রবিবার, ৯ জুন, ২০১৩

প্রসঙ্গঃ মেয়েদের মাথায় পট্টি(অনেকে বলে হিজাব!) বেঁধে নিতম্বের কাপড় টাইট করে পড়া।


প্রসঙ্গঃ মেয়েদের মাথায় পট্টি(অনেকে বলে হিজাব!) বেঁধে নিতম্বের কাপড় টাইট করে পড়া।







এই বিংশ শতাব্দী'তে এসে ইসলাম কে মানার ক্ষেত্রে নিজের খেয়াল খুশিমত কেটে-ছেটে আধুনিকায়ন করতে করতে মূল ইসলামের শিক্ষা থেকে আমরা দিন দিন সরেযাচ্ছি! আজকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিদেশের মুসলিম মেয়েরা এই ক্ষেত্রে তাঁরা শারীয়'ই একটি বিধান হিজাবের নাম করে এটা কে ইসলামী করন করতে চাইছেন! আর এই জন্যে তাঁরা তাঁদের মাথার চুল কেঢাকতে এক টুকরা কাপড় কে বেঁছে নিয়েছেন! প্রশ্ন হল শুধু মাথার চুল ঢাকার নাম-ইকি হিজাব! সালাত আদায়ের জন্য যেমন কিছু শর্ত আছে, তেমন হিজাব পালনের বেলায়ও কিছু শর্ত আছে, যেগুলো পূর্ণ না হলে তাঁকে হিজাব বলা চলে নাহ!

হিজাবের সর্তসমূহ:
১) পুরুষের নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত ঢাকতে হবে। মেয়েদের জন্য মুখ আর হাতেরকব্জি ব্যতীত সমসস্ত শরীর ঢাকতে হবে। অন্য ৫ টি নিয়ম পুরুষ ও মহিলার জন্য একই।
২) তারা যে পোশাক পরবে সেটা এরকম আঁটসাঁট হবে না যে, তাদের দেহের গড়ন বোঝা যাবে।
৩) পোশাক এমন স্বচ্ছ হবে না, যাতেভেতরদিকে দেখা যায়।
৪) পোশাক এরকম আকর্ষণীয় হবে না যা বিপরীত লিঙ্গকে আকর্ষণ করে।
৫) পোশাক এমন হবে না, যা অবিশ্বাসীদের মতো, যেমন: ক্রস পরা।
৬) আর এমন পোশাক পরা যাবে না যা বিপরীতলিঙ্গের পোশাকের মতো।
আল্লাহ্‌ তা’আলা পবিত্র কোর’আনে তার প্রিয় নবী মুহাম্মদকে (সা:) উদ্দেশ্যে বলেন: “হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীগণকে, কন্যাগণকে ও মু’মিনদের মহিলাগণকে বলে দিন-তারা যেন (উপর দিক থেকে) নিজেদের (মুখমন্ডল ও বক্ষদেশের)উপর নিজেদের চাদরের আঁচল ঝুলিয়ে দেয়। এতে তাদের চেনা সহজতর হবে। ফলে, তাদের উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।” (সূরা আহ্‌যাব, ৩৩: আয়াত ৫৯) রাইসুল মাফাচ্ছেরীন আবদুল্লাহ্‌ বিন আব্বাস (রা:) বলেছেন: (উপরোক্ত আয়াতে আল্লাহ্‌ তা’আলা) ঈমানদারমহিলাদের নির্দেশ দিচ্ছেন যে, যখনই তারা বিশেষ কোন প্রয়োজনে বাইরে বের হবে, তখন যেন তারা নিজেদের চাদর দিয়ে উপর থেকে নিজেদের মুখমন্ডলকে ঢেকে দেয়, এমন ভাবে যাবে করে বক্ষদেশও আবৃতহয়। এইবার দেখুন তো ছবির সাথে আয়াতের এবংতাফসীরের কোন মিল আছে কিনা! একজন মুসলিম মেয়ে, যিনি হিজাব পরিধানের নামে চুল ঢাকবে আবার তার শারিরীক গঠনও প্রকাশ করবে এটা একজন দ্বীনদার মুসলিম কিভাবে তাঁর বোনের জন্য মেয়ের জন্য মেনে নিতে পারে!
উম্মুল মু’মিনীন আয়িশা (রা:) যখনতিনিরাসূলুল্লাহ ্‌কে (সা:) প্রশ্ন করেছিলেন, ‘মেয়েরা নিজেদের কাপড়কে (পোষাক বা বোরকা) কতটুকা নিচের দিকে ঝুলিয়ে দিবে?’ তখন তার উত্তরে রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছিলেন, ‘তারা স্বীয় পদতালুর সামনে অর্থাৎ, গোড়ালীর নিচে রেখে কাপড় পরবে। ‘উম্মুল মু’মিনীন পুন: প্রশ্ন করলেন যে, যখন তারা লম্বা কদমে হাঁটবে? (তখন কাপড় তো উঠে যাবে, সে সময় কি করবে?) উত্তরে রাসূল (সা:) বললেন, ‘তারা কখনও এক হাতের বেশী লম্বা কদমে হাঁটবে না।’ (বুখারী ও মুসলিম) (সুবহানাল্লাহ্‌ !!)।)
এইবার চিন্তা করুন "মাথায় পট্টি" বেঁধে যারা দৌড়-ঝাপ করছে আর মুখে আমি হিজাব পরি বলে দাবি করছে তাঁদের অবস্থা কেমন! মা আয়েশা (রঃ) বলেছেন: “নবী (সাঃ) যদি দেখে যেতেন আজকালকার মহিলারা কি সব কার্যকলাপ করে তবেউনি নিশ্চয়ই মহিলাদের মসজিদে আসা নিষিদ্ধ করে দিতেন! মানে রাসুল (সাঃ) এর ইন্তেকালের পর কিছু মহিলারা মসজিদে আসার ব্যাপারে তাঁদের হিজাবেরব্যাপারে ­ কিছুটা ঢিলামিদিয়েছিল! আরএতেই মা আয়েশা (রাঃ) তাঁদের কে শাসানী দিয়েছেন! যদিও সেই যুগের কিছু মহিলারা যারা হিজাবের ব্যাপারে ঢিলামি দিয়েছিল তাঁরা এই যামানার মহিলাদের থেকে অনেক উত্তম ছিলেন নিঃসন্দেহে! তাহলে চিন্তা করুন আজ যদি মা আয়েশার কাছে এইসব মহিলারা শুধু চুল ঢেকেহিজাব মানে চুল ঢেকে টাইট জিন্স পরার অনুমুতি চাইতেন, তাহলে তাঁদের কে কি জবাব দিতেন! তাই আসুন এহেন ফর্মালিন যুক্ত হিজাব ত্যাগ করে,আমাদের মা বোনদের কে পিউর হিজাবের দিকে উৎসাহিত করি।

কোন মন্তব্য নেই:

Comment here />

Widget ByBlogger Maruf
Widget ByBlogger Maruf