কি বলব ভাষা নাই....পুরুষ নেতৃত্ববিহীন সংসদ!
বিরোধী দলের সামনের সারিতে তাও কিছু পুরুষ নেতৃত্ব আছে। কিন্তু সরকারী দলের সামনের সারিতে কেবল নারী! স্পীকারের আসনেও একজনকে চাকরি দিয়েছেন হাসিনা- তাও একজন অনির্বাচিত মনোনীত নারী!!
রাজনীতিতে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া আগমন ছিল বিশেষ ঘটনাউদ্ভুত, অনিবর্তনীয়ভাবে। কিন্তু এরপরে যে সব মহিলারা এখন সামনের সারি দখল করে আছেন বা স্বামীর মৃত্যুজনিত কারনে শূন্যস্থান পূর্ন করেছেন, তা আর যাই হোক- যোগ্যতা ও সমানাধিকারের ভিত্তিতে হচ্ছে না। অনগ্রসর নারীদের এগিয়ে আনার জন্য সংবিধানসম্মতভাবে সংরক্ষিত আসনে প্রথমে ১০, পরে ৩০, এবং বর্তমানে সংসদ সদস্য নিয়োগ দেয়া হয়। প্রশ্ন হলো, এসব উদ্যোগ কি কাজ দিচ্ছে? নাকি দিচ্ছে না?
আমাদের এক ফেসবুক বন্ধুর প্রশ্ন ছিল, এটা কি নারীর ক্ষমতায়ণের লক্ষন, নাকি অন্য কিছু। জবাবটা আবার উনিই দিয়েছেন:
সংসদের এ চিত্র দেখে বোঝা যাচ্ছে, দেশকে নেতুত্ব দেয়ার মত কোনো পুরুষ নাই! নারীদের দিয়ে সরকার চালাতে হাসিনার বড় সুবিধা, আর পশ্চিমারাও না বুঝেই খুশি থাকে। বাংলাদেশের সমাজে নারীদের যে অবস্থা, তা দেখে কোনোভাবেই বলা চলে না যে দেশে নারীদের ক্ষমতায়ন হয়েছে। সরকারের চেয়ে বরং গ্রামীন ব্যাংক ব্রাক সহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে নারী ক্ষমতায়নে অনেকদূর কাজ করেছে।
অন্যদিকে জনগনের ভোটে নির্বাচিত শক্তিশালী সরকার হলে বাংলাদেশকে বেশী শোষন ও লুন্ঠন করা যায় না। আর তাইত হাসিনার দরকার পুরোপুরি নারীবাদী, অনির্বাচিত, দুর্বল পুতুল সরকার যেখানে থাকবে সাজেদা, মতিয়া, দীপুমনি, সাহারা, চুমকি, মন্নুজান, শিরিন শারমীনরা। এ দেশ আগাবে কি করে?
কোন মন্তব্য নেই:
/>