জামায়াতের পক্ষ নেয়ার অভিযোগে বিশিষ্ট কলামিস্ট ও প্রবাসি হিন্দু লেখিকা মিনা ফারাহকে রেড অ্যালার্ট দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়,
জামায়াতের পক্ষ নেয়ার অভিযোগে বিশিষ্ট কলামিস্ট ও প্রবাসি হিন্দু লেখিকা মিনা ফারাহকে রেড অ্যালার্ট দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়। এছাড়া একই সঙ্গে তার নিজ জেলা শেরপুরে তার স্থাবর সম্পত্তি বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দেওয়া থেকে বিরত থেকে যুদ্ধাপরাধ ও জামায়াতের সাফাই গাওয়ার অভিযোগে শেরপুরের সন্তান, নিউ ইয়র্ক প্রবাসী লেখিকা মিনা ফারাহ’র বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে লেখিকা মিনা ফারাহর নিজস্ব জেলা শেরপুরে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, সংশ্লিষ্ট একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও শেরপুরের বাজিতখিলা ইউনিয়নের কুমরি মুদিপাড়া গ্রামের কৃষক পরিবারের সন্তান মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় শেরপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রয়াত সুরেন্দ্র মোহন সাহার কন্যা প্রবাসী লেখিকা মিনা ফারাহ ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের অন্যতম প্রধান সাক্ষী।
কিন্তু মিনা ফারাহ সে স্বাক্ষী দেননি। উপরন্তু দিগন্ত টেলিভিশনে বিশেষ সাক্ষাতকার দেন এবং নয়াদিগন্তে কলাম লিখতে থাকেন।
এ অবস্থায় মিনা ফারাহ যেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে ঢুকতে না পারেন, সেজন্য রেড এলার্ট জারির জন্য আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর একটি চিঠি দেয়।
সেই সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পৃথক চিঠিতে শেরপুরের জেলা প্রশাসককে মিনা ফারাহ’র স্থাবর সম্পত্তি বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।
এ ব্যাপারে শেরপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন লেখিকা মিনা ফারাহ’র স্থাবর সম্পত্তি বিক্রির বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, চিঠি মোতাবেক সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে সোমবার খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ও ভূমি অফিসে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে একাধিক সতর্ক বার্তাসহ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সুত্রঃ http://bdbreaking24.com/view.php?id=2346
কোন মন্তব্য নেই:
/>