালি মিডিয়া আওটলেট, সরকার, পুলিশ। এক কথায় তারা পুরো দুনিয়াটাকেই নিয়ন্ত্রণ করে।
এই অবস্থায় মুসলিমদের মঝে একদল চিন্তা করে তাদের সাথে তো আমরা মারামারি করে পারবোনা। তাই আমাদের উচিত হবে হিকমাহ অবলম্বন করা, তাদের সাথে আপসের নীতিতে বোঝাপড়া করা।
কিন্তু আল্লাহ বলেন ভিন্ন কথা -
নিঃসন্দেহে যেসব লোক কাফের, তারা ব্যয় করে নিজেদের ধন-সম্পদ, যাতে করে বাধাদান করতে পারে আল্লাহর পথে। বস্তুতঃ এখন তারা আরো ব্যয় করবে। তারপর তাই তাদের জন্য আক্ষেপের কারণ হয়ে এবং শেষ পর্যন্ত তারা হেরে যাবে। আর যারা কাফের তাদেরকে দোযখের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। (৮:৩৬)
তাদের খরচ করতে দিন তাদের ধনসম্পদ। আল্লাহর কথা অনুযায়ী তারা আগে খরচ করবে, অতঃপর পরাজিত হবে। আমাদের আসলে খুশি হওয়া উচিত যে তারা তাদের সম্পদ ইসলামের বিরদ্ধে যুদ্ধ করতে করতে শেষ করে ফেলছে। কারণ ওই আয়াত অনুসারে তাদের সম্পদ শেষ হবার পরেই আসবে ইসলামের বিজয়।
ইরাক এবং আফগানিস্তানের যুদ্ধে তাদের সরাসরি খরচ হয়ে গেছে ৪ ট্রিলিয়ন ডলার। আর ২০৫০ সাল পর্যন্ত যুদ্ধাহতদের চিকিৎসা ও অন্যান্য ব্যয় মেটাতে খরচ হবে আরো ২ ট্রিলিয়ন ডলার। এর বাইরেও অঘোষিত খরচ তো আছেই।
কুরআন ও হাদিসে মুসলিম উম্মহার বিজয়ের ব্যপারটা এত বার এসেছে যে, বিজয়ের আমাদের ইয়াকিন থাকা দরকার। এই ব্যপারে মনের মধ্যে এতটুকুও সন্দেহ অথবা অবিশ্বাস থাকা উচিত হবেনা কারণ এর পক্ষে কুরআন এবং হাদিসের দলিল অত্যন্ত মজবুত।
- আমি উপদেশের পর যবুরে লিখে দিয়েছি যে, আমার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাগণ অবশেষে পৃথিবীর অধিকারী হবে। (২১-১০৫)
- আমার রাসূল ও বান্দাগণের ব্যাপারে আমার এই বাক্য সত্য হয়েছে যে,অবশ্যই তারা সাহায্য প্রাপ্ত হয়। (৩১:১৭১-১৭২)
- মূসা বললেন তার কওমকে, সাহায্য প্রার্থনা কর আল্লাহর নিকট এবং ধৈর্য্য ধারণ কর। নিশ্চয়ই এ পৃথিবী আল্লাহর। তিনি নিজের বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা এর উত্তরাধিকারী বানিয়ে দেন এবং শেষ কল্যাণ মুত্তাকীদের জন্যই নির্ধারিত রয়েছে। (৭:১২৮)
এই আয়াতগুলো থেকে বোঝা যায়, মুসলিমরা সাময়িক ভাবে পরাজিত হতে পারে তবে শেষ বিজয় হবে মুসলিমদেরই। কারণ আল্লাহর সাহায্য এবং ওয়াদা তাদের জন্যই।
--
কাফেররা দুনিয়া থেকে আল্লাহর নুর তথা ইসলামকে নিভিয়ে দিতে চায়। আল্লাহর রসুলের রিসালাতের বানীকে মুছে দিতে চায়।
- তারা তাদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহর নূরকে নির্বাপিত করতে চায়। কিন্তু আল্লাহ অবশ্যই তাঁর নূরের পূর্ণতা বিধান করবেন, যদিও কাফেররা তা অপ্রীতিকর মনে করে। (৯:৩২)
আপনাকে অবাক হয়ে যেতে হবে যদি একটু ভেবে দেখেন তারা কি পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে। কাফেরদের আল্লাহ দুনিয়াতে কম সম্পদ দেননি, তাদের হাতে আছে বৃহৎ সব ইকনমি, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, তেল গ্যাস, খনিজ সম্পদ। আর এর সবই তারা ব্যয় করছে ইসলামকে ধ্বংস করার কাজে।
