‘’তাবলীগ জামাতে টঙ্গির তুরাগ নদীর তীরে ১০ কোটি মানুষের ঢল নামুক সেটা মেনে নেয়া হবে। তবে মোহাম্মাদ বিন কাশিমের অনুপ্রেরণায় যদি একজন শিবির জামায়াতের কর্মী জন্ম নেয়, সেটা ভারত বা ভারতের দোসর আওয়ামীলীগ বরদাশত করবেনা।
ইতিহাস পর্যালোচনা করলে আমরা দেখতে পাই...
১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ নামে প্রিয় মাতৃভূমির অভ্যুদয় হয়। নতুন জীবনের জয়গান গাইবার জন্য প্রিয় মাতৃভূমির প্রতিটি মানুষ খুশিতে আত্মহারা হয়েছিল। বাংলাদেশের আপামর জনতা সেদিন উৎফুল্ল হয়েছিল, আমাদের সাথে সাথে আরেকটি দেশও বেজায় উৎফুল্ল হয়েছিল সেদিন! সেই দেশটার নাম আমাদেরই প্রতিবেশী বন্ধু প্রতিম ভারত। সেদিনই ভারতের পার্লামেন্টে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বিজয়ের মুষ্টি উঁচিয়ে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘হাজার সাল কা বদলা লিয়া’ অর্থাৎ হাজার বছরের প্রতিশোধ নিয়েছি! সামান্য কাণ্ডজ্ঞান সম্পন্ন মানুষ উপরের কথাটি শুনলে, কোন প্রকার ব্যাখ্যা ছাড়াই বুঝতে পারে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আমাদের সাথে ভারতীয় জনগোষ্ঠীরও পাওয়ার মত কিছু ছিল।
পাকিস্তানের সাথে ভারতের অনেক বুঝাপড়া বাকী থাকলেও, পাকিস্তান ভারতের চেয়ে কোনদিকেই শক্তিতে অগ্রগামী ছিলনা। দুর্বল ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান, ব্রিটিশ থেকে স্বাধীনতা প্রাপ্তির মাত্র ২৩ বছর পর পুনরায় ভেঙ্গে দুই টুকরা হল। সুতরাং স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় হাজার বছরের বদলা বলতে ২৩ বছর বছরকে বলা হয়নি, ইন্দিরা গান্ধী পাকিস্তানীদের সাথে এ ২৩ বছরের প্রতি আঙ্গুল তুলে নাই । তিনি আঙ্গুল তুলেছেন অন্য কোথাও, আজ ইন্দিরার সে কথার কড়ায় গণ্ডায় জওয়াব আমরা পাচ্ছি।
ইন্দিরা গান্ধীর ‘হাজার সাল কা বদলা লিয়া’ বলতে কিসের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন তা বুঝাতে আপনাদেরকে আবারো আরও একটু ইতিহাস গেলাতে বাধ্য হচ্ছি...
‘’ ৭১১ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে মুহাম্মদ বিন কাশিম (৬৯৫-৭১৫ খৃ) খলিফা আল ওয়ালিদের আদেশে হাজ্জাজ বিন ইউসুফের আনুগত্যে ভারতে অভিযান পরিচালনা করেন। তরুণ যুবক কাশিম ভারতের ক্ষমতাধর অত্যাচারী, লুণ্ঠনকারী শাসক রাজা দাহীরকে শোচনীয় ভাবে পরাজিত ও নিহত করেন। অতঃপর সেখানে মুসলিম বাহিনী তাদের শাসন কর্তৃত্ব কার্যকর করেন। এটি ছিল ভারতে কোন মুসলিম শাসকের প্রথম আগমন। রাজা দাহীর স্থানীয় জনসাধারণের কাছে অত্যাচারের মূর্ত প্রতীক হলেও, সারা ভারতে তার প্রভাব ছিল অতুলনীয়। যার কারণে দাহীরের পতনে অন্যান্য শাসকদের ভিত করে তুলে। তবে মুসলমানেরা রাজ্য জয়ে এর পরে আর সামনে এগোয়নি। অতঃপর আফগান শাসক সুলতান মাহমুদ গজনবী (৯৭১-১০৩০ খৃ) ভারত বিজয় করেন। স্থানীয় অত্যাচারিত অসহায় হিন্দু জনগোষ্ঠীর সহযোগিতায় তিনি উত্তর ভারতের প্রায় সবটুকুই দখল করতে সক্ষম হন। স্থানীয় হিন্দুরাই তাকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন। যার কারণে তার বিরুদ্ধে গঠিত শক্তিকে নির্মূল করতে তিনি ১৭ বার ভারতে অভিযান পরিচালনা করেন। ১৭ বারই তিনি ভারতীয় শক্তির বিরুদ্ধে বিজয়ী হয়েছেন এবং ভারতের সমুদয় শক্তিকে তিনি চুরমার করে দিতে সক্ষম হন। আরো পরে ভারতের বিখ্যাত ওলী মইনুদ্দিন চিশতী - রহঃ (১১৩৮–১২২৯ খৃ) মুসলিম ও নিম্ন বর্ণের হিন্দুদের উপর পৃথ্বীরাজ চৌহানের (১১৪৯-১১৯২ খৃ) অত্যাচার, নির্যাতন ও বাড়াবাড়ির কথা জানিয়ে প্রতিকারের আশায় গজনীর সুলতানের কাছে চিঠি লিখেন। ইতিমধ্যে পৃথ্বীরাজ গজনী সুলতানের দখলীকৃত ‘তাবারীন্দ’ রাজ্য দখল করেন। যার কারণে গজনীর সুলতান (বর্তমান আফগান) শিহাব উদ্দিন ঘোরী (১১৫০-১২০৬ খৃ) ভারতে অভিযান পরিচালনা করেন। ঘোরীর সাঁড়াশি আক্রমণে ভারতের সকল বিদ্রোহী শক্তি চিরতরে লন্ড ভণ্ড হয়ে যায়। এই যুদ্ধে পৃথ্বীরাজ চৌহান পরাজিত ও গ্রেফতার হন। ঘোরীর এই বিজয়ের পর ভারতে কোমর সোজা করে দাঁড়ানোর মত আর কোন শক্তিই অবশিষ্ট ছিল না। তখন থেকে ভারতে মুসলমানদের স্থায়ী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।‘’
একটু বিশ্লেষণ দরকার, এখন হিসাব করুন, ৭০০ থেকে ১৭০০ পর্যন্ত যদি ধরি তাহলে এখানে হাজার সাল হয়। উপমহাদেশের গত ১৯০০ বছরের ইতিহাস ঘাটলে দেখতে পাই এখানে প্রথমে হিন্দুরা শাসন করেছে ৭০০ বছর, মুসলিমরা শাসন করেছে ১০০০ বছর এবং ব্রিটিশরা করেছে ২০০ বছর, এরপর যখন ভারত আবার ব্রিটিশদের থেকে ক্ষমতা পায় তখন অলরেডি ভারতের দুদিকে মুসলিম দেশ। সে ব্যাথা ভারত ভুলেনি, সুযোগের অপেক্ষায় থাকে ভারত, তারপর ১৯৭১......