তারা নিয়ন্ত্রণ করে পৃথিবীর সকল টিভি রেডিও, সকল শক্তিশালি মিডিয়া আওটলেট, সরকার, পুলিশ। এক কথায় তারা পুরো দুনিয়াটাকেই নিয়ন্ত্রণ করে।
এই অবস্থায় মুসলিমদের মঝে একদল চিন্তা করে তাদের সাথে তো আমরা মারামারি করে পারবোনা। তাই আমাদের উচিত হবে হিকমাহ অবলম্বন করা, তাদের সাথে আপসের নীতিতে বোঝাপড়া করা।
কিন্তু আল্লাহ বলেন ভিন্ন কথা -
নিঃসন্দেহে যেসব লোক কাফের, তারা ব্যয় করে নিজেদের ধন-সম্পদ, যাতে করে বাধাদান করতে পারে আল্লাহর পথে। বস্তুতঃ এখন তারা আরো ব্যয় করবে। তারপর তাই তাদের জন্য আক্ষেপের কারণ হয়ে এবং শেষ পর্যন্ত তারা হেরে যাবে। আর যারা কাফের তাদেরকে দোযখের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। (৮:৩৬)
তাদের খরচ করতে দিন তাদের ধনসম্পদ। আল্লাহর কথা অনুযায়ী তারা আগে খরচ করবে, অতঃপর পরাজিত হবে। আমাদের আসলে খুশি হওয়া উচিত যে তারা তাদের সম্পদ ইসলামের বিরদ্ধে যুদ্ধ করতে করতে শেষ করে ফেলছে। কারণ ওই আয়াত অনুসারে তাদের সম্পদ শেষ হবার পরেই আসবে ইসলামের বিজয়।
ইরাক এবং আফগানিস্তানের যুদ্ধে তাদের সরাসরি খরচ হয়ে গেছে ৪ ট্রিলিয়ন ডলার। আর ২০৫০ সাল পর্যন্ত যুদ্ধাহতদের চিকিৎসা ও অন্যান্য ব্যয় মেটাতে খরচ হবে আরো ২ ট্রিলিয়ন ডলার। এর বাইরেও অঘোষিত খরচ তো আছেই।
এই ব্যায়ভার বহন করতে করতে তাদের ইকনমির অবস্থা আজ টালমাটাল। আমেরিকা, ইউরোপের প্রতিটা দেশের হউসিং, রিটেইল, উৎপাদন সহ প্রতিটি সেকটরেই নেমেছে ধ্বস।
হুবুহ আল্লাহ যেভাবে বলেছেন। তারা প্রথমে তাদের সম্পদ খরচ করবে এবং সেটাই তাদের জন্য আক্ষেপের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
আমেরিকানদের তো কেউ ইরাক অথবা আফগানিস্তানে যুদ্ধ করতে বলেনি, তারা নিজেরাই যেচে যুদ্ধে জড়িয়েছে। এবং এই যুদ্ধ চালাতে তারা সর্বস্বান্ত হচ্ছে আর এখন পরিশেষে তারা পরাজিত হবে।
অনেক আগে তাদের গুরু আবু জাহেলও মুসলিমদের সাথে যুদ্ধে জড়িয়েছিল বদরের প্রান্তরে। আবু জাহেল সৈন্য নিয়ে রওয়ানা হয়েছিল মক্কাহর একটি বাণিজ্য কাফেলা কে সুরক্ষা দেবার জন্য। আবু সুফিয়ান তাঁকে চিঠি মারফত তাকে মক্কায় ফিরত যেতে বলে, কারণ তারা মুসলিমদের পাশ কাটিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে।
কিন্ত আবু জাহেল দাম্ভিকতা করে বলল, না আমরা বদরের ময়দানে যাবই। আমরা সেখানে তিনদিন আনন্দ করবো, মদ খাবো, গান বাজনা করবো। সমগ্র আরবে বার্তা পাঠিয়ে দেবো যে তোমরা কুরাইশদের সাথে লাগতে এসোনা।
এবং পরবর্তী ঘটনাবলি আমরা সবাই জানি। আজ আমেরিকাও সে একই পথে এগুচ্ছে।
আল্লাহ সুবহানু ওয়া তাআলা বলেন -
যারা আমার আউলিয়াদের সাথে শত্রুতা করবে, আমি আল্লাহ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবো। (হাদিস কুদসি ২৫, বুখারি )
আমেরিকা আসলে যুদ্ধ করছে আল্লাহর সাথেই। মুসলিমদের সাথে নয়। তারা কিভাবে আশা করে এই যুদ্ধে তারা জিততে পারবে। আর মুসলিমদেরও কিভাবে বিশ্বাস হতে পারে তারা আল্লাহকে পরাজিত করবে?
তোমাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে ওয়াদা দিয়েছেন যে, তাদেরকে অবশ্যই পৃথিবীতে শাসনকর্তৃত্ব দান করবেন। যেমন তিনি শাসনকর্তৃত্ব দান করেছেন তাদের পূর্ববতীদেরকে এবং তিনি অবশ্যই সুদৃঢ় করবেন তাদের ধর্মকে, যা তিনি তাদের জন্যে পছন্দ করেছেন এবং তাদের ভয়-ভীতির পরিবর্তে অবশ্যই তাদেরকে শান্তি দান করবেন। তারা আমার এবাদত করবে এবং আমার সাথে কাউকে শরীক করবে না। এরপর যারা অকৃতজ্ঞ হবে, তারাই অবাধ্য।
(২৪:৫৫)
হুবুহ আল্লাহ যেভাবে বলেছেন। তারা প্রথমে তাদের সম্পদ খরচ করবে এবং সেটাই তাদের জন্য আক্ষেপের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
আমেরিকানদের তো কেউ ইরাক অথবা আফগানিস্তানে যুদ্ধ করতে বলেনি, তারা নিজেরাই যেচে যুদ্ধে জড়িয়েছে। এবং এই যুদ্ধ চালাতে তারা সর্বস্বান্ত হচ্ছে আর এখন পরিশেষে তারা পরাজিত হবে।
অনেক আগে তাদের গুরু আবু জাহেলও মুসলিমদের সাথে যুদ্ধে জড়িয়েছিল বদরের প্রান্তরে। আবু জাহেল সৈন্য নিয়ে রওয়ানা হয়েছিল মক্কাহর একটি বাণিজ্য কাফেলা কে সুরক্ষা দেবার জন্য। আবু সুফিয়ান তাঁকে চিঠি মারফত তাকে মক্কায় ফিরত যেতে বলে, কারণ তারা মুসলিমদের পাশ কাটিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে।
কিন্ত আবু জাহেল দাম্ভিকতা করে বলল, না আমরা বদরের ময়দানে যাবই। আমরা সেখানে তিনদিন আনন্দ করবো, মদ খাবো, গান বাজনা করবো। সমগ্র আরবে বার্তা পাঠিয়ে দেবো যে তোমরা কুরাইশদের সাথে লাগতে এসোনা।
এবং পরবর্তী ঘটনাবলি আমরা সবাই জানি। আজ আমেরিকাও সে একই পথে এগুচ্ছে।
আল্লাহ সুবহানু ওয়া তাআলা বলেন -
যারা আমার আউলিয়াদের সাথে শত্রুতা করবে, আমি আল্লাহ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবো। (হাদিস কুদসি ২৫, বুখারি )
আমেরিকা আসলে যুদ্ধ করছে আল্লাহর সাথেই। মুসলিমদের সাথে নয়। তারা কিভাবে আশা করে এই যুদ্ধে তারা জিততে পারবে। আর মুসলিমদেরও কিভাবে বিশ্বাস হতে পারে তারা আল্লাহকে পরাজিত করবে?
তোমাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে ওয়াদা দিয়েছেন যে, তাদেরকে অবশ্যই পৃথিবীতে শাসনকর্তৃত্ব দান করবেন। যেমন তিনি শাসনকর্তৃত্ব দান করেছেন তাদের পূর্ববতীদেরকে এবং তিনি অবশ্যই সুদৃঢ় করবেন তাদের ধর্মকে, যা তিনি তাদের জন্যে পছন্দ করেছেন এবং তাদের ভয়-ভীতির পরিবর্তে অবশ্যই তাদেরকে শান্তি দান করবেন। তারা আমার এবাদত করবে এবং আমার সাথে কাউকে শরীক করবে না। এরপর যারা অকৃতজ্ঞ হবে, তারাই অবাধ্য।
(২৪:৫৫)
কোন মন্তব্য নেই:
/>