আবারো ইতিহাস, আমরা বাংলাদেশীরা বা মুসলিম রা তখন হিন্দুদের দ্বারা খুব নির্যাতিত হচ্ছিলাম, তারা আমাদেরকে মানুষ মনে না করে গোলাম মনে করত, তারা জমিদার হয়ে সারা বাংলায় অত্যাচার চালাত... শুধুমাত্র ছোট একটা উদাহরন টানি, কবি গুরু রবিন্দ্রনাথ ছিলেন জমিদার, বাংলার মানুষ যাতে উচ্চ শিক্ষিত হয়ে নিজেদের অধিকার না বুঝতে পারে, অফিস আদালত না করতে পারে, এবং হিন্দু জমিদাররা যাতে বাংলার মুসলমানদের রক্ত শুষে নিতে পারে সেজন্য কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ কখনো চান নি বাংলাদেশীরা শিক্ষিত হউক। তাই ১৯২১ সালে যখন বাংলাদেশের ঢাকায় ঢাকা ইউনিভার্সিটি করা হয় তখন এই রবিন্দ্রনাথ প্রচণ্ড বিরোধিতা করেছিলেন যাতে ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় নাহয়, যাতে মুসলিমরা উচ্চশিক্ষিত হতে না পারে। হিন্দু জমিদারদের বা এমন রবীন্দ্রনাথ দের বাংলাদেশ বা মুসলিম বিদ্বেষী ঘটনার এমন আরও অজস্র প্রমান রয়েছে।
এখানে আরেকটু ইতিহাস টানা প্রয়োজন। ব্রিটিশরা যখন দেশ ভাগ করে দিয়ে যায় তখন কিন্তু ওরা জোর করে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের সাথে দিয়ে যায়নি বা ভারত বাংলাদেশকে জোর করে পাকিস্তানের সাথে পাঠায়নি বা যুদ্ধলদ্ধ উপহার হিসেবে পাকিস্তান বাংলাদেশকে পায়নি, জানেন কিভাবে এত দূরত্ব সত্বেও বাংলাদেশ পাকিস্তান একটি দেশ ছিল??? হিন্দু বা হিন্দু জমিদারদের অত্যাচারে আমরা বাংলাদেশীরা জোর দাবী জানিয়ে পাকিস্তানের সাথে গিয়েছিলাম, আমরা মুসলিম বলে। ......
তাই তাবলীগ জামাতে টঙ্গির তুরাগ নদীর তীরে ১০ কোটি মানুষের ঢল নামুক সেটা মেনে নেয়া হবে। তবে মোহাম্মাদ বিন কাশিমের অনুপ্রেরণায় যদি একজন শিবির জামায়াতের কর্মী জন্ম নেয়, সেটা ভারত বা ভারতের দোসর আওয়ামীলীগ বরদাশত করবেনা।
কারন মোহাম্মাদ বিন কাশিমের ইতিহাস বিজয়ের ইতিহাস।
ইতিহাস পর্যালোচনা করলে আমরা দেখতে পাই...
১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ নামে প্রিয় মাতৃভূমির অভ্যুদয় হয়। নতুন জীবনের জয়গান গাইবার জন্য প্রিয় মাতৃভূমির প্রতিটি মানুষ খুশিতে আত্মহারা হয়েছিল। বাংলাদেশের আপামর জনতা সেদিন উৎফুল্ল হয়েছিল, আমাদের সাথে সাথে আরেকটি দেশও বেজায় উৎফুল্ল হয়েছিল সেদিন! সেই দেশটার নাম আমাদেরই প্রতিবেশী বন্ধু প্রতিম ভারত। সেদিনই ভারতের পার্লামেন্টে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বিজয়ের মুষ্টি উঁচিয়ে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘হাজার সাল কা বদলা লিয়া’ অর্থাৎ হাজার বছরের প্রতিশোধ নিয়েছি! সামান্য কাণ্ডজ্ঞান সম্পন্ন মানুষ উপরের কথাটি শুনলে, কোন প্রকার ব্যাখ্যা ছাড়াই বুঝতে পারে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আমাদের সাথে ভারতীয় জনগোষ্ঠীরও পাওয়ার মত কিছু ছিল।
পাকিস্তানের সাথে ভারতের অনেক বুঝাপড়া বাকী থাকলেও, পাকিস্তান ভারতের চেয়ে কোনদিকেই শক্তিতে অগ্রগামী ছিলনা। দুর্বল ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান, ব্রিটিশ থেকে স্বাধীনতা প্রাপ্তির মাত্র ২৩ বছর পর পুনরায় ভেঙ্গে দুই টুকরা হল। সুতরাং স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় হাজার বছরের বদলা বলতে ২৩ বছর বছরকে বলা হয়নি, ইন্দিরা গান্ধী পাকিস্তানীদের সাথে এ ২৩ বছরের প্রতি আঙ্গুল তুলে নাই । তিনি আঙ্গুল তুলেছেন অন্য কোথাও, আজ ইন্দিরার সে কথার কড়ায় গণ্ডায় জওয়াব আমরা পাচ্ছি।
ইন্দিরা গান্ধীর ‘হাজার সাল কা বদলা লিয়া’ বলতে কিসের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন তা বুঝাতে আপনাদেরকে আবারো আরও একটু ইতিহাস গেলাতে বাধ্য হচ্ছি...
‘’ ৭১১ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে মুহাম্মদ বিন কাশিম (৬৯৫-৭১৫ খৃ) খলিফা আল ওয়ালিদের আদেশে হাজ্জাজ বিন ইউসুফের আনুগত্যে ভারতে অভিযান পরিচালনা করেন। তরুণ যুবক কাশিম ভারতের ক্ষমতাধর অত্যাচারী, লুণ্ঠনকারী শাসক রাজা দাহীরকে শোচনীয় ভাবে পরাজিত ও নিহত করেন। অতঃপর সেখানে মুসলিম বাহিনী তাদের শাসন কর্তৃত্ব কার্যকর করেন। এটি ছিল ভারতে কোন মুসলিম শাসকের প্রথম আগমন। রাজা দাহীর স্থানীয় জনসাধারণের কাছে অত্যাচারের মূর্ত প্রতীক হলেও, সারা ভারতে তার প্রভাব ছিল অতুলনীয়। যার কারণে দাহীরের পতনে অন্যান্য শাসকদের ভিত করে তুলে। তবে মুসলমানেরা রাজ্য জয়ে এর পরে আর সামনে এগোয়নি। অতঃপর আফগান শাসক সুলতান মাহমুদ গজনবী (৯৭১-১০৩০ খৃ) ভারত বিজয় করেন। স্থানীয় অত্যাচারিত অসহায় হিন্দু জনগোষ্ঠীর সহযোগিতায় তিনি উত্তর ভারতের প্রায় সবটুকুই দখল করতে সক্ষম হন। স্থানীয় হিন্দুরাই তাকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন। যার কারণে তার বিরুদ্ধে গঠিত শক্তিকে নির্মূল করতে তিনি ১৭ বার ভারতে অভিযান পরিচালনা করেন। ১৭ বারই তিনি ভারতীয় শক্তির বিরুদ্ধে বিজয়ী হয়েছেন এবং ভারতের সমুদয় শক্তিকে তিনি চুরমার করে দিতে সক্ষম হন। আরো পরে ভারতের বিখ্যাত ওলী মইনুদ্দিন চিশতী - রহঃ (১১৩৮–১২২৯ খৃ) মুসলিম ও নিম্ন বর্ণের হিন্দুদের উপর পৃথ্বীরাজ চৌহানের (১১৪৯-১১৯২ খৃ) অত্যাচার, নির্যাতন ও বাড়াবাড়ির কথা জানিয়ে প্রতিকারের আশায় গজনীর সুলতানের কাছে চিঠি লিখেন। ইতিমধ্যে পৃথ্বীরাজ গজনী সুলতানের দখলীকৃত ‘তাবারীন্দ’ রাজ্য দখল করেন। যার কারণে গজনীর সুলতান (বর্তমান আফগান) শিহাব উদ্দিন ঘোরী (১১৫০-১২০৬ খৃ) ভারতে অভিযান পরিচালনা করেন। ঘোরীর সাঁড়াশি আক্রমণে ভারতের সকল বিদ্রোহী শক্তি চিরতরে লন্ড ভণ্ড হয়ে যায়। এই যুদ্ধে পৃথ্বীরাজ চৌহান পরাজিত ও গ্রেফতার হন। ঘোরীর এই বিজয়ের পর ভারতে কোমর সোজা করে দাঁড়ানোর মত আর কোন শক্তিই অবশিষ্ট ছিল না। তখন থেকে ভারতে মুসলমানদের স্থায়ী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।‘’
একটু বিশ্লেষণ দরকার, এখন হিসাব করুন, ৭০০ থেকে ১৭০০ পর্যন্ত যদি ধরি তাহলে এখানে হাজার সাল হয়। উপমহাদেশের গত ১৯০০ বছরের ইতিহাস ঘাটলে দেখতে পাই এখানে প্রথমে হিন্দুরা শাসন করেছে ৭০০ বছর, মুসলিমরা শাসন করেছে ১০০০ বছর এবং ব্রিটিশরা করেছে ২০০ বছর, এরপর যখন ভারত আবার ব্রিটিশদের থেকে ক্ষমতা পায় তখন অলরেডি ভারতের দুদিকে মুসলিম দেশ। সে ব্যাথা ভারত ভুলেনি, সুযোগের অপেক্ষায় থাকে ভারত, তারপর ১৯৭১......
আবারো ইতিহাস, আমরা বাংলাদেশীরা বা মুসলিম রা তখন হিন্দুদের দ্বারা খুব নির্যাতিত হচ্ছিলাম, তারা আমাদেরকে মানুষ মনে না করে গোলাম মনে করত, তারা জমিদার হয়ে সারা বাংলায় অত্যাচার চালাত... শুধুমাত্র ছোট একটা উদাহরন টানি, কবি গুরু রবিন্দ্রনাথ ছিলেন জমিদার, বাংলার মানুষ যাতে উচ্চ শিক্ষিত হয়ে নিজেদের অধিকার না বুঝতে পারে, অফিস আদালত না করতে পারে, এবং হিন্দু জমিদাররা যাতে বাংলার মুসলমানদের রক্ত শুষে নিতে পারে সেজন্য কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ কখনো চান নি বাংলাদেশীরা শিক্ষিত হউক। তাই ১৯২১ সালে যখন বাংলাদেশের ঢাকায় ঢাকা ইউনিভার্সিটি করা হয় তখন এই রবিন্দ্রনাথ প্রচণ্ড বিরোধিতা করেছিলেন যাতে ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় নাহয়, যাতে মুসলিমরা উচ্চশিক্ষিত হতে না পারে। হিন্দু জমিদারদের বা এমন রবীন্দ্রনাথ দের বাংলাদেশ বা মুসলিম বিদ্বেষী ঘটনার এমন আরও অজস্র প্রমান রয়েছে।
এখানে আরেকটু ইতিহাস টানা প্রয়োজন। ব্রিটিশরা যখন দেশ ভাগ করে দিয়ে যায় তখন কিন্তু ওরা জোর করে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের সাথে দিয়ে যায়নি বা ভারত বাংলাদেশকে জোর করে পাকিস্তানের সাথে পাঠায়নি বা যুদ্ধলদ্ধ উপহার হিসেবে পাকিস্তান বাংলাদেশকে পায়নি, জানেন কিভাবে এত দূরত্ব সত্বেও বাংলাদেশ পাকিস্তান একটি দেশ ছিল??? হিন্দু বা হিন্দু জমিদারদের অত্যাচারে আমরা বাংলাদেশীরা জোর দাবী জানিয়ে পাকিস্তানের সাথে গিয়েছিলাম, আমরা মুসলিম বলে। ......
তাই তাবলীগ জামাতে টঙ্গির তুরাগ নদীর তীরে ১০ কোটি মানুষের ঢল নামুক সেটা মেনে নেয়া হবে। তবে মোহাম্মাদ বিন কাশিমের অনুপ্রেরণায় যদি একজন শিবির জামায়াতের কর্মী জন্ম নেয়, সেটা ভারত বা ভারতের দোসর আওয়ামীলীগ বরদাশত করবেনা।
কারন মোহাম্মাদ বিন কাশিমের ইতিহাস বিজয়ের ইতিহাস।
কোন মন্তব্য নেই:
/>